বিশ্বের জঙ্গিবাদের ঢেউ বাংলাদেশেও ধাক্কা দিচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমান যে জঙ্গিবাদ তার শেকড় খুঁজতে গেলে আমাদের দৃষ্টি নিতে হবে তালেবানের উত্থানের সময়টিতে। ৮০-এর পর বাংলাদেশ থেকে অনেক ইসলামিক যোদ্ধা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আফগানিস্তানে যায়। যুদ্ধে অনেকে নিহত হয় অনেকে যুদ্ধ শেষে ফিরে আসে। তালেবান হল সুন্নি ওহাবী গোষ্ঠী। যারা তালেবানদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে তারা যুদ্ধে যাওয়ার আগে ওহাবী কিংবা সালাফি ছিল কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও তারা যে ফিরে আসার সময় ওহাবী মতবাদ মাথায় করে নিয়ে এসেছে তা স্পষ্টভাবে বলা সম্ভব। দেশে এসে তারা বিভিন্ন মাদ্রাসা, মসজিদ তৈরি করে কেউ বা মসজিদ মাদ্রাসার প্রধান হয়ে বসে। সুতরাং মাদ্রাসায় ইসলামিক শিক্ষার নামে বলে বলে ওহাবী মতবাদের প্রসার আর মসজিদের খুতবায় চলে ওহাবীদের পক্ষে প্রচার। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বীজ বপনের কাজটি হয়েছে সেসময়।
সময়ের পরিক্রমায়, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রশ্রয় ও মদদে চলে জঙ্গিবাদ বিস্তার। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বিস্তারে বিভিন্ন এনজিও, দাতবসংস্থা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইসলামপন্থী সংগঠন ও ব্যাংক প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজ যে জঙ্গিবাদের বিস্তার হয়েছে তা একদিনে হয়নি। রুট লেভেল থেকে শুরু করে আপার লেভেল পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন নামে জঙ্গি-মতবাদের বিস্তার করে চলছে। ফলে বিভিন্ন সময় সরকার এসব সংগঠন কিংবা দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেও তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে পারেনি। যুদ্ধাপরাধী দল জামাতী ইসলামের ছাত্র সংগঠন জঙ্গিবাদের সৈন্য সংগ্রহের প্রাথমিক স্তর হিসেবে কাজ করলেও বর্তমানে অনেক জিহাদী কিংবা জঙ্গি জামাত কিংবা শিবির ত্যাগ করে আরো বেশি রেডিক্যাল সংগঠনের সাথে যুক্ত হচ্ছে। এর মূল কারণ মতবাদ ও কার্যক্রম সম্পর্কে ভিন্ন-পন্থায় বিশ্বাসী। আমরা স্মরণ করতে পারি সারা দেশে বোমা হামলা করে জানান দেওয়া জেএমবি দলটির কথা। যারা সবাই ছিল জামাত, শিবিরের সাবেক সদস্য।
নিচে আমরা দেখব জঙ্গিবাদ বিস্তারে বিভিন্ন সংগঠন, দলকে নিষিদ্ধে তালিকা। এছাড়াও থাকছে বিভিন্ন সময় জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলায় আহত ও নিহতদের পরিসংখ্যান। ব্লগটি বাংলাদেশের জঙ্গি হামলার প্রতিটি ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও লিপিবদ্ধ করা অব্যাহত থাকবে।
উগ্রবাদী দলগুলো নিষিদ্ধের তালিকা
২০০৩: ছয়টি উগ্রবাদী দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা।
সাহাদাত-ই-আল হিকমা-ফেব্রুয়ারি ৯, ২০০৩
জামায়েতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি এবং জাগ্রত মুসলিম বাংলাদেশ বা জেএমজিবি-ফেব্রুয়ারি ২৩. ২০০৫
হরকতুল-আল জিহাদ আল-ইসলাম (হুজি)-অক্টোবর ১৭, ২০০৫
হিজবুত তাহরীর- অক্টোবর ২২, ২০০৯
আনসার উল্লাহ বাংলা টিম ২৫ মে, ২০১৫
২০০৯ এপ্রিল মাসে সাতটি সংগঠনকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল সরকার:
হিজবুত তাহরীর, ইসলামি সমাজ, ওলেমা আঞ্জুমান আল বাইনিয়াত, ইসলামিক গণতন্ত্র দল, তওহিদ ট্রাস্ট, তামির উদ্দীন এবং আল্লাহ দল।
২০১৩ সালের অগাস্টে আরো দুইটি দলকে কালো তালিকাভুক্ত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়:
শাহদাত-ই নবয়ুত ও আল মারকজুল আল ইসলাম
২৩ জেলায় জঙ্গি তৎপরতা :
গোয়েন্দাদের তথ্যানুযায়ী রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, বগুড়া, রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, সাতক্ষীরা, গাজীপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, ফরিদপুর, পাবনা, কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, টেকনাফ ও সিলেট জেলায় এখনো জঙ্গি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
নিষিদ্ধ চারটি আত্মস্বীকৃত জঙ্গি প্রতিষ্ঠান:
শাহাদাত-ই-আল হিকমা (2004), জমিয়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি,2005), জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি,2005) ওহরকাতুল জিহাদ (2005)!
