১.
এক আমেরিকান আর এক ফরাসী যুবক জাহাজডুবি হয়ে এক দুর্গম দ্বীপে আশ্রয় নিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই তারা স্থানীয় জংলি সর্দারের সুন্দরী মেয়ের প্রেমে পড়ে গেলো। শুরু হলো উদ্দাম শারীরিক প্রেম। ঘটনা জানতে পেরে সর্দার গুন্ডা পাঠিয়ে ধরে আনলো দু’জনকেই।
“বিদেশি, সর্দারের একমাত্র মেয়েকে নষ্ট করে তোরা ভারি অন্যায় করেছিস।” গম্ভীর কন্ঠে জানালো সর্দার। তোদের শাস্তি হবে। বেছে নে বিদেশি, মরণ অথবা বোঙ্গাবোঙ্গা!”
আমেরিকান যুবকটি ভাবলো, বোঙ্গাবোঙ্গার মত শাস্তি থাকতে মরণ কেন? সে বেছে নিলো বোঙ্গাবোঙ্গা। কিন্তু ব্যাপারটা যে আসলে কী রকম, জানতো না বেচারা। বোঙ্গাবোঙ্গা মানে হচ্ছে পাকা বাঁশ পশ্চাদ্দেশ দিয়ে প্রবেশ করানো। তা-ই করা হলো তাকে। জল্লাদ বাঁশ কেটে নিয়ে শাস্তি দিলো। মাটিতে শুয়ো যন্ত্রণায় কাতরাতে লাগলো বেচারা।
ফরাসী ভাবলো, কোনও দরকার নেই অমন শাস্তির, এরচেয়ে মরণই ভালো। বেছে নিলো সে মরণকে।
এবার সর্দার জল্লাদের দিকে তাকিয়ে ক্রূর হেসে বললো, “না মরা পর্যন্ত এটার ওপর বোঙ্গাবোঙ্গা চালানো হোক!”
২.
সেক্স এজুকেশন কোর্সে তিন পিচ্চি বাজে গ্রেড পেয়েছে। একজন সি, একজন ডি আর একজন এফ।
যে সি পেয়েছে, সে চটে গিয়ে বলছে, “ম্যাডাম এটা একটা কাজ করলো? চল বেটিকে শায়েস্তা করি!”
যে ডি পেয়েছে, সে বলছে, “হ্যাঁ, চল! স্কুল ছুটি হয়ে গেলে যখন কেউ থাকবে না, তখন বেটিকে পাকড়াও করবো …!”
যে এফ পেয়েছে, সে বলছে, “হ্যাঁ, তারপর পাকড়াও করে ম্যাডামের অন্ডকোষে অ্যায়সা জোরসে একটা লাত্থি মারবো না!”
৩.
ক্যাম্পিঙে গেছে ছোট্ট বাবু। কিন্তু রাতে তাঁবুতে শুয়ে কিছুতেই ঘুম আসছে না তার। অগত্যা সে তাদের দলনেত্রী মিস মিলির তাঁবুতে গিয়ে ঢুকলো সে। দেখলো মিস ভেতরে একাই আছেন।
“মিস মিস, আমি কি আপনার এখানে ঘুমোতে পারি? আমি আমার আম্মুকে ছাড়া ঘুমোতে পারি না তো, তাই।” আব্দার ধরলো সে।
মিস মিলির দয়ার শরীর, তিনি রাজি হলেন।
গুটিসুটি মেরে মিস মিলির পাশে শুয়ে পড়লো ছোট্ট বাবু। কিছুক্ষণ পর আবার মিহি গলায় বললো সে, “মিস মিস, আমি কি আপনার নাভিতে আমার বুড়ো আঙুলটা ঢুকিয়ে ঘুমোতে পারি, যেভাবে আমি বাড়িতে আমার আম্মুর পাশে ঘুমাই?”
মিস মিলির দয়ার শরীর, তিনি রাজি হলেন।
পরদিন ভোরে উঠে মিস মিল বললেন, “দ্যাখো ছোট্ট বাবু, তোমাকে একটা কথা জানানো জরুরি মনে হচ্ছে … তুমি কিন্তু কাল রাতে আমার নাভিতে বুড়ো আঙুল ঢুকিয়ে ঘুমাওনি!”
ছোট্ট বাবু বললো, “ব্যাপার না মিস। তাছাড়া ওটা আমার বুড়ো আঙুলও ছিলো না!”
৪.
এক লোক ডাক্তার দেখাতে গেছে কারণ তার ইয়ে দাঁড়ায় না। ডাক্তার শুনে বললেন, বিয়ে করছেন?
