আগস্টে জামালপুরে আরেকটি খুনে বাহিনীর জন্ম দেয় জামায়াত। এদের নাম আল-বদর। পোস্টে দুটো ভিডিও ফুটেজে প্রমাণ রয়েছে কিভাবে জামাতের বর্তমান শীর্ষ নেতৃত্ব এই খুনে বাহিনীর সার্বিক তত্ববধানের পাশাপাশি এই হত্যাযজ্ঞে অংশ নিয়েছে। স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে কামারুজ্জামানের মতো খুনেদের, মুজাহিদ ও নিজামীদের মিথ্যাচারের মুখে লাথি দিয়ে সব স্বীকার করেছে বদর ক্যাম্পের গেট কিপার মোহন মুন্সি।
বর্তমানে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী সেসময় নিখিল পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন আর সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র সংঘের প্রধান। জামায়াতের মুখপাত্র দৈনিক সংগ্রামের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে তাদের এসব কীর্তিকলাপ ও বক্তব্যের নানা নমূনা। তাই মুখে তারা যতই অস্বীকার করার চেষ্টা করুন, লাভ নেই। হত্যা-ধর্ষণ-লুন্ঠনে সহযোগের প্রমাণ তারা মুছে ফেলতে পারবেন না। নিচের ভিডিও তারই প্রমান
জামায়াতের স্বরূপ উন্মোচনের জন্য বেশী কিছুর প্রয়োজন নেই। ২০০৮ সালে তারা কথিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের নামে এক ভন্ডামীর আয়োজন করে। সেখানে এই পরিহাসের প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠেন একজন বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ আলী আমান। টিভি ক্যামেরার সামনে সরাসরি প্রচারিত হয় তার প্রতিবাদ। তিনি বলেন –এই যুদ্ধাপরাধীদের ফাসিতে ঝুলিয়ে বিচার করা উচিত। এরপর জামাতের নেতা-কর্মীরা লাথি মেরে তাকে সেই সাজানো সম্মেলন থেকে বের করে দেয়। সেই লাথির দৃশ্যও ক্যামেরাবন্দী হয়।
একক ব্যক্তি বা ব্যক্তিগোষ্ঠীকেও বিচারের আওতায় আনার বিধি যুক্ত করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ সংশোধন করে ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) (সংশোধনী) বিল, ২০০৯’ পাস করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী, প্রতিরক্ষা বাহিনী বা সহায়ক বাহিনীর সদস্য ছাড়া অন্যদের বিচারের আওতায় আনার সুযোগ ছিল না।
গতকাল বৃহস্পতিবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বিলটি উত্থাপন করলে কণ্ঠ ভোটে তা পাস হয়। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পরপরই এ আইনের আওতায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরুর সম্ভাবনা আছে। এই বিলটির সঙ্গে গতকাল বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে আরো দুইটি বিল পাস হয়। আইনমন্ত্রী মানবাধিকার কমিশন বিল ২০০৯ এবং দ্য সুপ্রিম কোর্ট জাজেজ (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (সংশোধনী) বিল, ২০০৯ উত্থাপন করলে তা পাস হয়।
গতকাল পাস হওয়া ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) (সংশোধনী) বিল, ২০০৯ অনুসারে সশস্ত্র বাহিনী, প্রতিরক্ষা বাহিনী বা সহায়ক বাহিনীর সদস্য ছাড়াও একক ব্যক্তি বা ব্যক্তিগোষ্ঠীকেও বিচারের আওতায় আনার বিধান রাখা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে কর্মরত বা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য বা উক্ত কোর্টের বিচারপতি ছিলেন এমন ব্যক্তিকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বা সদস্য হিসেবে নিয়োগ করার বিধান রাখা হয়েছে।
এলডিপি’র চেয়ারম্যান কর্নেল (অবঃ) অলি আহমেদ বিলের দফায় সংশোধনী দিয়ে বলেন, ‘বিচারপতি হওয়ার যোগ্য’ ধারাটি বাদ দেয়ার প্রস্তাব করেন। এক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তবে আইন মন্ত্রী বলেন, জেলা জজরাও এর আওতাভুক্ত হতে পারেন। অথবা অভিজ্ঞ জেলা জজদের মধ্যে যারা ১০ বছরের বেশী অভিজ্ঞতা নিয়ে অবসর নিয়েছেন এমন কাউকেও এক্ষেত্রে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। দফা তুলে নেয়ার প্রস্তাব দেয়া হলেও অলি আহমেদ তা প্রত্যাহার না করে আইনমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দেন। উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচার যেন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয় সে কারণেই ‘বিচারপতি হওয়ার যোগ্য’ বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। এসময় দফা সংশোধনীর প্রস্তাব ভোটে না দিয়ে স্পিকার আব্দুল হামিদ এডভোকেট বলেন, যে ব্যাখ্যা এসেছে তাতে আর কোন সংশয় থাকার কথা নয়।
বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণে বলা হয়েছে, গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির আটক (ডিটেনশন), বিচার (প্রসিকিউশন) ও শাস্তির (পানিশমেন্ট) বিধান করার লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ প্রণয়ন করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দেশের বিভিন্ন সনে সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধ যেমন নরহত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ ইত্যাদির বিচার করার জন্য উক্ত আইনের বিধান অনুযায়ী ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি প্রতিষ্ঠা, চিফ প্রসিকিউটরসহ প্রসিকিউটর নিয়োগ এবং ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে উক্ত অপরাধসমূহের তদন্তপূর্বক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার বিধান থাকলেও আজ পর্যন্ত উক্ত অপরাধসমূহের সঙ্গে জড়িতদের বিচার অনুষ্ঠিত হয়নি।
বিলটি পাসের জন্য উত্থাপনের সময় আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ। তাই যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিচার করার উদ্দেশ্যে উক্ত আইনটি যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে এর কতিপয় বিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার বিলটি উত্থাপন করা হয় এবং মাত্র ১২ ঘন্টা সময় দিয়ে সংসদীয় কমিটিকে রিপোর্ট দেয়ার জন্য বলা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করার মাত্র কয়েক মিনিট আগে কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংসদে তা উপস্থাপন করেন। এর আগে সকালে কমিটির সদস্যদের দিয়ে বৈঠক করে বিলটি চূড়ান্ত করেন তিনি। বিলটি উত্থাপনের সময় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করবে। তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ যারা করেছে, তাদের বিচার সম্পন্ন করে দেশ ও জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে।
এর আগে ৬ জুলাই মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করতে ১৯৭৩ সালের আইনটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নীতিগতভাবে গ্রহণ করা হয়। ২৯ জানুয়ারি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে সংসদে পাস হয়। সরকারের এই কার্য্যক্রমে রাজাকাদের পায়ের কাঁপাকাপি আরম্ভ হয়ে গেছে একারনে তারা বিচার সম্পর্কে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে মগ বাজারের হতে ৩০ জন আইটি বিশেষজ্ঞকে নামিয়িছে তাদের এ অপ্রচারনা দাত ভাঙা জবাব সম্প্রতি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি একটি মিডিয়া কনফারেনস করে
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:২৫