মুরিয়া উপজেলা জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি শেখ মোসলেম উদ্দিনকে (৪০) মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। খুলনা থানা পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধাদানের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বহুল আলোচিত এ জামায়াত নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর এলাকাবাসী খুশিতে মিষ্টি বিতরণ করেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে শেখ মোসলেম উদ্দিন ছিলেন এলাকায় এক মূর্তিমান আতঙ্ক।
সন্ত্রাস দমনের নামে সোর্স বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় চিংড়ি ঘের দখল, বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট, হুমকি দিয়ে জমি লিখে নেয়া ও মতবিরোধীদের ধরে শোভনার চৌরঙ্গী মোড়ের ধোলাইঘরে এনে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছে। শুধু শোভনাতেই নয়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ তার দ্বারা কোন না কোন ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তখনকার পুলিশ কর্মকর্তারা তার ইঙ্গিতেই প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নিরীহ লোকদের থানায় ধরে এনে নির্যাতন করেছে, পেন্ডিং মামলার আসামি হিসেবে চালান দিয়েছে। যারা টাকা দিয়ে রফা করতে পেরেছে তাদের ওপর নির্যাতন কম হয়েছে। তাদের বিরম্নদ্ধ মামলাও কম হয়েছে। এছাড়া মোসলেম উদ্দিন ডুমুরিয়ায় কর্মরত ৫/৬ সাংবাদিককেও বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়িয়ে জেল খাটিয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, বহুল আলোচিত মোসলেম গ্রেফতার হওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে শোভনাসহ ডুমুরিয়াবাসীর মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যায়। গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত হয়ে অনেকেই খুশিতে শোভনা ও ডুমুরিয়া উপজেলা সদরে মিষ্টি বিতরণ করেছেন। নির্যাতিত একাধিক ব্যক্তি তার বিরম্নদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে যাতে মোসলেম উদ্দিন পার পেয়ে না যায় সে ব্যাপারে সংশিস্নষ্টদের সতর্ক ও যত্নবান হওয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে মোসলেম উদ্দিন গ্রেফতারের পর থেকে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা গা-ঢাকা দিয়েছে।