-অমন করে তাকাবেন না তো !
-কেন, তাকালে কি হয়?
-মনে হচ্ছে আপনার চোখ লেগে যাচ্ছে দেহে..
-লাগুক না, ক্ষতি কী?
-ক্ষতি আছে..
-কী ক্ষতি?
-এখন টের পাবেন না, পরে পাবেন..
-কখন টের পাবো?
-যখন দু-চোখের আড়াল হবো..
-ওহ !
.
কথাটি শুনে মূহুর্তেই নিলয়ের মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেল.. দু'বছর হতে চলেছে বউকে একদিনের জন্য চোখের আড়াল করেনি.. প্রচন্ড ভালোবাসে ফেলেছে মেয়েটাকে.. কিন্তুু পরশু এক সপ্তাহর জন্য অফিসের কাজে ঢাকার বাহিরে যেতে হবে, আর সেটা জানার পর থেকেই মেঘলা "অভিমান পর্ব" শুরু করে দিয়েছে.. কিছুক্ষন পরঃ
.
-শুনো,
-কী?
-এই ক'দিন তোমার অনেক খারাপ লাগবে তাইনা?
-না-তো..
-কেন? আমি চলে গেলে তুমি খুশি হবে বুঝি?
-খুশিই তো, কেউ আর আমার রান্নার বদনাম করবে না..
-কি বলছো, একটুও খারাপ লাগবে না তোমার?
-একদম নাহ,
-কী নিষ্ঠুর মেয়েরে বাবা,
-হুম নিষ্টুর কে বানিয়েছে আমাকে?
-কে?
-আপনি.
-আমি? কিভাবে?
-যখন কব্জি ডুবিয়ে সুস্বাদু একটা রান্না খেয়েও বলেন, মেঘলা আজ লবন'টা একটু কম হয়েছে..
-শুধু কি এজন্যই..
-নাহ আরো আছে,
-কী?
-যখন একটা ডিম আমার থেকে তিন বার সিগ্ধ করে নেন..
-তুমি তো ঠিকমত পারতে না ওটা..তাই আরকি,,
-হ্যাঁ আমি কিচ্ছু পারিনা..
-আরে আমি সেটা কখনো বলেছি নাকি?
-শুনুন, আমার রান্না হয়তো হোটেলে বানানো রান্নার মত অতটা সুস্বাদু নয় ঠিকি কিন্তুু আমি চেষ্টা করি স্বামীকে খুশি রাখতে..
-জানিতো আমি..
-তাহলে সবসময় আমার রান্নার ক্ষুত ধরে আমাকে কষ্ট দেন কেন?
-কারন আমার বউকে রাগলে আরো বেশি সুন্দর লাগে বলে..
-শুধু কি এজন্যই?
-নাহ, আরো আছে..
-কী,
-সত্যিই তো তোমার রান্নাতে লবন অনেক বেশি হয়..
-এবার কিন্তুু কেঁদে ফেলবো আমি !
-আরে না না.. ভীষন মজার হয়!
-আচ্ছা হোটেলের খাবার খেয়ে আমার রান্না ভুলে যাবেন না তো?
-কখনোই না..
-কেন?
-তোমার রান্না তো শুধু রান্না নয়.. প্রিয় মানুষটার জন্য ভালোবাসার রান্না.. এটা কি কখনো ভোলা যায়?
-এবার কিন্তুু সত্যিই কেঁদে ফেলবো !
-হা হা আমার পাগলী'টা..
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