সালমা সুলতানা, ডাচবাংলা ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখা, নং ১৮০ ১০১ ৮৮৯৫৪
আপনারা যে যা পারেন সাহসী এই বীরের জন্য সহযোগিতা করুন।
আপডেট ৬: (বুধবার, ৩ এপ্রিল ১৩ ) এ পর্যন্ত=১,২৭,০০০ টাকা জমা পড়েছে (একাধিক ব্যক্তি দিয়েছেন)।
বি. দ্র. বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে কিছু তথ্য নিচে সংযোজন করা হলো।
ইতোমধ্যে অপুর্ণ রুবেল নামে আমাদের এক বন্ধু হযরতের চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া হযরতের বড় ছেলেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়ার খরচ দিতে অঙ্গীকার করেছেন। আসাদ আল কিশোর নামে এক ব্লগারও বাচ্চাদের লেখাপড়ার খরচ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সালমা সুলতানা ঢাকায় আসার পর বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।
-----------------
হযরত আলী। খুব সাধারণ একজন মানুষ। নিম্ন মধ্যবিত্ত। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেলস সুপারভাইজার পদে কাজ করতেন। সাদামাটা জীবনের অধিকারী ছিলেন। কিন্তু সেই হযরতই এমন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন, যা এখন আর আমাদের সমাজে খুব একটা দেখা যায় না। পরোপকার করতে গিয়ে নিজের জীবনটাই বিলিয়ে দিয়েছেন ছিনতাইকারীদের হাতে।
হ্যাঁ, পাঠকরা হয়তো অনেকেই জানেন। গত শুক্রবার সকালে মিরপুরের রাইনখোলায় প্রাত:ভ্রমণে বেড়োনো তিন নারীকে ছিনতাইকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন হযরত। ছিনতাইকারীরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান হযরত আলী।
আমাদের সমাজটা এখন এমন হয়ে গিয়েছে, কেউ কারো বিপদে এগিয়ে আসে না। ঘরে কিংবা বাইরে কেথাও না। অযথা ঝামেলা না জড়ানোর প্রবনতা আমাদের মধ্যে জেকে বসেছে। তাই রাস্তায় কেউ যদি আহত হয়ে কাতর চিৎকার করতে থাকে, কিংবা ছিনতাইকারী বা চোর-ডাকাতের কবলে পড়ে কেউ সহযোগীতার জন্য চিৎকার করে, আমরা কেউ সেদিকে ভ্রক্ষেপ করি না। আমরা সবার আগে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবি। নিজেকে নিরাপদ স্থানে রাখতে চাই।
এই যখন সমাজের অবস্থা, তখন একজন হযরত আলী, যিনি বিরল সাহসিকতার পরিচয় দিলেন, তা আসলেই অবিস্মরণীয়। অপরিচিত তিন নারীকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি নিজের প্রাণটাই সঁপে দিলেন। কিন্তু এমন একজন বীরের মর্যাদা আমরা কী দিলাম। শুক্রবারের পর আজ যখন লিখটি ততক্ষণে তিন দিন প্রায় পেরিয়ে যাচ্ছে। কেউ হযরতের পাশে এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ায়নি। না তার পরিবারের কাছেও। হযরত যেই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন সেই প্রতিষ্ঠান (কল্লোল গ্র“প) থেকে কিছু খরচ দেওয়া হয়েছে। তা দিয়ে ঢাকা থেকে লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়েছে। সঙ্গে কয়েকজন সহকর্মীও গিয়েছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্র তার দায় এড়িয়ে গেছে। রাষ্ট্র যন্ত্রের কেউ তার পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর কথা চিন্তাও করেনি।
পেশায় সাংবাদিক হওয়ায় গত শনিবার হযরতের ওপর একটি ফলোআপ রিপোর্ট করতে আমি তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। মিরপুরের রাইনখোলার বাসায় কেউ নেই। পরিবারের সদস্যরা সবাই সাতক্ষীরার সদর থানার বল্লী গ্রামে গিয়েছেন। মোবাইল ফোনে হযরতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তার স্ত্রী সালমা সুলতানা কাতর কণ্ঠে বলছিলেন, ‘ওতো অন্যের উপকার করতে গিয়ে নিজের জীবন দিল এখন আমাদের কী হবে? আমার দুই সন্তানের কী হবে?’ এটি এমন একটি প্রশ্ন শুধু আমার নয়, এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ভাষা হয়তো কারো জানা নেই। বিলাপ করছিলেন তিনি। বলছিলেন ‘ভাই আপনারা কিছু করেন। আমি এখন দুই সন্তানকে নিয়ে কীভাবে বাঁচব? কীভাবে সন্তানদের মানুষ করব।’
আমি নিজে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি। কী করব আমি? কি করতে পারি। সাংবাদিকতা পেশায় থেকে এমন কত ঘটনার মুখোমুখি হই। সব পাশ কাটিয়ে রেখে আমাদের কাজ করতে হয়। কিন্তু হযরতের স্ত্রীর এই কাতর কণ্ঠ, তার দুই সন্তানের ভবিষ্যত, একটি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাওয়া স্বপ্ন আমাকে ভীষণ আলোড়িত করে। আমি ভাবি আসলেই কী হযরতের জন্য আমরা কিছুই করতে পারি না? আমাদের কী কিছুই করার নেই? আমরা কী তার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারি না/
