অনেকেই এই শিরোনামের লেখাগুলো পড়ছেন। এই শিরোনামে একটা বক্তৃতা দিয়েছিলাম প্রথম আলোতে। সেখানে অনেক আগ্রহ দেখিয়েছেন। পরে আমি সিরিজটা লিখতে শুরু করেছি, বিক্ষিপ্ত ভাবে। সামনে ৮ জানুয়ারি হকিং-এর জন্মদিন উপলক্ষে বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির পক্ষ থেকে আমাকে একটা বক্তৃতা দিতে বলা হলে আমি ভাবলাম এটাই দেই। হকিং-এর কথা ভাবলে আমার এখন আইনস্টাইন আর মেরিলিন মনরো'র কথাই মনে হয়।
হকিং-এর কেমব্রিজের আগের অফিসের দরজা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলে প্রথম ধরাটা খেতে হতো। কারণ দরজায় লেখা ছিল - Boss a sleep!"
তো সেই রুমের ভিতরে দুইটা পোস্টার - আইনস্টাইনের আর মনরোর। আপনি যদি হকিং-এর টেবিলে বসে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন তাহলে আপনি দেখবেন আইনস্টাইনকে কারণ সেটি হকিং-এর পেছনে। আর হকিং দেখবেন মেরিলিনকে কারণ সেটা আপনার পেছনে।
বক্তৃতায় আমি অবশ্য পদার্থবিজ্ঞান, কসমোলজি, জেনারেল থিউরি অব রিলেটিভিটি বা কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে আলাপ করবো না। আমি বরং আলাপ করবো ঈশ্বরের পাশা খেলার ব্যাপারটা তাঁর মাথায় কেন ঢুকেছে, কেন তিনি ভাবতেন ঈশ্বরের পাশাটা মাঝে মধ্যে দেখা যায় না? কিংবা কেন তাঁর ধারণা ছিল ঈশ্বরের মন বোঝা হল মানব জাতির চিরন্তণ লক্ষ্য?
অথবা আইনস্টাইনের সঙ্গে তাঁর বিরোধটা কোথায়? কেন তিনি আইনস্টাইনের জগতের মানুষ হয়েও আইনস্টাইনের সঙ্গে সহজে বিরোধে জড়াতেন?
সবচেয়ে বড় কথা, অন্যের সাহায্য ছাড়া চলতে ফিরতে পারতেন না যে লোক সে লোক কীভাবে মনে করতেন বিজ্ঞানের ইতিহাসে গ্যালিলিও, নিউটন ও আইনস্টাইনের পরেই তাঁর নিজের অবস্থান?
এসবের একটা কারণ আমি জানি।
মেরেলিন মনরো!!!
যারা আসতে আগ্রহী তারা ফেসবুক ইভেন্ট পেজে দয়া করে ঢু মারবেন।
হকিং আইনস্টাইন ও মেরিলিন মনরো
কারণ নিবন্ধনের একটা ব্যাপার আছে যদিও টেকা-টুকার কোন ব্যাপার নেই। বক্তৃতা শেষে যদি আপনারা টেকাটুকা দিতে চান সেটা অবশ্য বক্তা সানন্দে গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