চট্টগ্রাম শহরের আন্দরকিল্লায়, নানা বাড়িতে আমার জন্ম। নানা বাড়িটি ব্যাপক হৈচৈ-এর বাড়ি। ১৯৫২ সালে এটি নির্মাণে নেতৃত্ব দেন আমার নানী। সেই থেকে সেখানেই আমার নানা সপরিবারে থাকতেন। তাঁর বেশিরভাগ নাতি-নাতনির জন্ম হয়েছে সেখানেই।
আমার মা, ডা. খাস্তগীর স্কুলে পড়ান আর বিয়ের পর থেকে থাকেন কাপাসগোলা দাদার সংসারে।দাদা আহমদ চৌধুরী একজন স্কুল শিক্ষক। নানার বাড়িটি দোতলা পাকা বাড়ি। আর কাপাসগোলার ভাড়া বাড়িটি একটি বেঁড়ার ঘর। টিনের ছাউনি। তবে বাড়ির পেছনে একটু খোলা মতন জায়গা। সেখানে একটু দূরে কলতলা। একটি টিউবওয়েল ছিল, সেটা দিয়ে পানি তুলতে হতো।
আমার পিঠেপিঠি বড় ভাই আর আমি প্রায় কলতলায় গিয়ে পানি ছিটিয়ে আনন্দ পেতাম। দাদা সরকারি চাকরি থেকে রিটায়ার করে বিভিন্ন জায়গায় স্কুল বানানোর বুদ্ধি করছেন। চাচাদের মধ্যে সেজোজন প্রকৌশলী (প্রয়াত, বাংলাদেশ রেরওয়ের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মজীবন শেষ করেন, তার রেলজীবনের বড়ো অর্জন ঢাকা-চট্টগ্রাম প্রথম বিরতিহীন ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস চালু করাতে নেতৃত্ব দেওয়া) । ইঞ্জিনিয়ার এটা পুরোটা বলতে পারতাম না বলে বলতাম - ইনি চাচা।
১৯৭০ সালে আমার বড় ভাইকে সেন্ট মেরিস স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়। ভাইয়া স্কুলে চলে গেলে আমি একা হয়ে যেতাম। মা বাসায় ফিরলে তাই বলতাম – আমাকে স্কুলে ‘ভর্তা’ করাই দাও। ’৭০ এর নির্বাচনের কথা আমার মনে থাকার কথা নয়। জানিও না। পরে জেনেছি রাউজানে আমাদের এলাকায় নির্বাচিত হয়েছেন খালেক মামা, প্রয়াত দৈনিক আজাদীর সম্পাদক।
আমার স্কুলে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয় ১৯৭১ সালে। ভাইয়ার সঙ্গে আমিও স্কুলে যেতে শুরু করলাম। স্কুলে গিয়ে কাঁদতাম। কিন্তু অপেক্ষা করতাম কখন ছুটি হবে। বাসায় গিয়ে কলতলায় পানি ছিটাতে পারবো এই আনন্দে স্কুল কাটাতাম। সে সময় কাপাসগোলায় আমাদের বাসায় দুইজন সাহায্যকারী ছিলেন। এদের একজন আবদুল ও আর একজন নোয়ামিয়া (??)। কলতলায় আমাদেরকে কেউ জিঙ্গেষ করলে আমি বলতাম – আমরা কাজ করি। আমি আবদুল, ভাইয়া নোয়াইয়া!