খোঁজ নিয়ে যতটুকু জানতে পেরেছি, দুই সন্তানের জনক ছিলেন সাহসী এই বীর। বড় ছেলে প্রিন্স মণিপুর স্কুলে পড়ে। আর ছোট্ট মেয়ে প্রীতি পড়ছে মিরপুরের একটি কিন্ডার গার্টেনে নার্সারীতে। হযরত নিজে সাতক্ষীরা থেকে গ্রাজুয়েশন করার পর ঢাকায় চলে আসে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছে সে। সর্বশেষ গত ১২ বছর ধরে কাজ করছে কল্লোল গ্র“প অব ইন্ডাস্ট্রিজে।
কল্লোল গ্র“পের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। তারা সাধ্য মতো চেষ্টা করছে হযরতের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর। চাকরীতে ঢোকার পর করা জীবন বীমা, প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত সুবিধাগুলি তারা দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। রাষ্ট্র হয়তো পাশে দাঁড়াচ্ছে না। কিন্তু আমরা কি হযরতের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারি না? সবাই যদি একটু ভেবে দেখেন।
একটা বিষয় ভেবে দেখুন তো। আজকে আমি কিংবা আপনি, আমার কিংবা আপনার ভাই-বোন-আত্মীয়-স্বজন কেউ এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে পারে। কেউ কোনো বিপদে পড়তে পারে। যদি আমরা হযরতদের সম্মান ও তার পরিবারের পাশে না দাঁড়াই, হয়তো কেউ কোনো দিন আর কারো বিপদে পাশে দাঁড়াবে না এবং যখন আমরাই এমন বিপদের মুখোমুখি হবো।
একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করতে চাই। ক’দিন আগে শেওড়া পাড়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে রাস্তায় পড়েছিলেন। আধা ঘন্টা পড়ে ছিলেন রাস্তায়। কেউ তাকে ধরেনি। সবাই ঘাড় ঘুরিয়ে দেখেছে, আর উটকো ঝামেলা এড়াতে দুরে সরে গেছে। অবশেষে এক তরুণ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এমন ঘটনার মুখোমুখি আমরাও যে কখনো পড়বো না তার কোনো নিশ্চয়তা আছে কি?
অতএব আর বসে থাকা নয়, উঠে আসুন, ভাবুন একজন হযরতের পরিবারের পাশে কীভাবে দাঁড়ানো যায়। আসুন আমরা আলোচনা করেই সেটা ঠিক করি।
কোন পদকে ভূষিত করা হবে তাকে?
কিছু প্রস্তাবনা:
১. হযরতের স্ত্রী ও সন্তানরা এখন গ্রামের বাড়িতে। যতদুর জানা গেছে, তার এক সন্তান মণিপুর স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। মেয়েটি নার্সারীতে পড়ে। তাদের পড়াশুনার নিশ্চয়তার জন্য কিছু করা যেতে পারে। ফ্রি পড়াশুনা কিংবা কেউ যদি ব্যয়ভার বহন করতে চায়।
২. একটা ফান্ড গঠন করে তার স্ত্রীর হাতে তুলে দিলে কিংবা ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করে দেওয়া যেতে পারে।
৩. তার স্ত্রী শিক্ষিত হলে তার জন্য একটা চাকরীর ব্যবস্থা করে দেওয়া যেতে পারে।
৪. তার সাহসিকতার জন্য সরকারেরর পক্ষ থেকে স্বীকৃতিস্বরূপ কিছু করার জন্য সরকারকে চাপ দেওয়া যেতে পারে।
৫. পরিবেরর সহায়তায় সরকারী ফান্ড থেকে সহযোগিতা করার জন্য চাপ দেওয়া যেতে পারে।
৬. ফান্ড গঠনের ক্ষেত্রে সরাসরি তার পরিবারের অর্থাৎ তার স্ত্রীর হাতে সহযোগিতার অর্থ তুলে দেওয়া যেতে পারে কিংবা একবারেও অর্থ হস্তান্তর করা যেতে পারে।
৭. খুনিদের ধরতে পুলিশকে চাপের মধ্যে রাখা যেতে পারে।
৮. আরো কি কি করা যায় সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে
হযরতের জন্য ফেইসবুকে একটি পাতা খোলা হয়েছে আপনারা জয়েন করতে পারেন।
আপডেট-২
১. আজ সোমবার দুপুরে সময়ের সাহসী বীর হযরতের স্ত্রী সালমা সুলতানার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি দুই সন্তানসহ সাতক্ষীরার বল্লীর গ্রামের বাড়ীতে অবস্থান করছেন।
২. বুধবার হযরতের গ্রামের বাড়ীতে কুলখানি তথা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
৩. আগামী শুক্রবার তিনি ঢাকার উদ্দেশ্য রওয়ানা দিবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।
৪. আমি তাকে আমাদের এই ক্ষুদ্র উদ্যোগের কথা জানিয়েছি। তিনি যথারীতি ফোনে তার পরিবারের অনিশ্চয়তা নিয়ে কান্নাকাটি করছেন। কিছু একটা করার জন্য আকুতি জানিয়েছেন।
