আমাদের হাতে যখন কোন কাজ থাকে না তখন আমরা কী করি?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মনে হয় আমরা ফেসবুকে বসে লাইক-শেয়ার গুনি।
কেউ কেউ হয়তো এর বাইরে অন্য কিছু করেন।
গতকাল ছিল পাই ডে, আইনস্টাইনের জন্মদিন এবং হকিঙের মৃত্যুবার্ষিকী।
এরকম একটা দিন কীভাবে সেলিব্রেট করা যায়?
তো, ভাবলাম ওনারা যা করতে ভালবাসতেন সেরকম একটা কিছু করা যয় কি না। সে চিন্তা থেকে আমার সাইটে নতুন একটা সিরিজ শুরু করেছি। সেটা হলো ধাঁধা নিয়ে লেখালেখি করা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগুলো হয়তো গণিতের ধাঁধা হবে। কিন্তু, সমস্যাগুলো সমাধান করতে অনেক বেশি গণিত জানার দরকার হবে না।
সিরিজের প্রথম লেখা হিসাবে আইনস্টাইনের কাছে পাঠানো তাঁর একজন মনোবিদ বন্ধুর একটি সমস্যা নিয়ে আলাপ করেছি।
এই ধরণের সমস্যার সমাধান করার একটা সংস্কৃতি যদি আপনি নিজের মধ্যে গড়ে নিতে পারেন তাহলে সেটা আপনাকে একটা নতুন জগতের সন্ধান দেবে। আর যারা ছোট স্কুল-কলেজে পড়ে তাদের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আগ্রহ তাদের অনেকখানি এগিয়ে নিতে পারবে।
বাক্সের বাইরে চিন্তা করার দক্ষতা গড়ে উঠে না দেখে আমরা অনেক সময় পিছিয়ে পড়ি। আমি প্রায়শ উবারের উদাহরণ দেই। আমি যখন ১৯৮৬ সালে ঢাকায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসি তখন প্রথম আবিস্কার করি ঢাকায় শেয়ারে রিকশাতে চড়া যায়। বুয়েট থেকে গুলিস্তান ২টাকা শেয়ারে যাওয়া যায়, সম্পূর্ণ অপরিচিত কারো সঙ্গে। সায়েন্স ল্যাবরেটিরি থেকে শংকর তিনটাকা এবং ১৫ নম্বরে নেমে গেলে দুই টাকা। অনেক বছর আগে একবার নড়াইল গিয়ে দেখলাম সেখানে মোটর সাইকেলে করে রাস্তা পাড়ি দেওয়া যায়। এসব কথা বলার একটিই কারণ সেটি হলো রাইড শেয়ারিং-এর ধারণা আমাদের অনেক পুরাতন এবং সংস্কৃতিরই অংশ। অথচ স্মার্টফোনভিত্তিক এই শেয়ারিং-এর সমাধান কিন্তু আমাদের দেশের কারও মাথা থেকে বের হয়নি। হয়েছে উবারওয়ালাদের মাথা থেকে। কেন?
আমার মনে হয়, আমরা ছোটবেলা থেকে সমস্যা সমাধান কেন্দ্রিক পড়ালেখা করি না। সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের মন-মানসিকতা তৈরি হয় নাই। আমরা প্রথমত ধরে নেই সমস্যার সমাধান কোথাও না কোথাও লেখা থাকবে (নোটবইও হতে পারে) এবং আমাদের সেটা মুখস্ত করতে হবে। এই ধারণা থেকে বের হওয়ার যুক্ত, সাহস কোনটাই আমরা আর এক জীবনে করতে পারি না। আমি দেখি আমাদের ছেলে-মেয়েরা বই-এর কোন অঙ্ক করতে না পারলে তা স্যারকে দিয়ে করিয়ে নেয়। সেটা না হলে বাসার বড় ভাই-বোন বা বাবা-মা'র সাহায্য নেয়। নিজে নিজে চেষ্টা করে না। কারণ নিজে নিজে চেষ্টা করার যে আনন্দ সেটা আমরা তার মধ্যে সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছি।
আ্মি একটু খুশি যে, এখন নতুন যে কারিকুলাম তৈরি হচ্ছে, সেকানে এই বিষয়টাকে মথায় রাখা হয়েছে। হবে কি না সেটা সময় বলবে।
যারা আইনস্টাইনের বোকা বনে যাওয়ার সমস্যা ও সেটির সমাধানের আলোচনা পড়তে চান তারা সেটিআমার সাইট থেকে পড়ে নিতে পারবেন।
যাদের হাতে সময় থাকবে তারা ত্রিভূজ খোঁজার আনন্দও পেতে পারেন এখানে
সবার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:০২