অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনা আর আলাপ-আলোচনার অবসান ঘটিয়ে ঠিক হলো আগ্রাসন বিরোধী ঢাকার মানবন্ধনের সময়সুচী।


চিটাগাং থেকে ফিরে গত দুদিন মাঠে নেমে পড়ি ঢাকার মানববন্ধনের জন্য অরগানাইজারের খোঁজে। ফোন দিয়ে ব্যক্তিগত যোগাযোগে অনেকের কাছে গেলাম। সবার আকুতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবো তবে অরগানাইজার হবোনা, দেশের অবস্থা ভালনা। একজন ব্লগারতো বলে ফেললো ব্লগ নাকি র্যাব-ডিজিএফআই মনিটর করে। এসব শুনে হতাশ হয়ে কিছুটা মন খারাপ করে চুপষে যায়।
এ সময় সর্বশেষ যোগাযোগ করি চিটাগাং এর সেই হেলাল ভাইয়ের সাথে, যার প্রায় একক প্রচেষ্ঠায় চট্টগ্রামের মানবন্ধনটি আয়োজিত হয়। তাকে হতাশার কথা জানালে তিনি বলেন, "এতেই হতাশ হয়া গেলা মিয়া, খাড়াও আমি তোমারে অরগানাইজার দিতাছি, আর রেব-ডিজিএফআই কি ভারতের বাহিনী নাকি যে দেশ নিয়া এমন অরাজনৈতিক পোগ্রাম নিয়া গুতাইবো"। শুনে মনে আবার সাহস। যারা হেলাল ভাইকে চিনেন তারা জানেন বোধহয় এই পাবলিক এমন অদ্ভুত ভাষায় কথা বলে। আজকে একটু আগে কল করে তিনি জানালেন যে উনি দুজন ব্লগার পেয়েছেন যারা অরগানাইজার হতে রাজি হয়েছে। শুনে ব্যাপক আনন্দিত হয়ে চোখের কোনে অশ্রু এসে গেল। ঢাকায় থেকে আমি যা পারলামনা তা তিনি চিটাগাং থেকে করলেন। যাক এবার কাজের কথায় আসি। অনুষ্ঠানস্থলে দাঁড়ানোর মানুষতো হলো। কিন্তু এবার অনুষ্ঠানে সবার অংশগ্রহন আর অনুষ্ঠানটিকে সফল করতে আমব্লগারদের একান্ত সাহায্য সহযোগীতাতো কি পাবো?
আওয়াজ দাও ঢাকার বন্ধু-বড় ভাই ও আপুরা। এবার তোমার পালা। সবার একযোগে গড়ে তোলা প্রতিরোধে ভেঁসে যাবে যতসব আগ্রাসী অপশক্তি আর তাদের সহায়তাকারীরা।
বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ আমার ঠিকানা, বাংলাদেশ আমার অংহকার। সময় এসেছে ৩০ লক্ষ তাজা প্রানের বিনিময়ে অজিত স্বাধিনতা-সাবভৌমত্ব রক্ষা করতে তরুনদের ত্যাগ এবং পরীক্ষার। হাল ছেড়োনা বন্ধুরা।
মানববন্ধন
স্থান- জাতীয় প্রেসক্লাব
তারিখ- ২১.০১.২০১১
শুক্রবার
সময়- বিকাল ৩.৩০।
আয়োজনে- SOS