মার্চের ২৫ তারিখে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কয়েকদিনের মধ্যে দাদা বাবাকে বলেন – আমাদেরকে আন্দরকিল্লায় নানাবাড়িতে রেখে দিতে, মাও যেন সেখানে থাকে। দাদীসহ বাকীদের রাউজানে পাঠিয়ে দেন তিনি। আমরা চলে আসি আন্দরকিল্লায়।
১৯৭০ সালের শেষের দিকে বাবা জার্মানী থেকে ব্যাংকিং-এর উপর একটা ট্রেনিং করে ফিরলেন। সঙ্গে আনলেন ফ্রিজ, টেলিভিশন, কেকবেকিং যন্ত্র, পাউরুটি টোস্ট করার যন্ত্র – এরকম নানান ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র। আমি আর আমার ভাইয়ের জন্য আনলেন দুইটি খেলনা পিস্তল, কাগজের মধ্যে বারুদ লাগানো, রোল করা। গুলি করলে ধোঁয়া বের হয় আর শব্দ হয়। আমাদের সেই পিস্তল সার্বক্ষণিক সঙ্গী। টেলিভিশন খুব একটা দেখা যায় না। কারণ অনেক উঁচুতে এনটেনা লাগাতে হয়।
আন্দরকিল্লায় আসার সময় কেবল পিস্তল দু্ইটি নিয়ে আসতে পেরেছি। স্কুল বন্ধ। আন্দরকিল্লায় আমার অনেক ‘তো’ ভাইবোন। ৩ নং রাজাপুর লেইন, নানার বাসার পাশেই মেজখালার বাসা। সেখানে বাবলা ভাই, এরশাদ ভাই। তার পরের বাসাটা আমিন মামার। আমিন মামার ছেলে মহিম আমারই বয়সী। আর পুকুর পাড় দিয়ে হেটে বা হাতি কোম্পানির মাঠ দিয়ে যাওয়া যায় নজির আহমদ চৌধুরী বাই লেইনে। সেখানে থাকে মামাতো ভাই তৌহিদরা। তৌহিদরা পাঁচ ভাই। সবার ছোট তৌহিদ আমার বয়সী। কাজে ছুটিতে ফুর্তি ফার্তার ব্যাপক প্ল্যান। মার্চের ২৮ বা ২৯ তারিখের কোন একদিন আমি খেলার জন্য কিছুটা দূরে তৌহিদদের বাসাতে যাই। খেলার পর আমি বাসায় ফিরবো। কি্ন্তু একা একা ফিরতে ভয়। তাই তৌহিদ আমাকে এগিয়ে দিতে আসলো আমাদের বাসায়। কিন্তু একা একা সেও ফিরতে পারে না। তাই আমি তাকে এগিয়ে দিতে আবার গেলাম! এভাবে কয়েকবার আসা যাওয়ার পর তৌহিদের মেজভাই, মইনু ভাই, ব্যাপারটা খেয়াল করলেন এবং আমাকে বাসায় দিয়ে গেলেন! এভাবে আমাদের দিন কাটে।
এর মধ্যে একদিন বিকেলে মাঠে গিয়ে আমরা দুই ভাই পিস্তল ফুটাতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে গোলাগুলি শুরু হয়ে যায়। মামা’রা আবিস্কার করেন আমাদের হাতের খেলনা পিস্তল সবার জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। কাজে দুই পিস্তলই সিজড হয়ে গেল! যুদ্ধর পর আর ফিরেই পেলাম না।
ক’দিন পরেই আমরা রাউজানে গ্রামের বাড়িতে চলে গেলাম। সে সময়কার স্মৃতি তেমন মনে নেই। পরে অনেক শোনা স্মৃতি থেকে দিনগুলোকে জোড়া লাগানো যায়। রাউজান হল রাজাকার শিরোমনি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীদের এলাকা। আমরা যে খুব নিরাপদ তাই নয়। কারণ গোষ্ঠীগতভাবে আমরা আওয়ামী লীগার। কাজে কিছুদিন পরেই আমাদেরকে পাঠানো হল ইয়াসিন নগরে অন্য একজনের বাড়িতে। ঐ বাড়িতে যাওয়ার কোন রাস্তা নেই। বিলের ভিতর দিয়ে যেতে হয়। কয়েক মাইল হেটে যাওয়া। আমার শুধু মনে আছে আমি আর আমার ভাই এই রাস্তার দীর্ঘ সময় হয় নাসির চাচা (সাংবাদিক, এখন চট্টগ্রামের দৈনিক সুপ্রভাতের নগর সম্পাদক) কিংবা (প্রয়াত) তসলিম চাচা (স্থপতি, দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক)-এর কাঁধে চড়ে সেই বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানকার স্মৃতি কেবল একটা মনে আছে। খিদে পেয়ে বেশি চেঁচালে আমাকে মুড়ি খেতে দেওয়া হতো। কোন কোন সময় গোল বাটিতে চাসহ। মুড়ি চা’তে ভিজিয়ে খাওয়া! কয়েকমাস পরে আবার আমরা আমাদের রাউজানের বাড়িতে ফিরে আসি।
