যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত এবং নিজেদের রক্ষা করতে জামাত-শিবির এবার নয়া কৌশল হাতে নিয়েছে। পিঠ বাঁচাতে নেতাকর্মীরা তাদের মোবাইল ফোনে ওয়েলকাম টিউনে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ব্যবহার করছেন। শুধু তাই নয়, অধিকাংশ জামাত-শিবির নেতাকর্মীরা নিজেদেরকে আওয়ামী লীগের মোড়কে সাজাতে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও নিজেদের ঘরে টাঙ্গিয়ে রেখেছেন। অন্যদিকে গ্রেফতারকৃত জেএমবি নেতা সাঈদুর রহমান, সর্বহারা নেতা রাজু, শিবির ক্যাডার রিপন, মাসুদ ও আবদুল্লাহ জায়েদ বিন ছাবিদের রিমান্ডে পুলিশের কাছে দেয়া তথ্য অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতেই সারা দেশে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। এ জন্য সারাদেশে ১৫ হাজার জামাত-শিবির নেতাকর্মীর সমন্বয়ে বিশেষ ডেথ স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে বলেও সূত্র জানায়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, জামাত-শিবির নেতাকর্মীরা এখন আওয়ামী লীগার সেজে নিজেদেরকে প্রশাসনিক বিচার ও জনরোষের হাত থেকে বাঁচাতে চাইছেন। তাদের মোবাইল ফোনে ওয়েলকাম টিউনে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ব্যবহার, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নিজেদের ঘরে টাঙ্গানো এ কৌশলেরই অংশ। এছাড়া পরিচিত-অপরিচিত আওয়ামী পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা বাড়িয়ে দিচ্ছেন তারা। চিহ্নিত ও নাশকতার সঙ্গে জড়িত শিবির ক্যাডাররা দাড়ি- গোঁফ কেটে ক্লিন শেভড হয়ে ভোল পাল্টে ফেলছে। ইসলামের নামে সন্ত্রাসকারী ওইসব ক্যাডাররা এখন রীতিমতো জিন্স প্যান্ট-টি শার্ট পরে ঘুরে বেড়ায়। সাধারণ জামাত-শিবির নেতাকর্মীরাও এখন নানা জায়গায় লাঞ্ছিত হচ্ছে। তাই তারাও বেশভূষা ও চেহারাছবিতে আধুনিক ও স্মার্ট সাজছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির নেতাকর্মীদের পর্যবেক্ষণ করে এর সত্যতাও পাওয়া গেছে। ঢাকা মহানগর জামাত কার্যালয় থেকে গ্রেফতার ২৫ জামাতির বেশিরভাগের বেশভূষায় ধর্মীয় লেবাসের চিহ্নমাত্র ছিল না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডেমরার এক শিবিরকর্মী এসব তথ্য স্বীকার করে জানায়, তারা কৌশলে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কমিটিতেও ঢুকতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু ও এ ইস্যুতে কোনঠাসা হয়ে পড়ার আগে-পরে জামাত-শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতাদের সরাসরি নির্দেশ ও দিকনির্দেশনায়ই তারা এ কৌশল নিয়েছে বলেও ওই শিবিরকর্মী জানান।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৭:৫৭