somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সম্পর্কে সবসময় নতুত্ব খুঁজতে হয়না.. পুরনো মানুষটাকে সবটা দিয়ে আগলে রাখতে হয়

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

..যে মানুষটা তোমার নয়.. তাকে হাজার চোখে চোখে রেখেও তোমার করে নিতে পারবা না..কখনোই না.. ঠিক একদিন সে তোমাকে ফাঁকি দেবে.. ছেড়ে যাবে সবকিছু !
.
আমি জানিনা, ভালোবাসার এই অকাল যুগে ক'জন মানুষ তার "ভালোবাসাকে" এক ফ্রেমে বন্দি করে বছরের পর বছর কাটিয়ে দিতে পেরেছে.. ক'জন মানুষ প্রিয় মানুষকে দেয়া "ছেড়ে যাবোনা" প্রতিশ্রুতি ধরে রাখতে পেরেছে !
.
হিসেবের খাতা খুললে হয়তো সংখ্যাটা খুব বেশি হবেনা.. তবুও আমরা ভালোবাসি, খুব যত্ন করে মানুষটাকে ভালোবাসি.. আবার সময় ফুরালে আস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলে দেই.. ভালোলাগা অন্য কারো মাঝে স্থানান্তরিত হলেই ছেড়ে দেই !
.
দিনের পর দিন ভালোবাসার অভিনয় করে যাওয়া মানুষটাকেও আমি বলবো না, তুমি ভালোবাসনা বলে ছেড়ে গেছ.. আমি জানি, মানুষটাকে তুমি ভালোবাসো; প্রচন্ড রকমের ভালোবাসো.. কিন্তু সম্পর্কের শুরুতে যে মুগ্ধতা কাজ করেছিল.. সেটা আজ থমকে গেছে বলে.. তুমি তাকে ছেড়ে গেছ !
.
হুট করেই তোমার সবকিছু পাল্টে গেছে.. খুব প্রিয় মানুষটাকে এখন আর ভালোলাগেনা.. তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে না.. মনে হয়, এই চেহারা তো মুখস্ত হয়ে গেছে.. নতুন করে দেখার কি আছে? সবকিছুই তো আগের মত, অন্যদিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে !
.
ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতে ইচ্ছে করে না..মনে হয়, কি বলবো? সবই তো বলা শেষ ! ইচ্ছে করে চুপ থাকতে.. তার থেকে দূরে থাকতে.. ঘাপটি মেরে কোথাও লুকিয়ে থাকতে !
.
খুব কাছাকাছি থেকেও মানুষটার হাত ধরতে ইচ্ছে করে না.. ইচ্ছে করেনা একটু ছুঁয়ে দেখতে.. মন চায়না তার অগছালো চুলগুলো ঠিক করে দেয়ার অজুহাতে আলতো করে একটা চুমো দিতে.. মানুষটাকে আর কোনোভাবেই মুগ্ধ করতে ইচ্ছে করে না তোমার.. একটুও না !
.
কিন্ত তুমি খুব ভালোভাবেই জানো, এসবের কিছুই তোমার ইচ্ছেকৃত নয়.. তুমি কখনো কল্পনাও করোনি, মানুষটার প্রতি তোমার ফিলিংস এভাবে হারিয়ে যাবে.. খুব প্রিয় মানুষটা হুট করে এতটা অপ্রিয় হয়ে যাবে !
.
তবে বাস্তব এই যে, এখন তোমার অন্য কাউকে ভালোলাগে.. অন্য কারো জন্য ফিলিংস কাজ করে.. অন্য কারো সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতে মন চায়.. অন্য কারো চোখে চোখ রেখে "ভালোবাসি" বলতে ইচ্ছে করে.. পাশে থাকা মানুষটার চাইতে সেই মানুষটাকেই মন খুঁজে বেশি !
.
বুঝতেছি, অন্য কাউকে ভালো লাগার জন্য তোমার কোনো "পূর্ব প্ল্যানিং" ছিলো না.. ছিলোনা এই মানুষটাকেও খারাপ লাগার কোনো ভাবনা.. কিন্তু সবকিছুই তোমার অনিচ্ছায় হয়ে গেছে.. এখন ভালো না লাগলে তোমার কি করার আছে? তুমি তো নিরুপায় !
.
ট্রাস্ট মি, ঠিক এই সময়টাতেই আমরা সবচেয়ে বড় ভুলটা করে ফেলি.. নির্লজ্জভাবে পুরনো মানুষটাকে ফেলে নতুন মানুষটার পিছনে ছুটতে থাকি.. ভুলে যাই সম্পর্কের শুরুতে পুরনো মানুষটার জন্যও কতটা পাগল ছিলাম আমি.. ভুলে যাই নতুন মানুষটাও তো একদিন পুরনো হয়ে যাবে !
.
যাকে দেখে আজ এতটা ভালো লাগছে, তাকেও তো একদিন ভালো লাগবে না.. যার দিকে তাকালে অনন্তকাল তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে, তার চেহারাটাও তো একদিন মুখস্ত হয়ে যাবে.. ঠিক যেমনটি ওই মানুষের বেলায় হয়েছিল !
.
সত্যি বলতে, ভালো লাগার এই যে পরিবর্তনটুকু সামলে নিতে হবে তোমার.. এটা বেশি দিন থাকে না.. একটা সময় গিয়ে ঠিকি থেমে যায়..থেমে যায় একজনের মাঝেই.. কিন্তু নতুন মানুষকে পাবার নেশায় পুরনো মানুষটা মাথায় থাকেনা তোমার.. অথচ পুরনো এই মানুষটাকেও পাবার নেশায় রাতের পর রাত জেগে পাগলামী করেছিলে তুমি !
.
সম্পর্কে সবসময় নতুত্ব খুঁজতে হয়না.. পুরনো মানুষটাকে সবটা দিয়ে আগলে রাখতে হয়.. মন খারাপের মূহুর্তগুলোতে ফিসফিস করে দুষ্টমী করতে হয়.. ভালো না লাগার মূহুর্তগুলোতে ফিক করে হেসে বলতে হয় "ওরে আল্লাহ রে তোমারে যে আজ কত্তো সুন্দর লাগতাছে, হামি তো পাগল হয়া যামু" ! :-P এভাবেও ভালো থাকা যায়..ভালো রাখা যায়.. মুগ্ধ করা যায়..

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৪
৭টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ট্রাম্প ভাইয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের সদস্য এর মধ্যে এই তিন জন সদস্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

লিখেছেন অতনু কুমার সেন , ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

প্রথম জন হলো: জেডি ভান্স, উনি মেবি ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। ভদ্রলোকের বউ আবার ইন্ডিয়ান হিন্দু। ওনার নাম উষা ভান্স। পেশায় তিনি একজন অ্যাডভোকেট।

দ্বিতীয় জন হলো বিবেক রামাস্বামী। এই ভদ্রলোক আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসল 'আয়না ঘর' থাকতে রেপ্লিকা 'আয়না ঘর ' তৈরির প্রয়োজন নেই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৮


স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৫ই আগস্ট সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় নেমে এসে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসন আমলে অসংখ্য মানুষ কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×