সমাজ নামের পাবলিক টয়লেট থেকে
তুমি বেরিয়ে এলে যেদিন
শরতের সেই বিকেলের পাখিরা দেখেছে নিস্পলক
নির্বাসন শেষে তোমার উদ্যমী বিনিবর্তন।
গিলোটিন খুলে যখন সদর্পে বেরিয়ে এলে
বাতাসে চঞ্চল ওড়নার ফাঁকে
তোমার ঝাপটানো স্তনের দিকে
তাকিয়ে ছিল সমাজপতির কামুক লোলাজিভ।
তোমার সলাজ ভেজা চুল দেখে যারা
ভাবতো সঙ্গম করে এলে
তোমার কষ্টের স্বেদ গন্ধে
ওরা পেত অর্গাজমের আশ্বাদ
তোমার বাড়ন্ত শরীর দেখলে
ওদের ভেতরে বইতো নিদারুণ শুক্রক্ষয়।
তোমাকে তখনই ওরা দেখাতো সমাজের ভয়
যেখানে নিসংশয়ে অন্তরীণ করে
রাক্ষসরা লুটে খায় বৈদেহী শরীর
নির্বিঘ্নে দলমর্দন শেষে
বেশ্যা আখ্যা দিয়ে, ছুড়ে দিতো নর্দমায়।
তার আগেই জলোচ্ছাসের মতো ফুঁসে
তুমি বেরিয়ে এলে প্লাবিত সৌন্দর্যের মতোন
সেই অবাধ তোড়ে লালসা গেল ভেসে
সমাজ দারোয়ানরা আপাত লুকালো
সুয়ারেজ লাইনের ভেতর।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:০৪