ভোটারের প্রতিশোধঃ একটি রাজনৈতিক শিক্ষা
প্রতিটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জনগণ তাদের মতামত জানাবেন ভোটের মাধ্যমে আর নির্বাচিত করবেন তাদের প্রিয় প্রতিনিধি। কিন্তু এরশাদ শাহীর পর গত এক দশকের রাজনৈতিক পরিবেশে বিস্তর পরিবর্তন পরিলক্ষিত হলো।যা এ স্বাধীন দেশের সুনাম আর ভাবমূর্তির জন্য একটা কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।। এ বিষয়ে পক্ষে বিপক্ষে নানা যুক্তি নানা মত থাকতে পারে, তবে ভোটের অধিকার জনগণের মৌলিক অধিকারের পোটেনশিয়াল একটি পার্ট এ বিষয়ে কারো দ্বিমত থাকবে আমি বিশ্বাস করি না।।
আধিপত্য বিস্তার করে ভোট করায়ত্ব করা এটা এ দশকেও সম্ভব হতে পারে তা আমি গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দেখেই বুঝেছি।। যা, সত্যিই হতাশার ও দুঃখের।।
প্রথমে ৫ জানুয়ারী ২০১৪ একটা ঘটনা যেখানে ভোটার আগমন ঘটেনি। মানুষ আগ্রহ পায়নি। অতঃপর ২৮শে ডিসেম্বর ২০১৮ ভোটার এলো, দীর্ঘ লাইন দেখা গেলো। কিন্তু ভোট দিতে পারে নি।। হতাশ হয়ে ফিরে গেলো।।
অবশেষে, এবারে মার্চ ২০১৯ এ হয়ে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, এখানে বিরোধী কোন প্রার্থীই প্রার্থীতা দেয়নি। ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন ধরণের প্রার্থীরাই এতে এটেন্ড করেছে।।
এবার, হলো কী?
ভোটার আসেনি,
কেন?
আসতে দেয়নি?
না, আসতে চায়নি;
হাসালেন!
নারে ভাই এটাই বাস্তবতা। জনগণ এবার না এসে বুঝিয়ে দিয়েছে ছিনিয়ে নিলে কীভাবে ফিরিয়ে দিতে হয়। খোদ নিজ দলের জনগণেই আসেনাই বেশীরভাগ এলাকাতে। এবার রাতের বদলে দিনেই চলেছে খেলাটা, একটু ভিন্ন কায়দায়!!
আর, এটাই হলো ভোটারদের সত্যিকার মানসিকতা, সত্যিকার চেহারা।।
ভারতে, একজন ভোটারের ভোট নিতে ১০ জন যায়!!
আমাদের এখানে ১০০ জনের ভোট নিতে একজন আসে;
কারণ, পোটেনশিয়াল একজনই একাজে যথেষ্ঠ!!
সুতরাং, জনগণের এ অধিকার যত দ্রুত উদ্ধার হবে; যত দ্রুত ফিরে পাবে ততই এদেশের জন্য মঙ্গল।।
সুন্দর গনতান্ত্রিক একটা বাংলাদেশ এর জন্যইতো এক সাগর রক্ত, এত ত্যাগ, এত তিতিক্ষা!!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:১৪