500px এর কিছু অসাধারণ ছবি পর্বঃ এক
500px একটি অনলাইন ফটোগ্রাফিক কমিউনিটি ব্লগ যেখানে এখন পর্যন্ত ১০ মিলিয়নের উপর ছবি আপলোড হয়েছে। এটি ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে তার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এর মাসিক ইউজারের সংখ্যা ১০ মিলিয়নের উপরে; আর নিবন্ধিত ইউজার আড়াই মিলিয়নের মতো। ২০১২ সালে টাইম ম্যাগাজিন এটিকে অন্যতম সেরা ব্লগ হিসেবে ঘোষণা দেয়।
500px এর ওয়েবসাইট
এবার এক নিঃশ্বাসে দেখে নিন 500px এর কিছু অসাধারণ ছবি (আমারটা বাদে )
এনডুটুর নিঃসঙ্গ চিতা
হ্যকাডেলের উষ্ণপ্রসবণ। পানির সবিরাম উৎক্ষেপণ আর বাষ্পীভবন হয়ে যাওয়ার এই বিরল বৈশিষ্ট্যটি পৃথিবীর খুব কম জায়গাতেই দেখা যায়। দক্ষিণ-পশ্চিমের আইসল্যান্ড তার মধ্যে একটি।
মাছের চোখে অস্তবেলা। জায়গাটি অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া স্টেটের পোর্ট মেলবোর্নে অবস্থিত ৫৮০ মিটার দীর্ঘ প্রিন্সেস পায়্যার (Princes Pier)।
যেন মেঘে ঢাকা রূপকথার কোন রাজ্য। ফটোগ্রাফার ভিট্টোরিও পলি এরকমই এক রূপকথার দেশে থাকেন। এটি ইতালির ভিসেঞ্জা প্রদেশের আসিয়াগো মালভূমির উপর অবস্থিত একটি ছোট্ট শহর; নাম কংকো। পাশের পাহাড়চূড়া থেকে তোলা কুয়াশায় ঢাকা কংকো নগরীর এই ছবিটি ২০১২ সালে জার্মানিতে ইউরোপিয়ান মিটিয়োরোলজিক্যাল সোসাইটির এক প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার লাভ করে।
তুরস্কের বেলুনযাত্রা। জায়গাটি তুরস্কের একটি ঐতিহাসিক স্থান- কাপ্পাডোসিয়া।
তারাভরা রাতের এক নিঃসঙ্গ সাইপ্রেস (cypress)। ফটোগ্রাফার পল মার্সেলিনির এই ছবিটি ফ্লোরিডার একটি লেকে তোলা।
একে ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান কেউ বলবে না; কিন্তু গ্রিকবাসীরা অবশ্য খাড়া পাহাড়ের উপর অবস্থিত এই উপাসনালয়টিকে শূন্যে ভেসে থাকা পবিত্র স্থান বলে থাকে। "মিটিওরা"- গ্রীসের ইস্টার্ন অর্থোডক্স উপাসনালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। ফটোগ্রাফার ইলিয়াস নিকোলউলিস ছবিটি নিকষ কালো অন্ধকার রজনীতে তুলেছেন ৬০ সেকেন্ডের 'দীর্ঘ' এক্সপোজারে। কপালে ফ্ল্যাশলাইট বেঁধে ধৈর্য নিয়ে তোলা ছবিটা অনেক অসাধারণ হয়েছে, কি বলেন?