শুধুমাত্র বাংলাদেশেই ৩০টি কিংবা তারও বেশি জঙ্গী সংগঠনের অস্তিত্ব রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংগঠনগুলো:
মুজাহিদ অফ বাংলাদেশ, কালো তালিকাভুক্ত ইসলামী সমাজ, দাওয়াতে ইসলাম, ওলামা আঞ্জুমান আল বাইয়্যিনাত, ইসলাম ও মুসলিম, হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ, আল হারাত আল ইসলামিয়া, জামায়াতুল ফালাইয়া, তাওহিদী জনতা, বিশ্ব ইসলামী ফ্রন্ট, জুম্মাতুল আল সাদাত, শাহাদাত-ই-নবুওয়াত, জামায়াত-ই-ইয়াহিয়া আল তুরাত, জইশে মোস্তফা বাংলাদেশ, আল জিহাদ বাংলাদেশ, ওয়ারাত ইসলামিক ফ্রন্ট, জামায়াত-আল-সাদাত, আল খিদমত, হরকত-এ ইসলাম আল জিহাদ, মুসলিম মিল্লাত শারিয়া কাউন্সিল, ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ফ্রন্ট ফর জিহাদ, জইশে মোহাম্মদ, আল ইসলাম মার্টায়ারস ব্রিগেড, লস্কর-ই-তৈয়্যবা, হিযবুল্লাহ ইসলামী সমাজ, হরকাতুল মুজাহিদীন, নুসরাতুল মুসলেমিন, ইসলামী জিহাদ আন্দোলন বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্রশিবির।
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক জঙ্গি সংগঠনগুলো:
পাকিস্তানের লস্করই তাইবা, হরকত উল মুজাহিদ, জম্মু ও কাশ্মির স্বাধীনতা ফ্রন্ট (LKLF), জোশ-ই মুহাম্মদ (JeM), জোশ-ই মোস্তফা, ভারতের কাশ্মীর ভিত্তিক সংগঠন-আসিফ রেজা কমান্ডো ফোর্স (ARCF), তাহরিক-ই-জাভেদ-ইসলামি কাশ্মির (TJI), হরকতুল জিহাদুল ইসলামি, হিজবুত-উল-মুজাহেদিন, হেজবি ইসলামি, জামাত-উল-মুজাহেদিন এবং হরকত-উল-আনসার।
মায়ানমার ভিত্তিক জঙ্গি গ্রুপ:
রোহিঙ্গা সংহতি সংস্থা -Rohingya Solidarity Organisation (RSO)
আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল সংস্থা -Arakan Rohingya National Organisation (ARNO)
ন্যাশেনাল ইউনাইটেড পার্টি অব আরাকান -National United Party of Arakan (NUPA)
আরাকান রোহিঙ্গা ফোর্স- Arakan Rohingya Force
ইসলামিক সংহতি ফ্রন্ট- Islamic Solidarity Front
আরাকান পিপলস আর্মি- Arakan People’s Army
লিবারেশন মায়ানমার ফোর্স-Liberation Myanmar Force
আরাকান মুজাহিদ পার্টি- Arakan Mujahid Party
রোহিঙ্গা ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফোর্স- Rohingya Independents Force
রোহিঙ্গা ইনডিপেন্ডেন্স আর্মি- Rohingya Independence Army
রোহিঙ্গা পাট্রিয়টিক ফ্রন্স- Rohingya Patriotic Front,
রোহিঙ্গা ইসলামিক ফ্রন্ট এবং ইউনাইটেণ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশান-Rohingya Islamic Front and United students Association of Arakan Movement (USM)
জঙ্গি অর্থায়নে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা:
রিভাইভাল অব ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটি: Revival of Islamic Heritage Society (RIHS)
রাবিতা আল-আলম আল-ইসলাম: Rabita al-Alam al-Islami
সোসাইটি অব সোসিয়াল রিফ্রমস: Society of Social Reforms, Qatar Charitable Society