৫. পূবালী ব্যাংকে তার একটি চলতি হিসাবের একাউন্ট রয়েছে। ভাবছি ওই একাউন্টের মাধ্যমেই তার জন্য সহযোগীতার কাজটি করা যায় কি না। (কারো কোনো পরামর্শ থাকলে জানাবেন।)
আপডেট-৩ মঙ্গলবার সকাল ১১টা
হযরতের স্ত্রীর সঙ্গে কথা হলো। পূবালী ব্যাংকে তার যে একটি ব্যাংক একাউন্ট কিন্তু পূবালী ব্যাংক অনলাইন না হওয়ায় ওই একাউন্ট বাদ দেওয়া হয়েছে।
তারা যেহেতু সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়ীতে রয়েছে। সেখান থেকেই তাকে সদরের ডাচবাংলা ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে একটা একাউন্ট করার জন্য। ব্যাংকের ম্যানেজার আব্দুল কাদের সাহেবের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছিলাম, তিনি দ্রুত একাউন্ট করতে সহযোগিতা করবেন বলে আমাকে কথা দিয়েছেন।
আশা করছি দুপুরের মধ্যে হযরতের স্ত্রী সালমা সুলতানার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বারটা সবাইকে জানাতে পারব।
বি. দ্র. যারা বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে চান। তার খুব সহজেই টাকা পাঠাতে পারবেন। ডাচবাংলা ব্যাংকের সুইফট কোড হলো: DBBL BD DH. আর কিছুর প্রয়োজন নেই। উপরের তথ্যগুলি উল্লেখ করলেই হবে। আর যারা নাম-ঠিকানা গোপন রাখতে চান তারা ব্যাংকে গিয়ে কোনো একটা ফান্ডে জমা দেওয়ার কথা বললেই হবে। তারাই সব ব্যবস্থা করবে। তথ্য দাতা: ম্যানেজার, ডিবিবিএল, সাতক্ষীরা ব্রাঞ্চ
আপডেট ১৩ এপ্রিল বিকাল: আজ শুক্রবার সকালে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে নাগরিক সংহতি নামে একটি সংগঠন মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন থেকে হযরতকে রাষ্ট্রীয় সম্মান ও সরকারের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশ বৈশাখের নিরাপত্তা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মলেনে এক প্রশ্নের জবাবে হযরতকে জাতীয় বীর হিসাবে আখ্যা দেন। তিনি এসময় উল্লেখ করেন, ইউরোপ-আমেরিকায় এমন ঘটনা ঘটলে হযরতকে জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হতো। তিনি এসময় হযরতের পরিবারকে পুলিশের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
সর্বশেষ তথ্য: হযরতের পরিবারের সদস্যরা (তার স্ত্রী ও দুই সন্তান) শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় এসেছে। আমি বিশেষ একটি কাজে ব্যস্ত থাকায় তার বাসায় যেতে পারিনি। আশাকরছি, রোববার তার পরিবারের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলতে পারব। তার দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরচ দেওয়ার জন্য যারা অঙ্গীকার করেছেন সেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলব
আপডেট ১৫ এপ্রিল: আজ সময়ের সাহসী বীর হযরত আলীকে সাহসীকতার জন্য মরণোত্তর অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড এই অ্যাওয়ার্ড দিয়েছেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার হযরতের স্ত্রী সালমা সুলতানাকে ২ লাখ টাকার একটি চেক দিয়েছে। আর ব্যাংকের পক্ষ থেকে তার সন্তানদের প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর পড়াশোনার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া হযরত যেই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন সেই প্রতিষ্টান কল্লোল গ্রুপের পক্ষ থেকে একটি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকে এফডিআর করে দেওয়ার চিন্তা ভাবনা চলছে। একই সঙ্গে এফডিআর করে দেওয়া পর্যন্ত হযরতের মাসিক বেতন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কল্লোল গ্রুপের হেড অব এইচ আর অ্যান্ড এডমিন রাছুলে কিবরিয়া এসব তথ্য জানান। আশা করছি এসব প্রতিশ্রুতি পূরণ হলে হযরতের স্ত্রী তাদের দুই সন্তান নিয়ে ঢাকায় বাস করতে পারবে এবং দুই সন্তানকে মানুষ করতে পারবে। ধন্যবাদ
আপডেট ১৬ এপ্রিল: আমার নিজের প্রতিষ্ঠান সকালের খবরের বিজনেস চীফ সাইফ ইসলাম দিলাল হযরতের পরিবারকে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। দুই একদিনের মধ্যেই তিনি টাকাটা ব্যাংক একাউন্টে টাকাটা জমা দিবেন বলে আমাকে বলেছেন। এছাড়া আমাদের আরো কয়েকজন সিনিয়র কলিগ হযরতের দুই সন্তানের পড়াশুনার খরচ চালানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২২