: না।
: প্রেমিকা আছে ?
: না।
: পরকীয়া করেন ?
: ন…
: টানবাজার যান ?
: না।
: মাস্টারবেট করেন?
: না।
ডাক্তার ক্ষেপে বললেন, “ওই মিয়া, তাহলে দাড়া করায়ে কি করবেন? ক্যালেন্ডার টাঙ্গাইবেন!!!”
৫.
স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্ত্রী তার পুরানো প্রেমিকের সাথে বসে গল্প করছিল। এমন সময় হঠাত স্বামী এসে পড়লে প্রেমিক আলমারির পিছনে লুকিয়ে গেল। ঘরের মেঝেতে চুরুট পড়ে থাকতে দেখে স্বামী রেগে গেল। বলে উঠল, এই চুরুট কোথা থেকে এসেছে? স্ত্রী কিছু বলতে পারল না দেখে স্বামী আরো রেগে গেল। স্বামী বলল তোমাকে বলতেই হবে এই চুরুট কোথাকার? প্রেমিক বন্ধুটি সহ্য করতে না পেরে আলমারির পিছন থেকে বের হয়ে বলল, ও তো মেয়ে মানুষ, ও কি করে জানবে এই চুরুট কোথাকার? আপনি পুরুষ মানুষ হয়ে ও চিনতে পারছেন না যে এই চুরুট আমেরিকার?
৬.
স্বামী-স্ত্রী রতিক্রিয়ার সময়–
স্ত্রীঃ আজ তোমার কেমন লাগছে গো?
স্বামীঃ দারুন লাগছে ডার্লিং… ইচ্ছে করছে তোমার ভিতর চিরদিনের জন্য ডুকে যাই।
বারান্দায় কাজের বুয়াঃ ডুকে যাওয়ার আগে আমার টাকাটা দিয়ে যাবেন।
৭.
বাচ্চাদের স্কুলের টিচার মিস তানিয়া একদিন ছুটির পর ছোট্ট বাবুকে দাঁড় করালেন।
‘এক মিনিট দাঁড়াও ছোট্ট বাবু।’ চশমার ওপর দিয়ে চাইলেন তিনি। ‘তোমার হোমওয়র্ক তো খুব খারাপ হচ্ছে ক’দিন ধরে। তোমার কি কোন সমস্যা হচ্ছে?’
ছোট্ট বাবু মাথা ঝোঁকালো। ‘জ্বি টিচার। আমি প্রেমে পড়েছি।’
মিস তানিয়া মিষ্টি হাসলেন। ‘কার প্রেমে পড়েছো?’
‘আপনার, মিস তানিয়া। আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই।’
‘কিন্তু ছোট্ট বাবু,’ নরম গলায় বললেন মিস তানিয়া, ‘ভেবে দ্যাখো ব্যাপারটা কেমন বোকাটে হবে? নিশ্চয়ই আমি একদিন কাউকে স্বামী হিসেবে চাইবো … কিন্তু আমি তো কোন বাচ্চা চাই না।’
‘ভয় পাবেন না মিস।’ আশ্বাস দিলো বাবু। ‘সেক্ষেত্রে আমি কনডম ব্যবহার করবো।’
৮.
ক্লাস টু-তে এক পিচ্চি মেয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলছে, ‘টিচার টিচার, আমার আম্মু কি প্রেগন্যান্ট হতে পারবে?’
টিচার বললেন, ‘তোমার আম্মুর বয়স কত সোনা?’
পিচ্চি বললো, ‘চল্লিশ।’
টিচার বললেন, ‘হ্যাঁ, তোমার আম্মু প্রেগন্যান্ট হতে পারবেন।’
পিচ্চি এবার বললো, ‘আমার আপু কি প্রেগন্যান্ট হতে পারবে?’
টিচার বললেন, ‘তোমার আপুর বয়স কত সোনা?’
পিচ্চি বললো, ‘আঠারো।’
টিচার বললেন, ‘হ্যাঁ, তোমার আপু প্রেগন্যান্ট হতে পারবে।’
পিচ্চি এবার বললো, ‘আমি কি প্রেগন্যান্ট হতে পারবো?’
টিচার হেসে বললেন, ‘তোমার বয়স কত সোনা?’
পিচ্চি বললো, ‘আট।’
টিচার বললেন, ‘না সোনা, তুমি প্রেগন্যান্ট হতে পারবে না।’
এ কথা শোনার পর পেছন থেকে ছোট্ট বাবু পিচ্চিকে খোঁচা দিয়ে বললো, ‘শুনলে তো? আমি তো তখনই বলেছি, আমাদের চিন্তা করার কিছু নেই।’