আল-মুনতাদা আল ইসলামি: Al-Muntada Al-Islami
ইসলামি রিলিফ এজেন্সি: Islamic Relief Agency
আল ফুরকান ফাইন্ডেশান: Al-Furqan Foundation
আর্ন্তজাতিক রিলিফ সংস্থা: International Relief Organization
কুয়েত জয়েন্ট রিলিফ কমিটি- Kuwait Joint Relief Committee,
মুসলিম এইড বাংলাদেশ:Muslim Aid Bangladesh
দার আল খাইর- Dar Al-Khair
হায়াতুল লংঞ্চা এবং তৈহিদ-ই-নুর- Hayatul Igachha and Tawheed-e-Noor.
প্রকাশ্যে জঙ্গিদলের উত্থান পর্ব:
৩০ এপ্রিল, ১৯৯২: জঙ্গি সংগঠন হুজি জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দল তৈরির ঘোষণা দেয়।
৬ মে, ১৯৯৩: ইসলামিক সমাজ নামে সংগঠনটি জামাতের সাপোর্টে সৃষ্টি হয়।
১৯৯৪: টাঙ্গাইলের করতিয়া গ্রামে হিজবুত তাওহীদ গঠন হয়।
১৯৯৮: সাবেক হুজি নেতা শায়েখ আব্দুল রহমান জামালপুরে জেএমবি গঠন করে।
১৯৯৮: বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে জেএমবির আরেকটি অংশ জেএমজিবি গঠন করা হয়। সংগঠনটির নাশকতার শুরু হয় ২০০৪ সালে।
২০০১: হিজবুত তাহরীর সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করে।
২০০৭: আনসারউল্লাহ তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
২০১৩: চট্টগ্রামে ছাত্র শিবিরের সাবেক সদস্যদের মাধ্যমে শহিদ হামজা ব্রিগেড গঠন হয়।
২০১৩: মুজাজিত অব বাংলাদেশ তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
২০১৪: বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপ নামে আলাদা একটি গ্রুপের সন্ধান পাওয়া যায়।
২০১৫: জুনুদ আল তৈহিদ আল খলিফা নামক আরেকটি গ্রুপের সন্ধান পাওয়া যায়।
২০১৫: ইত্তেহাদুল মুজাহিদিনের সন্ধান পাওয়া যায়।
সশস্ত্র হামলা:
আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে ১৪ দলের আমল:
২০১৬
২৫ এপ্রিল, ২০১৬: ঢাকায় সমকামী বিষয়ক পত্রিকা রূপবানের সম্পাদকসহ ২ জন খুন। রূপবান পত্রিকার সম্পাদক জুলহাস মান্নান ইউএসএইডে কর্মরত ছিলেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তাও ছিলেন তিনি। অন্যদিকে মাহবুব তন্ময় ছিলেন নাট্য ও সমকামীদের অধিকার আন্দোলনের কর্মী। খুনিরা আল্লাহ আকবর স্লোগান দিয়ে চলে যায়। হত্যা করে আনসারউল্লাহ।
২৩ এপ্রিল ২০১৬: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী’কে নিজ বাসার পাশে সকাল বেলায় জবাই করে হত্যা করে আইএসআইএস।
৬ এপ্রিল, ২০১৬: গণজাগারণ মঞ্চের কর্মী ও অনলাইন এক্টিভিস্ট নাজিমুদ্দিন সামাদকে হত্যা করে আনসারউল্লাহ।
১৪ মার্চ, ২০১৬: ঝিনাইদাহে শিয়া ধর্ম প্রচারখ আব্দুল রাজ্জাককে হত্যা করে জেএমবি/আইএস।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জে যজ্ঞেশ্বর রায় নামে ওই হিন্দু পুরোহিতকে গলা কেটে হত্যা করে জেএমবি/আইএস।
৭ জানুয়ারি, ২০১৬: ঝিনাইদাহে হোমিউপ্যাথি ডাক্তার ছামির উদ্দিন মন্ডলকে হত্যা করে জেএমবি/আইএস
২০১৫
