কেউ জানেনি
তিল তিল করে জমানো বেদনায় আমি এক নিরেট পাহাড়;
কেউ বুঝেনি
প্রতিটা পাথরের কতটুকু উষ্ণতারা জমে জমে
পাহাড়ের শিখরে জমে আছে মোর
কুয়াশার বাস্পে মোড়া জমানো মেঘ।
শুধু ঐ নীলাবতি কন্যা জানে
সে বিষাদের নীল বলেই আমি মেঘ হই বার বার।
আজন্ম জলজ আধারে ঈশ্বর সঁপেছে আমায়,
তবু আমি এক তৃষিত নিরাকার আকারে
ভালবাসা পেয়ে কিংবা না পেয়ে
চিরন্তন ব্যর্থ প্রেমিক।
আহ রমণী!
আহ রমণীরা!!
চোখে চোখ রাখতেই কেউ কেউ বলেছিল
'এ আর এমনকি!'
মুদির দোকানী কিংবা রাস্তার ঠিকাদার
আমার মতই হয়ত তাকিয়েছিল চোখের 'পরে রেখে চোখ;
চোখের ভিতরেও থাকে চোখ,
থাকে ভিসুভিয়াসের মত অকস্মাৎ জ্বলে ওঠা হৃদয় পোড়ন;
আহা! কেউতো বোঝেনি সেসব কথা।
পাহাড়ের মত বোধ নিয়ে শুধু দাঁড়িয়ে থাকা
এ অবাক পৃথিবীতে,
অহর্নিস এ হৃদয় ক্ষরণ কেউ আর রাখে না মনে;
শুধু কবির কষ্টগুলো থেকে যায় পাথরে-পাহাড়ে
মেঘে মেঘে, মেঘেদের জলজ বাড়িতে।
৯ই মে ২০১৬
যুক্তরাজ্য।