হিন্দু সম্প্রদায়কে তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য নিজেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। বলেছেন, দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আওয়ামী লীগ সুবিচার না করলে আগামী নির্বাচনে পশ্চিম বঙ্গের মত ক্ষমতার পালা বদল হবে। আহা! এতো দিনে তোমরা বুঝতে পারলা

শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ২০০১- এর সংশোধন, চূড়ান্তকরণ ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেন প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক গোল টেবিল আলোচনায় সুরঞ্জিত এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও রাজনৈতিক সকল প্রজ্ঞা দিয়ে এতদিন তিনি এই কালো আইনের সংশোধনীর জন্য কাজ করেছেন। কিন্তু সুবিধাভোগী কিছু আমলা, রাজনীতিক ও ইনটেলিজেন্সের কু-পরামর্শে তার হাজারো চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে।
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ২০০১- এর সংশোধন এবং যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, আগামী সংসদ অধীবেশনে এই আইনটি পাস না হলে তাদের আন্দোলন ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। কার বিরুদ্ধে আন্দোলন? কিভাবে আন্দোলুন

দেশের মোট জন সংখ্যার ১১ শতাংশ হিন্দু একথা প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে সংখ্যালঘুদের অবদান স্মরণ করুন, নইলে তারা নির্বাচনে উচিত জবাব দেবে। সত্যিই নাকি? বাবু তলে তলে এতোদুর।

সুরঞ্জিত বলেন, কারও করুণায় হিন্দুরা এদেশে বাস করবে না। তারাও এ দেশের গর্বিত নাগরিক। এই সভাই শেষ সভা বলেও জানান তিনি। ওরে বাপরে খুব ভয় পেয়েছি।

বিএনপির রোড মার্চে দলীয় কোন্দলহীন জনসমুদ্রকে জোটের ঐক্যদ্ধ রাজনীতি এবং আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাকে নতুন দুর্যোগ বলে মন্তব্য করেন সুরঞ্জিত। তার মানে আপনি বুঝাতে চাইছেন, সামনে আপনার দলের ভরাডুবি হলে ধানের শীষের তলে আশ্রয় নেবেন?
এতো ক্ষ্যাপলেন কে গো দাদা?


সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৪০