১১ জানুয়ারি, ২০১৫: হিজাবের জের ধরে চট্টগ্রামে নার্সিং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা অঞ্জনা দেবীকে হত্যা করে শিবির/জেএমবি।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫: টিএসসিতে বই মেলা থেকে ফিরবার পথে মুক্তমনার প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞান লেখক অভিজিত রায়কে হত্যা, প্রাণে বেঁচে যান স্ত্রী লেখিকা বন্যা আহমেদ। হামলা চালায় আনসারউল্লাহ
৩০ মার্চ, ২০১৫: তেজগাও এলাকায় ওয়াশিকুর বাবুকে হত্যা করা হেফাজত/আনসারউল্লাহ
১২ মে, ২০১৫: বিজ্ঞান লেখক অনন্ত বিজয় দাসকে সিলেটে হত্যা করে আনসারউল্লাহ।
৭ অগাস্ট, ২০১৫: ঢাকায় ব্লগার নীলয় নীলকে হত্যা করে আনসারউল্লাহ।
৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫: মাহমত উল্লাহ ও তার সহযোগীকে চট্টগ্রামের মাজাকে হত্যা করে জেএমবি।
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫: গুলশানে ইতালির নাগরিককে হত্যা করে জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস।
৩ অক্টোরবর, ২০১৫: রংপুরে জাপানি নাগরিক হোসি কুনিওকে হত্যা করে আইএসআইএস।
৫ অক্টোবর, ২০১৫: পাবনাতেও চার্চের জাজককে জবাই করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে আটক হয়েছে শিবির কর্মী।
৬ অক্টোরব, ২০১৫: আধ্যাত্ত্বিক নেতা খিজির খানকে হত্যা করে জেএমবি।
২২ অক্টোবর, ২০১৫: ঢাকার গাবতলিতে পুলিশ চেক পোস্টে হামলা চালায় আহত হয় পুলিম সদস্য ইব্রাহিক মোল্লাহ। হামলা চালায় আইএস/জেএমবি।
২৪ অক্টোবর, ২০১৫: শিয়াদের তাজিয়া মিছিলে গ্রেনেড হামলায় নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক। হাশলা চালায় আইএস/জেএমবি।
৩১ অক্টোবর, ২০১৫: জাগৃতি প্রকাশক আরেফিন ফয়সাল দীপন ও শুদ্ধস্বরের প্রকশক টুটুলের উপর হাশলা চালানো হয়। এতে জাগৃতি প্রকাশনীর নিপত নিহত হোন। একই সময়ে শুদ্ধস্বরের প্রকাশক টুটুলের সাথে গুরুতরভাবে আহত হোন লেখক রণদীপন বসু ও কবি তারেক রহিম। হামলা চালায় আনসারউল্লাহ।
৮ নভেম্বর, ২০১৫: রংপুরে বাহাই সেন্টার ডিরেক্টর রুহুল আমিনের উপর আক্রমণ চালায় জেএমবি/আ্ইএস
১০ নভেম্বর, ২০১৫: রংপুরে মঠাধক্ষকে জবাই করে হত্যা করে জেএমবি/আইএস।
১৮ নভেম্বর, ২০১৫: দিনাজপুরে ইতালিয়ান ডক্টর ও ধর্মযাযককে গুলি করে হত্যা চেষ্টা চালায় জেএমবি/আইএস
২৬ নভেম্বর, ২০১৫: বগুড়ায় শিয়া মসজিদে ঢুকে গুলি, মুয়াজ্জিন নিহত। হামলা চালায় আইএস/জেএমবি
৩০ নভেম্বর, ২০১৫: দিনাজপুরে ইসকনের প্রেসিডেন্ট বীরেন্দ্র নাথের উপর গুলি চালায় জেএমবি/আইএস
৫ ডিসেম্বর, ২০১৫: দিনাজপুরে রাসমেলার যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা বিস্ফোরণ। আহত ১০ জন। জেএমবি/আইএস
১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫: বাউল উৎসবের আয়োজক খুন: দুজনকে পুলিশে সোপর্দ
১৯ ডেসেম্বর, ২০১৫: চট্টগ্রামে নৌ বাহিনীর মসজিদে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় জেএমবি/হিজবুল ফুজুল