ইনক্রেডিবল চায়না। ছবিটি কিন্তু সাদাকালো না। সূর্য্যি মামা জাগার আগেই জেগে গেছেন ইউনান প্রদেশের কৃষকেরা। ফটোগ্রাফার ঝ্যাংনিঙের কাকডাকা ভোরের (যদিও চীনে কাক নেই ) এই ছবিটি চীনের ঐতিহ্যবাহী রাইস টেরাসের একটি নমুনা।
সমুদ্রসকাশে দুই অশ্বারোহী। আর অ্যাটলান্টিক পারের ঐ দূর পাহাড়টির নাম ভেস্ট্রাহর্ন। আইসল্যান্ডের আরো একটি সৌকর্যমণ্ডিত জনবিরল দর্শনীয় স্থান।
সবুজ আর নীলের সমাবেশে... সকালবেলার স্নিগ্ধ সৌন্দর্য যেন ঠিকরে বেরোচ্ছে নরওয়ের ফিয়োর্ডের (fjord) প্রতিটি কোনায় কোনায়। সত্যি বলতে কি, মসাচ্ছাদিত নিঃসঙ্গ বাড়ি, পাহাড়ঘেরা নীল জল আর তাতে ভেসে যাওয়া ফেরিবোট আমাকে ক্ষণিকের জন্য উদাসীন করে দিয়েছিল। কতদিন হয়... কোথাও ঘুরতে যাই না।
কুউউ ঝিক ঝিক শব্দ করে সাদা ধোঁয়া উড়াতে উড়াতে চলছে ট্রেন। খুব চেনা চেনা লাগছে না ছবিটা? হ্যারি ও তার বন্ধুদের নিয়ে হোগয়ার্টস এক্সপ্রেস যখন সেই মোহনীয় সুন্দর রহস্যময় জাদুর স্কুলে যায় তখন এই রেলসেতুটিই (Viaduct) ছবিতে দেখা যায়। গ্লেনফিন্যান রেলসেতু নামের এই বিখ্যাত স্ট্রাকচারটি স্কটিশ হাইল্যান্ডে অবস্থিত।
দক্ষিণ আইসল্যান্ডে অস্তাচল। তবে ফটোগ্রাফার ম্যাক্স রাইভের এই ছবিটি আমাকে সেই কথাটি মনে করিয়ে দেয়- The one who follows the crowd will usually get no further than the crowd. The one who walks alone is likely to find himself in places no one has ever been.
কিসের অপেক্ষায় এই সাইবেরিয়ান হাস্কি? হাস্কি উত্তরের আর্কটিক অঞ্চলের এক ধরণের স্লেজ টানা কুকুর।
অনেক তো নিসর্গ দর্শন হল। এবার দেখি পোল্যান্ডের এক পরিত্যক্ত প্রাসাদের সিঁড়ির গোলকধাঁধা।
রাতের ব্যস্ত মেট্রোপলিস। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের গতিময় গ্যাংন্যাম স্টেশনের সংযোগস্থলের স্থির ছবি। কোরিয়ান সঙ্গীতশিল্পী সাই তার বিখ্যাত গ্যাংন্যাম স্টাইল গানটি এই গ্যাংন্যাম শহরের বাসিন্দাদের প্রাণোচ্ছল স্বভাবের প্রেরণায় তৈরি করেছিলেন।
ফটোগ্রাফার টেইলরের সাদাকালো এই ছবিটি লস এঞ্জেলসের কোন এক বাণিজ্যিক এলাকায় তোলা।
একটা ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি না দিলে কি হয়? ফটোগ্রাফার মেই জিয়াঙ্গের এই ছবিটি কোন এক বৃষ্টিস্নাত রাতে তোলা এক নিঃসঙ্গ শামুকের।
এইবার অন্য ধরণের (Time warp type) দুইটা ছবি
এই ছবিটা দেখে আমার ডিসকভারি চ্যানেলের Time Warp টিভি সিরিজটির কথা মনে পড়ে গিয়েছিল।
ক্যানন ৫০০ডি দিয়ে তোলা ফটোগ্রাফার আমিন সেডিগের ছবিটি গতিময়তার এক অসাধারণ স্থিরচিত্র। কত শাটার স্পীড ছিল জানেন? ১/৪০০০ সেকেন্ড!!!
আর এই ছবিটি আমার তোলা। উপরের বাকি ১৯টি ছবির কাছে সন্ধ্যাবেলার সমুদ্রতটে আমার এই নিঃসঙ্গ বাতিঘরের ছবিটি নেহায়েতই শিশুতুল্য, তাই না? এটি কক্সবাজারের কলাতলী সৈকতে তোলা। এখানে গিয়ে এই নাদানের ছবিটি দেখতে পারেন।