১৭৬ জন হাজির কাছ থেকে কোরবানির পশুর দাম হিসেবে ৩০০ রিয়াল (প্রায় ছয় হাজার টাকা) করে আদায়ের পর ওই টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে একটি হজ কাফেলার বিরুদ্ধে। এ কাফেলা পরিচালনাকারী ইসকপ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের মালিক প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিয়ন্ত্রিত 'সমাজকল্যাণ পরিষদ'। হাজিরা অভিযোগ করেছেন, কোরবানির পশুর টাকা আত্মসাৎ করার পাশাপাশি তাঁদের নিম্নমানের খাবার ও পানি সরবরাহ করা হয়েছে। রাখা হয়েছে নোংরা আবাসিক হোটেলে।
সৌদি আবর থেকে মোবাইল ফোনে জাহাঙ্গীর আলম, আমিনুল হাছানসহ একাধিক হাজি মিডিয়াকে জানান, দেশে থাকতেই ইসকপ তাঁদের কাছ থেকে কোরবানির পশুর জন্য অগ্রিম ৩০০ রিয়াল করে নেয়। কিন্তু কোরবানি না দিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা। অবশ্য ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের হজ ও ট্রাভেলস বিভাগের কর্মকর্তা ইকবাল ফারুকী চৌধুরী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন
ইকবাল ফারুকী মিদিয়াকে বলেন, 'হাজিদের টাকা আত্মসাতের প্রশ্নই ওঠে না। কোরবানির পশুর টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে_এটা কেউ প্রমাণ করতে পারলে তাঁকে ইনাম দিয়ে খুশি করে দেওয়া হবে।'
জানা গেছে, চট্টগ্রাম জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের উদ্যোগে গঠিত ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদ আগে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের ব্যবসা করত। সেই ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদই এখন ইসকপ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস নামে লাইসেন্স নিয়ে হজ কাফেলা পরিচালনা করছে। চট্টগ্রামে জামায়াতের রুকন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু তাহের ইসকপের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির আফসার উদ্দীন চৌধুরী সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এবার যাত্রার আগে ইসকপ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের পক্ষ থেকে ১৭৬ জন হজযাত্রীকে জানানো হয়েছিল, ইসকপ অলাভজনক হজ কাফেলা। তাই প্রাথমিকভাবে হাজিদের কাছ থেকে জনপ্রতি দুই লাখ ৮০ হাজার করে নেওয়া হলেও হজ থেকে ফিরে আসার পর ব্যয় হিসাব করে উদ্বৃত্ত টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু দেশে ফেরার আগেই পানি, খাবার, বাসস্থান ও কোরবানি নিয়ে হাজিদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কাফেলার তত্ত্বাবধানকারী শফিউল আলম সোবহানী দাবি করেন , পশু কোরবানি নিয়ে হাজিদের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় তাঁদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলা হয়েছে। নিম্নমানের পানি ও খাবার সরবরাহ এবং হাজিদের আবাসিক হোটেলে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, হজ কাফেলায় কোনো সমস্যা নেই।