২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ – রাজশাহীর বাগমারায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের একটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় আত্মঘাতী বোমা হামলায় একজন নিহত হয়েছেন এবং ১০ জন আহত হয়েছে। হামলা চালায়-আইএস/জেএমবি
২০১৪
৩০ মার্চ, ২০১৪: ফেসবুকে লেখালেখির কারণে রায়হান রাহি ও উল্লাহ দাসের উপর আক্রমণ করে শিবির।
২৪ জুন, ২০১৪: ব্লগার রাকিব মানুষের উপর হাশলা চালায় আনসারউল্লাহ।
২৭ অক্টোরব, ২০১৪: টিভি উপস্থাপক শেখ নুরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যা করে জেএমবি। যদিও তার অনুসারীরা শিবিরের নাম বলেছে।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪: ডেফোডিল ভার্সিটির ছাত্র আশরাফুল ইসলামকে খুন করে আনসারউল্লাহ।
১৫ নভেম্বর, ২০১৪: রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক একেএম শফিউল ইসলামকে হত্যা করে শিবির/আনসারউল্লাহ।
২০১৩
১৩ জানুয়ারি, ২০১৩: উত্তরায় ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীনের উপর হামলা করে আনসারউল্লাহ।
১৫ ফেবুয়ারি, ২০১৩: ব্লগার রাজিব হায়দারকে খুন করে জঙ্গি সংগঠন আনসারউল্লাহ।
২ মার্চ, ২০১৩: সিলেটে ব্লগার ও গণজাগরণ কর্মী জগতজ্যোতী তালুকদার খুন করে আনসারউল্লাহ।
৭ মার্চ, ২০১৩: ঢাকার মিরপুরে ব্লগার ও ইঞ্জিয়ার সানাউল রহমানের উপর হামলা চালায় শিবির/আনসারউল্লাহ
৯ এপ্রিল, ২০১৩: বুয়েটের ছাত্র আরিফ রায়হান দ্বীপকে হত্যা করে আনাসারউল্লাহ।
৮ অগাস্ট, ২০১৩: খুলনার খালিসপুরে উম্মুল মোমিনিন তৈয়ুবুর রহমান ও তার পুত্রকে হত্যা করে জেএমবি।
১১ অগাস্ট, ২০১৩: গাইবান্ধায় বুয়েট ছাত্র তন্ময় আহমেদ এর উপর হামলা করে শিবির/আনসারউল্লাহ।
৭ অক্টোরব, ২০১৩: লালখান বাজার মাদ্রাসায় বোমা তৈরি করতে গিয়ে ৩ জঙ্গি নিহত। এরা হুজির সদস্যা ছিল।
১১ ডিসেম্বর, ২০১৩: গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী জাকারিয়া বাবুকে খুন করে জামাতের কর্মী।
২১ ডিসেম্বর, ২০১৩: গোপীবাগে পীর লুতফর রহমানসহ ৬জনকে হত্যা করে জেএমবি।
২০১২
জানুয়ারি ২০১২: সেনা বাহিনীর বয়ান অনুসারে সেনা বাহিনীতে ক্যু করার চেষ্টা করে জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরী
২০০৯
২০০৯ সালে গাজীপুরের পুলিশ সুপারের সম্মেলনে গ্রেনেড হামলায় ১২ জন আহত হয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল:
২০০৭
১১ এপ্রিল ১১, ২০০৭: ঝালকাঠি পাবলিক প্রোসিকিউটর হায়দার হোসেন-কে গুলি করে হত্যা করে জেএমবি।
বিএনপি ও জামাত জোট সরকারের আমল:
২০০৬
৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক শেখ তাহের আহমদকে উপর আক্রমণ করে হত্যা করে শিবির/জেএনবি।
২০০৫
১৭ অগাস্ট, ২০০৫: সারা দেশে ৬৩ জেলায় ৫১১টি স্থানে একযোগে বোমা হাশলায় ২ জন নিহত ও ২ শতাধিক মানুষ আহত হয়। হামলা চালায় জেএমবি।
১৭ জানুয়ারি ২০০৫-এ গোপালগঞ্জে এনজিও ‘ব্র্যাক’-এর অফিসে বোমা বিস্ফোরণে আহত ২১ জন।
