৫ আগস্ট গণভবনে ঢুকে আমি প্রথমে পুকুর পারটায় যেয়ে বসি। কেউ পুকুর পাড়ে বসে কাঁদছে, কেউ গোসল করছে, কেউ মাছ ধরছে। সবার মাঝে মুক্তির আনন্দ।
এর মধ্যে এক মধ্য বয়সী ভদ্রলোক আমার পাশে এসে বসেন। যে গ্রুপটা সর্বপ্রথম গণভবনে ঢুকে তাদের মধ্যে তিনি একজন। লোকটা নানান গল্প করতে করতে বেশ বিষন্ন হয়ে যায়।
একটা পর্যায়ে বলে, জানেন ভাই, এই মহিলা দুপুরে খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার ডাইনিংয়ে ১০-১২ পদের আইটেমের বুফে প্রস্তুত ছিল। একদম গরম টাটকা খাবার।
তার ফ্রিজ্গুলো খুলে দেখেছিলাম। এত বড় বড় পাংগাস মাছ আমি জীবনেও দেখিনি।
অন্তত ১০-১২ টা আস্ত ইলিশ মাছ দেখেছি। একেকটা ১.৫ কেজির কম না।
একটা গরীব দেশে এই মহিলা রানীর মত বসবাস করছিল। অথচ এই মহিলা আমাদেরকে পিয়াজ ছাড়া, তেল ছাড়া রান্না করতে বলতো, বাচ্চাদেরকে কাঁঠালের বার্গার খাওয়াতে বলতো, ভাতের বদলে আলু খেতে বলতো।
আমার বাচ্চা অনেক দিন ইলিশ মাছ খায় না। সাধ্য হয় না কেনার। বলতে বলতে লোকটা কেঁদে ফেললো।
আমি কিচ্ছু ধরি নাই। খুব ঘৃনা লেগেছে এই খাবারগুলো দেখে।
তারপর চোখ মুছতে মুছতে বললো, শেখ হাসিনা এদেশের মানুষকে প্রচন্ড ঘৃণা করতেন আর আমাদের কস্ট দেখে আনন্দ পেতেন।
কথা সত্য। উনি আমাদেরকে ঘৃনা করতেন, অসম্ভব রকমের ঘৃনা করতেন।
সর্বপরি আমি মনে করি যেখানে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার এবং হাজার হাজার মানুষকে ঘুম খুন হত্যা করা হয়েছে সেইখানে এইসব সাধারণ ব্যাপার।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪৬