somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নেই কাজ তো খই ভাঁজ

১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের হাতে যখন কোন কাজ থাকে না তখন আমরা কী করি?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মনে হয় আমরা ফেসবুকে বসে লাইক-শেয়ার গুনি।
কেউ কেউ হয়তো এর বাইরে অন্য কিছু করেন।
গতকাল ছিল পাই ডে, আইনস্টাইনের জন্মদিন এবং হকিঙের মৃত্যুবার্ষিকী।
এরকম একটা দিন কীভাবে সেলিব্রেট করা যায়?

তো, ভাবলাম ওনারা যা করতে ভালবাসতেন সেরকম একটা কিছু করা যয় কি না। সে চিন্তা থেকে আমার সাইটে নতুন একটা সিরিজ শুরু করেছি। সেটা হলো ধাঁধা নিয়ে লেখালেখি করা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগুলো হয়তো গণিতের ধাঁধা হবে। কিন্তু, সমস্যাগুলো সমাধান করতে অনেক বেশি গণিত জানার দরকার হবে না।

সিরিজের প্রথম লেখা হিসাবে আইনস্টাইনের কাছে পাঠানো তাঁর একজন মনোবিদ বন্ধুর একটি সমস্যা নিয়ে আলাপ করেছি।

এই ধরণের সমস্যার সমাধান করার একটা সংস্কৃতি যদি আপনি নিজের মধ্যে গড়ে নিতে পারেন তাহলে সেটা আপনাকে একটা নতুন জগতের সন্ধান দেবে। আর যারা ছোট স্কুল-কলেজে পড়ে তাদের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আগ্রহ তাদের অনেকখানি এগিয়ে নিতে পারবে।

বাক্সের বাইরে চিন্তা করার দক্ষতা গড়ে উঠে না দেখে আমরা অনেক সময় পিছিয়ে পড়ি। আমি প্রায়শ উবারের উদাহরণ দেই। আমি যখন ১৯৮৬ সালে ঢাকায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসি তখন প্রথম আবিস্কার করি ঢাকায় শেয়ারে রিকশাতে চড়া যায়। বুয়েট থেকে গুলিস্তান ২টাকা শেয়ারে যাওয়া যায়, সম্পূর্ণ অপরিচিত কারো সঙ্গে। সায়েন্স ল্যাবরেটিরি থেকে শংকর তিনটাকা এবং ১৫ নম্বরে নেমে গেলে দুই টাকা। অনেক বছর আগে একবার নড়াইল গিয়ে দেখলাম সেখানে মোটর সাইকেলে করে রাস্তা পাড়ি দেওয়া যায়। এসব কথা বলার একটিই কারণ সেটি হলো রাইড শেয়ারিং-এর ধারণা আমাদের অনেক পুরাতন এবং সংস্কৃতিরই অংশ। অথচ স্মার্টফোনভিত্তিক এই শেয়ারিং-এর সমাধান কিন্তু আমাদের দেশের কারও মাথা থেকে বের হয়নি। হয়েছে উবারওয়ালাদের মাথা থেকে। কেন?
আমার মনে হয়, আমরা ছোটবেলা থেকে সমস্যা সমাধান কেন্দ্রিক পড়ালেখা করি না। সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের মন-মানসিকতা তৈরি হয় নাই। আমরা প্রথমত ধরে নেই সমস্যার সমাধান কোথাও না কোথাও লেখা থাকবে (নোটবইও হতে পারে) এবং আমাদের সেটা মুখস্ত করতে হবে। এই ধারণা থেকে বের হওয়ার যুক্ত, সাহস কোনটাই আমরা আর এক জীবনে করতে পারি না। আমি দেখি আমাদের ছেলে-মেয়েরা বই-এর কোন অঙ্ক করতে না পারলে তা স্যারকে দিয়ে করিয়ে নেয়। সেটা না হলে বাসার বড় ভাই-বোন বা বাবা-মা'র সাহায্য নেয়। নিজে নিজে চেষ্টা করে না। কারণ নিজে নিজে চেষ্টা করার যে আনন্দ সেটা আমরা তার মধ্যে সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছি।
আ্মি একটু খুশি যে, এখন নতুন যে কারিকুলাম তৈরি হচ্ছে, সেকানে এই বিষয়টাকে মথায় রাখা হয়েছে। হবে কি না সেটা সময় বলবে।

যারা আইনস্টাইনের বোকা বনে যাওয়ার সমস্যা ও সেটির সমাধানের আলোচনা পড়তে চান তারা সেটিআমার সাইট থেকে পড়ে নিতে পারবেন।

যাদের হাতে সময় থাকবে তারা ত্রিভূজ খোঁজার আনন্দও পেতে পারেন এখানে

সবার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক।


সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:০২
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×