৭০০ কোটি টাকার নির্বাচন!
ফলাফল? একদলের ক্ষমতায় আরোহন! অন্যদলের নির্বাসন!!
দৈনিক ইনকিলাব
গণতন্ত্র; দাবী জানায়, চাহিদা পেশ করে গণপ্রতিনিধি নির্বাচনের!
কিন্তু, এ দেশে কখনোই কী প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়? না কী প্রভূ নির্বাচিত হয়; দণ্ডমুণ্ডের অধিকর্তা নির্বাচিত হয়?
তাহলে-
কী প্রয়োজন ছিল এই প্রহসনের নির্বাচনের? যেখানে ব্যয় হবে ৭০০ কোটি টাকা। নিশ্চয়তা থাকবেনা নির্বাচন পরবর্তী শান্তিপূর্ণ, শান্ত, ইজি গোয়িং এই প্রিয় দেশটিতে।।
তাহলে শুধুই কী নিয়ম রক্ষা বা আই ওয়াশ এর জন্যে এই এত আয়োজন?
একদল লেঠেল বাহিনী, প্রশাসন, প্রচার যন্ত্র, সকল মিডিয়া, নকল মিডিয়া, গোয়েবলস আর সর্বশক্তি নিয়োগ করে নানা অপপ্রচার করে ক্ষমতায় থাকার আগামী ৫ বছর নিশ্চিত করে ফেলেছে আর অন্যদল ধাওয়া খাওয়া কুকুরের মতো এ পাড়া ও পাড়া পালিয়ে বেড়াচ্ছে!
এক দল রাষ্ট্রীয় খরচে চরম উল্লাসে, মহা উদ্দীপনায় এগিয়ে যাচ্ছে আর অন্যদল নিয়ম রক্ষার প্রচার সুবিধা পাচ্ছে। মনে হয় এটাই লেভেল প্লেয়িং এডভান্স ইলেকশন স্ট্রাটেজি।।
সে যাক; যে লংকায় যায়, সেই রাবণ! এইটা তো অনেক পুরানো কথা। কিন্তু কথা হচ্ছে-
নির্বাচনের দিন ঘটতে পারে ভয়াবহ সহিংসতা!
প্রশাসন কতটুকু প্রস্তুত? না কী লেঠেলের ভূমিকায় থাকবে? যেমন দেখা যায় সচরাচর।
ভোটের আগেই দেশ অস্থির! শত শত লোক আহত হচ্ছে। মারা যাচ্ছে। জেলে যাচ্ছে।
নির্বাচনের পরে যে কী হবে? বলা না গেলেও ভয় রয়েইছে!
কারণ, যেভাবে ক্ষমতাসীনদের হুংকার চলছে তাতে দেশের পরবর্তী পাঁচ বছর দেশে কী যে হবে বলাই বাহুল্য।
ভোট গ্রহণের কয়েকটা স্ট্রাটেজিঃ
ভোট কেন্দ্রের অবস্থা এমন হবে-
১। পোলিং অফিসার এবং এজেন্ট মহাজোটের পক্ষে ৮০%।
২। এসিসটেন্ট প্রিজাইডিং ৭৫% বা আরো বেশী।
৩। প্রিজাইডিং অফিসার ৭৫-৮০% বা আরো বেশী হবে।
৪। কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট থাকবে যারা তাদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়।
৫। কেন্দ্রের আশপাশে ওঁত পেতে থাকতে পারে অসংখ্য ঝটিকা বাহিনী।।
উপরের ১,২ ও ৩ ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে।
এছাড়া-
দেশের ৯০% প্রচারযন্ত্র কাজ করে যাচ্ছে মহাজোটের পক্ষে। কাজ করবেও তাদের পক্ষেই।।
সুতরাং শুধু অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে ঐক্যফ্রন্টকে আগামী ৫ বছর পরের নির্বাচনের জন্য। অবশ্য আগামী পাঁচ বছরে আমরা আরো বহু কিছু দেখব যা হয়তো স্বাধীন এ দেশে দেখতে চাই না।।
আল্লাহ আমাদের এ দেশকে রক্ষা করুন। দেশের মানুষকে সুমতি দান করুন।
নোটঃ ইমেজ- গুগল।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪০