প্রতিদিন প্রতিনিয়ত আমাদের সমূখে কত ঘটনাই তো ঘটে যা আমরা দেখি বা শুনি। এসবের কতটুকু সত্য বা মিথ্যা তা কী আমরা যাচাই করি? কখনও করি আবার কখনো করি না। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থসিদ্ধির জন্য অনেক বড় মিথ্যার আশ্রয় নিই। আর, কালেক্রমে এই মিথ্যা প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিরাট মহিরুহ হিসেবে। আমরা হয়তো ভাবি সবাই যেহেতু মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে তাহলে আমি কেন খামাকা সত্য বলতে যাব? এভাবেই ধীরে ধীরে সত্য বলা লোকের সংখ্যা ক্রমেই কমে যাচ্ছে আর প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে মিথ্যাবাজ, হঠকারী, প্রবঞ্চক আর মিথ্যাশ্রয়ী নিষ্ঠুর কিছু ক্রীড়নক। কিন্তু, যেহেতু সবাই মিথ্যা বলছে, আমরাও কী মিথ্যা বলব?
** উইলিয়াম পেন- এর উক্তিটি দেখুন।
** এবং এই উক্তিটি কী বলে? সবাই বিরুদ্ধে বা বিপক্ষে গেলেও সত্য বলতেই হবে! অবশ্য আমরা তা করি না!!
** আজ জাতীয় জীবনে যে পচন ধরেছে, যে অবক্ষয় শুরু হয়েছে এর পিছনে মিথ্যার অবাধে ব্যবহারই ব্যপক দায়ী। অবশ্য এই মিথ্যা চিরস্থায়ী হবে না বা হয় নাই কখনোই। কারণ,
এই মিথ্যাই একদিন সকল ছাই চাপা দিয়ে রাখা সত্যকে প্রকাশ করবেই।।
** আজ অবশ্য এই সত্যের জয়গান গাইতে লিখছিনা বরং জোসেফ গোয়েবল এবং তার ব্যবহৃত থিউরিগুলোর কিছু ছবি শেয়ার করছি যাতে তার মাথা থেকে বেরিয়েছিল। মিথ্যা একটি প্রোপাগান্ডা যা কোন শাসকগোস্টি বা স্বার্থসিদ্ধিবাজ কোন ব্যক্তি বা সম্প্রদায় ব্যবহার করে।। এক্ষেত্রে হের গোয়েবলস মিথ্যাকে শৈল্পিকভাবে ব্যবহার করে ইতিহাসে নিজেকে কুখ্যাত কালপ্রিট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।।
** হের গোয়েবলস, ইতিহাসে যে হের হিটলারের রাইখ মিনিস্টার হিসেবে পরিচিত। আসুন তার কিছু বিখ্যাত কোটেশন দেখি।।
১। প্রোপাগান্ডা কী? জর্জ অরওয়েল, নোয়াম চমস্কি এবং গোয়েবলস এর ভাষায়-
২। প্রোপাগান্ডা'র আরো সংজ্ঞা- "কোন মিথ্যা কথাকে সবাই মিলে ফ্রীকোয়েন্টলী বলতে থাকলে তা একসময় সত্য বলেই প্রতিষ্ঠিত হয়!" দেখুন বিস্তারিত-
৩। আরেকটি কোটেশন একটু ব্রাইটলি-
৪। এই প্রোপাগান্ডার গুরু কিন্তু এডলপ হিটলার। হিটলারের কাছ থেকেই কিন্তু গোয়েবলস উৎসাহ পেয়েছেন। নিচের কোটেশনে দেখুন-
৫। কিন্তু এর উদ্দেশ্য কী? Aldous Huxley এর ভাষায়-
৬। গোয়েবলস এর দৃষ্টিতে প্রোপাগান্ডা-
৭। গোয়েবলস মিথ্যা প্রচারে রাষ্ট্রের প্রচার মাধ্যম বা প্রেসকে "কী বোর্ডের" সাথে তুলনা করেছেন; যা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারে।
৮। বিল ও'রেইলি প্রোপাগান্ডা বিষয়ে বলেছেন- "কেন গোয়েবলস' এর ব্যবহার করতেন?
৯। কিন্তু এই গোয়েবলস অবশেষে 'প্রপাগান্ডা'র পরিণতি সম্পর্কে বললেন-এটা একদিন ধ্বসে যাবে; মিথ্যার প্রাসাদ গুড়িয়ে যাবে।তিনি সত্যের জয় হবেই তার স্বীকৃতি দিয়েই গেছেন সারাটা জীবন মিথ্যার দ্বারা চালিত হওয়ার পরেও।।
১০। মিথ্যার ধ্বংস হোক-
১১। টেক আ চ্যালেঞ্জ টু স্পিক দ্য ট্রুথ-
অবশেষে কোন সন্দেহ নেই যে, মিথ্যা ধ্বংস হবেই আর সত্য প্রতিষ্ঠিত হবেই। তাই, নিজের বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থাকার জন্য সব সময় সত্য বলাই উত্তম। এটা নিজের অন্তরাত্মাকে বিশুদ্ধ রাখবে এবং ভালো কাজে ধাবিত হতে সাহায্য করবে।। পাপ আর ঘৃণার কাজ থেকে দূরে থাকবে।। তাই, আসুন সবাই সত্য বলি। ন্যায়ের পক্ষে থাকি। জোসেফ গোয়েবলস এর গোয়েবলসিয় কর্মকান্ড থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখি।।
মিথ্যার প্রোপাগান্ডা মুক্ত জীবন এই মুক্তবিহঙ্গের মতোই অন্যায় অসত্য থেকে নিজেকে বাঁচতে সাহায্য করে-
তথ্য সুত্রঃ http://www.thefamouspeople.com
image source: gooogle
tribute to the owners.
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৭