ইয়াসীন নগর থেকে বাড়িতে ফিরে এসে জানতে পারি পাকিস্তানীরা আমাদের কাপাসগোলার বাড়িটা সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে দিয়েছে। ওখানে কিছু নেই। টেলিভিশন আর কেক বেকারের জন্য আমি অনেক কান্নাকাটি করার পর আমাকে কাঁদতে মানা করা হলো। কারণ আমাদের বাড়ি পাঠানোর কিছুদিন পরই দাদা নাকি বাসার সব দামী জিনিষপত্র নানার বাড়িতে রেখে দিয়েছেন। কাজ পাকিস্তানীরা খাট-পালং, কয়েকটা আলমিরা ভর্তি কাপড় ইত্যাদি জ্বালাতে পেরেছিল। (১৯৭২ সালে একবার সেখানে গিয়ে আমরা দেখেছি কেবল নিচের পাকা ফ্লোরটি আছে। মানে আমরা যদি থাকতাম ঐদিন তাহলে সবাই পুড়ে ছাই হয়ে যেতাম। আর কিছু নেই। ওখানে একটা বহুতল ভবন হয়েছে এখন।)
১৬ ডিসেম্বর পাকিদের পতনের খবর আমাদের বাড়িতে এসে পৌঁছেছে কিনা সেটি মনে করতে পারছি না। কিন্তু ১৭ ডিসেম্বর আমাদের গ্রামে কয়েকজন রাজাকারের নেতৃত্বে একদল পাকিস্তানী সৈন্য প্রবেশ করে। টের পেয়ে বাড়ির পুরুষরা মেয়েদেরসহ আমাদেরকে পেছনের বিলে পাঠিয়ে দেয়। আমি যাবার পথে আমার ব্যাডমিন্টন খেলার রেকেটটা হাতে নিয়েছি।
পাকিরা বিভিন্ন বাড়িতে যা পায় সেগুলোতো নিয়েছেই, যাবার সময় ডালপালা দিয়ে ঢেকে রাখা এক চাচার তিনটে বাসে আগুন দিয়ে যায়। আর আমাদের গ্রামের কম বয়স্কদের ধরে বেঁঁধে নিয়ে যায়। রাউজান কলেজে যুদ্ধের সময় পাকিদের আর রাজাকারদের আড্ডা। সেখানে সাকার নেতৃত্বে যে কত লোকরে মারছে আল্লাহ জানেন।
আমাদের গ্রাম থেকে রাজাকার আর পাকিরা যখন রাউজান কলেজে গিয়ে ঢোকে ততক্ষণে সেখানকার পাকিদের পতন হয়েছে। রাউজান কলেজ চলে গেছে মুক্তিবাহিনীর হাতে। কাজেই রাজাকার এবং পাকিরা ধরা পড়লো। আর চাচারা সবাই বেঁচে গেলেন। আমরা যখন দুরু দুরু বুকে ভয়ের কোন খবরের জন্য অপেক্ষা করছি তখন কেউ একজন বাড়িতে এসে বিজয়ের খবর ঘোষণা করলে আমরা সবাই আনন্দে ফেটে পড়ি। শুধু দাদাদের দেখেছি বাড়ির যে সব ছেলেরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছে তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিতে। আমার চাচাদের মধ্যে সেজোচাচা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চাচীকে ট্রেনে তুলে দিয়ে যুদ্ধে চলে যান। তার জন্য ছিল দাদীর অপেক্ষা।
এই আমার মহান মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা।
এ কেবল আমার গল্প নয়, এ বাংলাদেশের সাড়ে সাতকোটি মানুষেরই গল্প। আমার চাচারা বেঁচে গিয়েছিলেন মুক্তিবাহিনীর বিজয়ের জন্য। কিন্তু সবার বাবা কিংবা চাচারা পারেননি। ৩০ লক্ষ শহীদ হয়েছেন। আর তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের আজকের এই বিজয়। আজকের বিজয়ের দিনে একটি ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়া স্বপ্ন নিয়ে ত্রিশ লক্ষ শহীদের সেই আত্মত্যাগের কথা যেন আমরা না ভুলি। আমাদের “যার যা কিছু আছে তাই দিয়ে” যেন আমরা সেই স্বপ্নপূরণের লড়াই অব্যাহত রাখতে পারি।
২০১৬ সালের বিজয় দিবস ছিল রাউজানবাসীর জন্য অন্যরকম আনন্দের। আমার জন্য সবিশেষ। কারণ বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে যতোবারই বাড়ি যেতাম পথে কুন্ডেশ্বরীর বাড়িটা চোখে পড়তো। বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে জানতাম কুন্ডেশ্বরীর মালিককে নিজহাতে হত্যা করেছে সাকা চৌধুরী এবং এ রাজাকারের কোন বিচার হবে না। আমাদের গ্রামসহ পুরো রাউজান দাপিয়ে বেড়িয়েছে সাকার পেটোয়াবাহিনী। ছোটবেলায় শুনতাম সাকার কখনো শাস্তি হবে না। সাকারা বিচারের উর্ধে!
