জনৈকা তাসলিমা এবং এক কবি
কে আছ এসো আমাকে আলিঙ্গন করবে
দু'হাত বাড়িয়ে ডাকছে
অষ্টাদশী তাসলিমা।
এক পথ কবি সে ও চিত্কার করে ডাকছে
আসছালাতু খায়রুমিনাননাইম.
এসো হে নবীনা এসো , নতুন করে এই
গ্রহটারে দেখো; দেখো ভোর; ভোরের মৃদু সমীরণ।
রহস্যময়ী জলে ডুব দিলো তাসলিমা
সুবর্ণ রেখা পেরিয়ে গহবরে
ছায়াতে ঢাকা গেছে তার সূর্য প্রদীপ।
কবি ডাকছে এসো
হাইআলার ফালাহ
শোন পাখিদের কলতান
এসো গান ধরি হাছন লালনের গান।
অদ্ভুত জ্যামে আটকায় তাসলিমা
আঁধারে খুঁজে ফিরে আলো।
কবি চিত্কার করে চলে
দেখো নদী, নদীর বুকে জেগে উঠা চর
দেখো আকাশের নক্ষত্রদের মিষ্টি হাসি
হাইআলার ফালাহ
সূখ ছুঁয়ে যায় পা থেকে মাথা।
তাসলিমার সুর কেটে গেছে কবে
ধরতে পারেনি সে স্বপ্নের শুক পাখি
দুঃসহ অপেক্ষায়;ফিরবে কবে সেই
পাখির বাসায়। বাসাটি এখনো ঝুলে আছে
তাল গাছের শাখায়। গ্রিল নেই, রং নেই
দেখা যায়না আকাশ।
যৌবন তার চলে গেছে কখন
প্রৌঢ়া হয়েছে এখন। ঘোরে বিজনে
স্মৃতি স্পর্শ করে অলীক আয়না।
কবি বলে যায়
হাইআলার ফালাহ
রঙ্গীন চশমা চোখে; দুনিয়া রঙ্গীন দেখা যায়
না বুঝিয়া ঝম্প দিলে কোমর ভাঙ্গি যায়।