প্রসঙ্গ : বাংলাদেশের প্রথম রাজাকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত
1) 1905 সালে বঙ্গভঙ্গের বিরোধীতা করে যে লোকটা ধূতি পরে রাস্তায় নেমেছিলেন তাঁর নাম ছিল শ্রী শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।বঙ্গভঙ্গের ফলে রাজধানী হিসেবে কলকাতা তার কর্তৃত্ব হারায় আর ঢাকাকে করা হয় পূর্ব বঙ্গ তথা আজকের বাংলাদেশ এবং আসামের রাজধানী।আর এতেই মাথা খারাপ হয়ে যায় রবি ঠাকুরসহ অন্যান্য ভারতীয় জমিদার ও ব্যবসায়ীদের।কোমড়ে গামছা বেঁধে তাঁরা পূর্ব বঙ্গ তথা আজকের বাংলাদেশের বিরোধীতায় নেমে পড়ে এবং এতে তারা সফলও হয়।তাঁদের বিরোধীতার ফলে 1911 সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করে পুনরায় পূর্ব বঙ্গ তথা বাংলাদেশকে ভারতের সাথে জুড়ে দেয়া হয় এবং পূর্ববঙ্গ তার স্বাধীনতা হারায়।
2)তৎকালীন পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার চরম দূর্দশার কথা চিন্তা করে 1921 ঢাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।অথচ এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারও বিরোধীতা করেছিলেন ভারতীয় কবি শ্রী শ্রী রবী ঠাকুর!
১৯১২ সালের ১৮ই মার্চ কলিকাতার গড়ের মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মুসলিমদের গালি দিয়ে বলেছিলো,
“চাষার ছেলেরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তবে ক্ষেতে খামারে কাজ করবে কারা?”
Source : goo.gl/H9HnoL
পূর্ববঙ্গে ঠাকুর পরিবারের জমিদারী ছিল বিরাট। এই পূর্ববঙ্গে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা ঘোষণা হলো ১৯১২ সালের ২রা ফেব্রুয়ারিতে, তখন হিন্দুরা এর তীব্র বিরোধিতা শুরু করলেন। আর রবীন্দ্রনাথও এদের দলে যোগ দিলেন। তিনি একবারও ভেবে দেখলেন না যে তার মুসলিম প্রজাবর্গ শিক্ষার সুযোগ পাক।
১৯১২ সালের ১৮ই মার্চ কলিকাতার গড়ের মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে হিন্দুরা যে সভা করল, সেই সভায় সভাপতিত্ব করলেন স্বয়ং কবি রবীন্দ্রনাথ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সেদিন নেমেছিল হিন্দু সংবাদপত্রগুলো, হিন্দু বুদ্ধিজীবী ও নেতারা। গিরিশচন্দ্র ব্যানার্জী, রাসবিহারী ঘোষ এমনকি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর স্যার আশুতোষ মুখার্জির নেতৃত্বে বাংলার এলিটরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে ১৮ বার স্মারকলিপি দেন লর্ড হার্ডিঞ্জকে এবং বড়লাটের সঙ্গে দেখা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বাধা দান করতে।
( তথ্যসূত্র :- ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি কমিশন রিপোর্ট, খ- ৪, পৃ. ১৩০)
এতসব করার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলো। তবু বিরোধিতা ও ঘৃণা অব্যাহত রইল। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘মক্কা’ বিদ্যালয় বলে বিদ্রুপ করা হতে থাকে।
রাজাকার কারে বলে দেখেন!!
অথচ বঙ্গভঙ্গের বিরোধীতা করে লেখা ভারতীয় এই কবির রচিত গানই আমাদের জাতীয় সংগীত!!
এই লজ্জা রাখি কোথায়?
Courtesy:- রাসেল ইউসুফী
Source :-
1. বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন----https://bn.m.wikipedia.org/wiki/বঙ্গভঙ্গ_আন্দোলন
2. Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩২