আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা জেলাস, সাকিবের সাফল্য সহ্য করতে পারিনা, সাকিব কোটি কোটি টাকার মালিক তাও আমাদের অন্তরজ্বালা, বাংলাদেশের কেউ বছরের পর বছর বিশ্ব ক্রিকেটে এক নম্বর হয়ে বসে থাকবে মেনে নেয়া যায়? সাকিব খারাপ খেললে আমরা খুশি! মনে মনে ভাবি, ওকে দল থেকে বাদ দিলে আরো খুশি হতাম! কিন্তু আফসোস, সাকিবের ষ্ট্যান্ডার্ডের খেলোয়ার বিশ্ব ক্রিকেটে এই মুহুর্তে একজনও তো নাই ই কোন কালেও ছিল না! ভারত তো সাকিবের ষ্ট্যান্ডার্ডের খেলোয়ার স্বপ্নেও দেখে
প্রকৃত সত্যি হচ্ছে, সাকিব শুধু বাংলাদেশের এবং সাকিব শুধু একজনই! বাংলাদেশ টিমে সাকিব নাই শুনে ভারতীয়দের পাশাপাশি খুশি হয়েছে এক শ্রেনীর মানুষ যাদের শরীরটা বাংলাদেশে পরে থাকলেও মনটা পরে থাকে ভারতে! তারা এখন আইসিসির দারুন ভক্ত এবং আরো ভক্ত পাপনের!
আমি পাপনের ব্যপারে কিছু বলতে চাই না কারন উনি সাকিবকে বহুবার শিক্ষা দিতে চেয়েছেন কিন্তু পারেননি!
তবে আইসিসির ব্যপারে আমার প্রশ্ন আছে! দীপক আগরওয়াল নামটা কিভাবে ক্রিকেটের সাথে জড়ালো, তার নাম আইসিসির কালো তালিকায় থাকার মানে কি, আইসিসি জুয়ারিদের বিরুদ্ধে কোন এ্যাকশান নেয়ার ক্ষমতা রাখে কি? সাকিবকে প্রোপোজ করার অনেক আগে থেকেই দীপক ক্রিকেট জুয়ার সাথে জরিত! আইসিসি জেনেও তার বিরুদ্ধে কোন এ্যাকশান নেয়নি! দীপক ভারতীয় এবং সেখানকার পুলিশের কালো তালিকায় তার নাম থাকা স্বত্বেও তার বিরুদ্ধে কোন এ্যাকশান হয়নি! কেন? দীপকরা যদি আইসিসি এমনকি ভারতীয় পুলিশের চাইতেও ক্ষমতা সম্পন্ন হয় তাহলে ক্রিকেটের জুয়া বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? কোন খেলোয়ার জুয়ায় অংশ নিলে আইনের ফাঁদে তার ক্রিকেট এবং ব্যক্তিগত জীবন শেষ, কিন্তু জুয়ায় অংশ না নিয়ে আইসিসিকে জানালে আইসিসি সেই জুয়ারির বিরুদ্ধে কোন এ্যাকশান নিচ্ছে না! আবার জুয়ায় অংশ নিলেন না এবং আইসিসিকে জানালেন না তাতেও জীবন শেষ! তাহলে সর্বক্ষেত্রেই জয়ী হচ্ছে কে? জুয়ারি এবং আইসিসি! আর আইসিসির এক মোড়ল হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও কি জয়ী হচ্ছে না?
সাকিবের বিরুদ্ধে এ্যকশানটা কিন্তু ভারত সফরের ঠিক আগমুহূর্তেই হল!!!