গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে প্রচুর বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ে মানুষের জীবন যাত্রা খুব ভুগান্তিতে পরে যাচ্ছে। দেশে ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি সরবরাহ না করতে পারায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে । সেই সাথে জ্বালানির আমদানি নির্ভরের খাতে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছে সরকারের বকেয়াও বেড়ে যাচ্ছে। ফলে চাহিদা মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করাও যাচ্ছে না।
উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ দেয়া আদানি পাবে ৮০ কোটি ডলার, এজন্য প্রত্যাশিত বিদ্যুৎ দিচ্ছে না!
তেল দেয়া কোম্পানিগুলো পাবে ৫০ কোটি ডলার! তারাও তেল দেয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে!
দেশের গ্যাস অনুসন্ধান না করে উচ্চমূল্যে এলএনজি আমদানি করে সামিটের মাধ্যমে ডলার লুট করেছে বলে ডলার সংকট! গ্যাসের অভাবে বন্ধ আছে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র! সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠান পিডিবির কাছে কেউ পাবে ৪ হাজার কোটি/কেউ ৩৫০০ কোটি টাকা! অথচ গ্রাহক নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল দিয়েছে!
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ আসে গ্যাস-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে।গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা আছে প্রায় বারো হাজার মেগাওয়াট। আগে সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল।আর এখন পাঁচ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না।আগে বিদ্যুৎ খাতে দিনে ১২০ কোটি থেকে ১৩০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে। আর এখন ৮০ থেকে ৮৫ কোটি ঘনফুট সরবরাহ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পিডিবি ।কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে দিনে গ্যাস আসে একশ দশ কোটি ঘনফুট। সামিটের এলএনজি টার্মিনাল গত ২৭শে মে থেকে বন্ধ। ফলে এখন সরবরাহ হচ্ছে ৬০ কোটি ঘনফুট।
অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বকেয়া অর্থ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি।ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেছেন এখন আমাদের প্রধান সমস্যাই হচ্ছে অর্থ সংকট। তাই অন্য খাত থেকে কমিয়ে এনে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে হবে। আর তেল-চালিত কেন্দ্রগুলো বেশি চালাতে হবে। ডলার জোগাড় করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হবে। ১৫ শতাংশ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য গ্যাস রেশনিং করতে হবে। ধারণা করা যায় তাহলেই হয়তোবা লোডশেডিং এর সংকট সমাধান হতে পারে।
আমার প্রশ্ন আপনেরা বলেন দেখি আপনারা কারা কারা ১০ বছর ধরে বিদ্যুৎ বিল দেন নাই আর যদি দিয়ে থাকেন, ওই টাকা খাইলো কে ?
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৪