২৭ জানুয়ারি, ২০০৫: শাহব এএমএস কিবরিয়ার উপর হামলা চালায় ৫ জন নিহত। হাশলা চালায় জংঙ্গি সংগঠন হুজি।
৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৫: খুলনা প্রেসক্লাবে বোমা বিস্ফোরণে ১ জন সাংবাদিক নিহত, আহত ৫ জন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালোবাসা দিবসের অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণ। আহত ৮ জন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী আলোচনাসভায় বোমা বিস্ফোরণ।
৩ অক্টোবর, ২০০৫:চট্টগ্রাম আদালতের দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন এবং মহানগর হাকিম আকরাম হোসেনের এজলাসে জেএমবি জঙ্গিরা আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় আবু সৈয়দ দিলজার হোসেনের আদালত চলাকালে জঙ্গি শাহাদাত আলী ওরফে লাল্টু এজলাসের ভেতর ঢোকার চেষ্টা করে। বাধা পেয়ে হাতে থাকা একটি বই-বোমা বিচারককে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করলে সেটি বিচারকের সামনের টেবিলের কাচের ওপর পড়ে কিছু অংশ ভেঙে যায় এবং অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকে। শাহাদাত আলী পালানোর চেষ্টা করলে তাকে লোকজন ধরে ফেলে। এর ১০ মিনিট আগে মহানগর হাকিম আকরাম হোসেনের এজলাসে লাল রঙের জ্যামিতি বক্সে রক্ষিত বোমা ছুড়ে মারা হয়।এ ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়।
৩ অক্টোবর ২০০৫:লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং চট্টগ্রামের কোর্টে বোমা বিস্ফোরণ। নিহত ৩ জন, লক্ষ্মীপুর কোর্টের ১ জন বিচারকসহ আহত হন ৩৮ জন।
১৪ নভেরম্বর, ২০০৫: ঝালকাঠিতে বিচারক সোহেল আহমেদ চৌধুরীর ও জগন্নাথ পাঁড়ি’কে বোমা হামলা করে খুন করা হয়। হাশলা চালায় জেএমবি।
২৯ নভেম্বর, ২০০৫: গাজিপুরের জেলা বার এসোসিয়েশন অফিসে জঙ্গি সদস্য আদাস আত্মঘাতি বোমা হামলা চালায়। এতে ৪ জন্য আইনজীবীসহ মোট নিহত হয় ৮ জন। আদাস জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য।
৮ ডেসেম্বর, ২০০৫: আত্মঘাতি বোমা হামলায় ৮ জন নিহত। হামলা চালানো হয় উদিচী ও শত দল শিল্পগোষ্ঠীর অফিসে। হামলা চালায় জেএমবি।
২০০৪
১২ জানুয়ারি ২০০৪: হযরত শাহজালাল (র মাজার প্রাঙ্গণে বোমা হামলা হয়। এতে সাত জন নিহত হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৪: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ুন আজাদের উপর চালায় জঙ্গি সংগঠন জেএমবি
এপ্রিল ২০০৪-জানুয়ারি ২০০৫: বাংলা ভাই কম করে ২৪ জনকে হত্যা করে এবং ৩০০ লোকের উপর নির্যাতন চালায় রাজশাহি জেলায়।
২১ মে, ২০০৪: ২১ মে ২০০৪ সিলেটে হজরত শাহজালালের মাজারে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর আর্জেস গ্রেনেড হামলা। নিহত ২, হাইকমিশনারসহ আহত হয় ৭০। হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হুজি।
২৭ জুন, ২০০৪: খুলনায় দৈনিক জন্মভূমির অফিসে বোমা বিস্ফোরণে সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বালু নিহত হন।