কিন্তু না, আল্লাহতায়ালা শেখের বেটিকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী করেছেন যেন রাউজান কালিমামুক্ত হতে পারে। সাকাবিহীন বিজয় দিবস
কতো আনন্দের, কতো আনন্দ-অশ্রুর তা কেবল রাউজানের লোকেরাই বলতে পারে। ধন্যবাদ শেখ হাসিনা আমাদেরকে আনন্দের বিজয় দিবস উপহার দেওয়ার জন্য।
গতকাল রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। চিহ্নিত রাজাকারদের এখন আমরা নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে পারবো। তালিকা হোক আলবদর, আল শামসদেরও।
প্রতি বছর বিজয় দিবস আমি রুবাই আর বিদুষীকে কোন না কোন মুক্তিযোদ্ধার কাছে নিয়ে যেতাম। এবছর সেটি করা করা হয়নি। ২০ তারিখ থেকে বিদুষীর স্কুল ছুটি হবে। তখন তাকে নিয়ে আবারও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার কাছে নিয়ে যাবো।
এ বছর ১৯৭১ এর দিনগুলোর কথা বিশেষভাবে মনে পড়ার একটি কারণ হলো প্রথমা প্রকাশণী প্রকাশিত বিজয়ের মুহূর্ত বইটি। মতিউর রহমান সম্পাদিত এই বইটিতে ২২ জন ব্যক্তি তাদের দেখা ১৯৭১-এর বিজয়ের মুহূর্তটি তুলে ধরেছেন। এদের কেউ বিজয়ের ক্ষণে রেসকোর্সে ছিলেন, কেউ ছিলেন যশোরে, কেউ ছিলেন এলিফেন্ট রোডে (আমি এখন যে বাসায় বসে এই লেখাটি লিখছি, তার থেক ৩০০ মিটার দূরে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের বাড়ি )। এই ২২ জনের মধ্যে আছেন সুফিয়া কামাল, এ কে খন্তকর বীর উত্তম, কে এম সফিউল্লাহ বীর উত্তম, জাহানারা ইমাম, শামসুর রাহমান, সরদার ফজলুর করিম, আদুল গাফফার চৌধুরী, আবুল মাল আবদুল মুহিত, সন্জীদা খাতুন, শামসুদ্দীন আহমেদ, হাসান আজিজুল হক, কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, হুমাযূন আহমেদ, রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, গাজী মো. রহমত উল্লাহ বীর প্রতীক, শফায়াত জামিল বীর বিক্রম, আবু ওসমান চৌধুরী, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, মুনতাসীর মামুন, সেলিনা হোসেন ও সিমিন হোসেন রিমি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমা প্রকাশনীর ফেসবুক পেজে সেলিনা হোসেন, আনোয়ার উল আলমের বয়ান শোনাও যাবে।
এই বই-এর এক একটি স্মৃতি কথা পড়ি আর কখনো কান্না আর কখনো ক্রুদ্ধ হই। আর পড়তে পড়তে মনে পড়েছে নাচির চাচা বা তসলিম চাচার কাঁধে চড়ে ইয়াসিন নগরে যাওয়ার কথা, চট্টগ্রাম শহর থেকে রাউজান যাওয়ার পথে পথে পাকিদের গাড়ি থামিয়ে তল্লাশী করার কথা।
ঐ বই থেকে হুমায়ূণ আহমেদের লেখা আমার বাবার জুতো-র শেষের অংশটুকু
"প্রতিবছর বিজয় দিবস আসে, আমি নিজের হাতে বাসায় একটা পতাকা টানাই। পতাকাটার দিকে তাকিয়ে থাকতে আমার বড় ভালো লাগে। আমার কী সৌভাগ্য, স্বাধীন দেশের পতাকা নিজের হাতে ওড়াচ্ছি।
আমারে তুমি অশেষ করেছ, এমনি লীলা তব
ফুরায়ে গেলে আবার ভরেছ জীবনে নব নব"
বিদুষীর বানানো বিজয় দেয়ালের ছবি দিয়েছি এই লেখার শুরুতে। গতকাল বাসার একটি কাপড় টাঙ্গানোর রডের সঙ্গে জাতীয় পতাকা যুক্ত করে নিজের বিজয় নিশান বানিয়েছে সে। তার ছবি দিলাম।
বিদুষীদের কাছে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস যেন আমরা ঠিকমতো তুলে ধরতে পারি, নতুন প্রজন্ম যেন আমাদের গৌরবের যোগ্য উত্তরাধিকার হতে পারে সেজন্য কাজ করে যাওয়া হোক আমাদের এবারের বিজয় দিবসের অঙ্গীকার।
জয় বাংলা
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৬