এখন প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ডানপন্থী দলগুলোর সাথে বাংলাদেশীরা কি স্বভাবজাত রাজনৈতিক আলোচনা সমালোচনা চলমান রাখতে পারবে ?
এদেশের সুশীল সমাজ এবং ভিন্ন চাপ প্রয়োগকারী গোষ্ঠীগুলো তাদের যুক্তি তর্ক সমালোচনা চালিয়ে যেতে পারবে ? বা বিভিন্ন রকম অনুভূতিতে আঘাত এর নামে তাদের কন্ঠ একটা গণ্ডির ভিতর সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে কিনা ?
গত ১৫ বছরে আওয়ামী বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যারা একই প্লাটফর্মে কাজ করে এসেছে তাদের অন্ত কোন্দল ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে। পার্লামেন্টের সিট দখলের রাজনীতিতে নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়গুলোতে এই দূরত্ব অন্তর অন্তর বেড়েই যাবে।
নোবেল বিজয়ী ডক্টর ইউনুস সাহেবের সরকারের রাজনৈতিক দর্শন এবং সংস্কারের কর্মপরিকল্পনা এখন অব্দি স্পষ্ট নয়। যার ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে শঙ্কা এবং উদ্বেগের বিষয়টি উঠে আসছে।
বামপন্থী দলগুলো যে আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আওয়ামী সরকার পতনের আন্দোলনের অংশ হয়েছিল তাদের সেই আশা-আকাঙ্ক্ষা কতটুকু পূরণ হবে বা আদৌ পূরণ হবে কিনা ?
নির্বাচনের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ পুনরায় মাঠের রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারবে কিনা তা নিয়ে মতবিরোধ থাকতে পারে এবং থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একটি সুষম রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ডান-বাম-মধ্যম পন্থী রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা একান্ত আবশ্যক।
প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, বাংলাদেশ কি পুনরায় একমত-এক আদর্শ-একদলীয় রাজনীতির দিকে ধাবিত হতে যাচ্ছে কিনা!
১. ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:০১ ০
ড: ইউনুস যেহেতু ধান্দাবাজী করবেনা তাই রাজনিতিকদের শঙ্কা থাকবেই। রাজনিতিকরাও এমন পরিবর্তন চাইবেনা যাতে তাদের ভবিষ্যতের ধান্দাতে সমস্যা হয়। তারা নিবার্চন চায়, গদিতে বসতে চায়, ক্ষমতা আর টাকা চায়।
আশা করি এই সরকার দূনিতি বন্ধ এবং জবাবদিহিতার সংস্কৃতি চালু করতে পারবে।