হুলিয়া তুলে নাও
না-হয়
জীবন্ত কিংবদন্তি হবো
মিছিলে মিছিলে ভরে দেবো রাজপথ
এই যে অনাহারী কংকলসার মানুষের দেহের মাঝে বিরাজিত ঈশ্বর
তাকেও জাগিয়ে দেবো আত্মার স্পন্দনে
জেনে নাও, আমি অবিনাশী
অবিনশ্বর
হুলিয়া তুলে নাও
না-হয়
জীবন্ত কিংবদন্তি হবো
সাইক্লোন হবো
অগ্নিঝড় হবো
ধুমকেতু হবো
তোমার তখতে তাউস গুড়িয়ে দেবো বিকট চিতকারে
হুলিয়া তুলে নাও
না-হয়
জীবন্ত কিংবদন্তি হবো
অসুরের মতো ধুলিমাখা করে দেবো
তোমার ছায়াপথ
তোমার নশ্বর পৃথিবী
জেনে নাও, আমি অজয়
অমর
অক্ষয়
হুলিয়া তুলে নাও
না-হয়
জীবন্ত কিংবদন্তি হবো
দশ-দিগন্ত হয়ে
নিমিষেই খেয়ে নেবো সকল স্বৈরাচার
খেয়ে নেবো রক্তাক্ত রাজপথ, রাজআসন আর
বারুদমাখা তোমার মুখে আদল।
হুলিয়া তুলে নাও
না-হয়
জীবন্ত কিংবদন্তি হবো
এক ইঞ্চি ভূমির বদলে বইয়ে দেবো রক্তবান
ত্রিশ লক্ষ শহিদের আত্মা জাগিয়ে দেবো
প্রাণে প্রাণে তুলে দেবো মাটির মায়া।
হুলিয়া তুলে নাও
না-হয়
জীবন্ত কিংবদন্তি হবো
স্বাধীনতা হবো
ধর্মনিরপেক্ষতা হবো
শহিদ মিনার হবো
স্মৃতিসৌধ হবো
আবার শুরু হবে স্বাধীনতার গান
‘কারার ঐ লৌহ কাপাট ভেঙে ঐ কররে লোপাট’
হুলিয়া তুলে নাও
না-হয়
জীবন্ত কিংবদন্তি হবো
দেশে দেশে বাঙালি হবো
মিছিল হবো
জনমত হবো
শুরু হবে তোমার পতন
হুলিয়া তুলে নাও
না-হয়
জীবন্ত কিংবদন্তি হবো
সাত মার্চের ভাষণ হবো
স্বাধীনতার ঘোষণা হবো
স্বাধীন পতাকা হবো
শান্তি, শান্তি হবো
নিশ্চিন্ত ঘুম হবো
নিশ্চিতে ঘুমোবে বাংলাদেশ
হুলিয়া তুলে নাও
না-হয়
জীবন্ত কিংবদন্তি হবো
স্বাধীন দেশের মেঠো পথ হবো
স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ হবো
রক্তপাতহীন আনন্দ মিছিল হবো
‘আমার সোনার বাংলা’ হবো
হুলিয়া তুলে নাও
না-হয়
জীবন্ত কিংবদন্তি হবো
স্বৈরাচারের মৃত্যু হবো
গণতন্ত্রের জন্ম হবো
আর জেনে নাও, আমিই জন্মদাতা
আমিই মৃত্যুদাতা
আমিই ঈশ্বর
হুলিয়া তুলে নাও
না-হয়
জীবন্ত কিংবদন্তি হবো