তখন আমার একুশ বছর উথাল পাথাল মন
দুপুর বেলায় রোদের ভেতর ঝাপটে থাকা বন
মাথার ভেতর কুটুর কুটুর একটা নিখাদ নাম
আঠারো'র এক লাজুক মেয়ের মনটা ভোলালাম।
দখিন বাতাস উড়ায়ে বলে দিলাম নতুন কাল
টোল পড়া সেই হাসির ভেতর লজ্জাটে লাল গাল
চোখের কোনায় ভরা ধানের নরম সবুজ গোঁজ
চুলের ওপর কাটতো বিলি, হিমেল বাতাস রোজ।
হাওয়ায় যতো ভাসলো সুবাস মেয়ের গায়ের ঘ্রান
গাছের পাতায়, ফুলের ছোঁয়ায়, অভিমানের গান
লাজুক মেয়ের হাতটা ছিল শিশির ফোটার মতো
ধরতে গেলেই চমকে উঠে ছলকে পড়ে যেতো।
চোখে ছিল নদীর মতো হঠাৎ বানের পানি
একুশের এক ছেলের সাথে মনের টানাটানি
সবুজ ধানের ক্ষেতের দিকে মুখ লুকায়ে রয়
সাত হরিনের বুকের ভেতর ডোরাকাটার ভয়।
নগর জীবন ভুলিয়ে দিলো লাজুক মেয়ের কথা
বাইশ বছর পরে আবার সেই মেয়েটির দেখা
ভয় পেরিয়ে অবাক চোখে প্রশ্ন অভিমান
এবার আমার ঝাপসা চোখে স্বচ্ছ জলের বান।
মাটি যদি দুভাগ হতো, নেমে যেতাম নীচে
কেমন করে তাকাই আমি সেই মেয়েটির দিকে
শরীরে তার চেনা বয়স নেই কিশোরী আর
চশমা আঁটা, চোখের ভেতর নিথর পারাবার।
আসছি আমি, মুখ ফিরিয়ে দু'পা বাড়ায় সে-ই
ক্ষমা চাওয়ার সাহসটুকুও আজ যে আমার নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:৩৯