৭ আগস্ট ২০০৪ সিলেটে গুলশান হোটেলে আর্জেস গ্রেনেড বিস্ফোরণে ১ জন নিহত ও ৪০ আহত।
২১ অগাস্ট, ২০০৪: বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলায় ২৩ জন নিহত আহত শতাধিক। হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হুজি।
১৬ নভেম্বর, ২০০৪: মৌলভীবাজারে যাত্রা প্রদর্শনীতে বোমা বিস্ফোরণে আহত ১০ জন।
২৪ ডিসেম্বর, ২০০৪: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রেফেসর ইউনুস আলীকে হত্যা করা হয়। হত্যা করে-জেএমবি/শিবির।
২০০৩
১৭ জানুয়ারি ২০০৩-এ টাঙ্গাইলের সখিপুরের ফালুচাঁদ ফকিরের মাজারের মেলায় বোমা বিস্ফোরণ। নিহত ৭, আহত হয় ৮।
১ মার্চ, ২০০৩: খুলনায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় কর্তব্যরত পুলিশের ওপর বোমা হামলা। নিহত হয় ১, কয়েকজন আহত হয়।
২০০২
২০০২ সালে সিরাজগঞ্জ ও সাতক্ষীরায় বোমা হামলার ঘটনায় ১৫ নিহত হয়।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০০২: সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের জনসভায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় চার জন মারা যায়।
৭ ডিসেম্বর, ২০০২: ময়মনসিংহে ৪টি সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলায় ১৭ জন নিহত হয়। হামলা চালায় জেএমবি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল:
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০০১: বাঘের হাটের মোল্লাহাটের খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজে রিমোট কন্টোলে নিয়ন্ত্রিত শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে ৮ জন নিহত, ৫০ জন আহত হয়। বোমা হলামার দায় স্বীকার করে জেএবি ও জঙ্গি সংগঠন হুজি।
আওয়ামী লীগের আমল:
২০০১
২০ জানুয়ারি, ২০০১: সিপিবি’র মিটিংয়ে বোমা হামলায় ৫ জন নিহত। হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হুজি।
১৪ এপ্রিল, ২০০১: রমনা বটমূলে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত। হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হুজি।
২০০০
২০ জুলাই, ২০০০:গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার জনসভায় ৭৬ কেজি ওজনের পুঁতে রাখা বোমা উদ্ধার করা হয়। জনসভা শুরুর আগেই এই শক্তিশালী বোমাটি উদ্ধার হওয়ায় বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা থেকে বেঁচে যায় দেশ। জঙ্গি সংগঠন হুজি এতে জড়িত ছিল
১৯৯৯
১৮ জানুয়ারি, ১৯৯৯: কবি শামসুর রাহমানের উপর হাশলা করে জঙ্গি সংগঠন হুজি
৬ মার্চ, ১৯৯৯: যশোরে উদীচি অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত। হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হুজি।
৮ অক্টোবর, ১৯৯৯: খুনলা শহবে আহমদিয়া মসজিদে বোম হামলায় ৮ জন নিহত। হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হুজি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১৪