বর্তমানে অনেককেই দেখতেছি যে তারা রোহিঙ্গাদের কে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্য পোষ্ট করছেন, কথা বলছেন, অনেকেই আবার এইখানে বিষয়টাকে ধর্মীয় দিক থেকে বিবেচনা করতে বলছেন।
.
প্রকৃতপক্ষে, তাদের কাউকে যদি বলা হয় আপনি একজন রোহিঙ্গাকে আপনার ঘরে আশ্রয় দেন এবং তাকে ডাল-ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন তাহলে কিন্তু তিনি সাথে সাথে না করে দিবেন, এবং তিনি যে কেনো তাকে রাখতে পারবেন না তার জন্য অনেকগুলো যুক্তি ও দেখাবেন।
.
আমার কথা হচ্ছে, আমি নিজে যখন সাহয্য করতে পারবোনা তাহলে কেন তাকে অন্যের উপর ছাপানোর চেষ্টা করতেছি। যারা এই সব কথা বলছেন তাদের জন্য একটা তথ্য দিতে চাই:
.
২-১ দিন আগে একটা স্বনামধন্য অনলাইন নিউজে দেখলাম যে সৌদিতে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ধারি রোহিঙ্গারা অপরাধের সাতে জড়িত হচ্ছে, আর এতে করে ক্ষতি হচ্ছে আমাদের আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার। প্রশাসন কিভাবে তাদের পাসপোর্ট দিলো এটা প্রশাসনই জানে।
.
সরকারের সূত্রমতে বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন। তাই যারা বলছেন সীমান্ত খুলে দাও, রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দাও, ধর্মীয় দৃষ্টিকোনের কথা বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য করে বলছি, আগে নিজের ঘর সামলান, নিজের পেট সামলান, নিজে ধর্মপ্রান হন। তারপর বাইরের দিকে পা বাড়ান।
.
জাতিসংঘ বাংলাদেশের প্রতি তাদের আহবান ফেরত নেওয়া হোক, তারা মিয়ানমারের সাথে কেনো বিষয়টা নিয়ে কথা না বলে বাংলাদেশকে আশ্রয়ের কথা বলছে।
.
সমস্যাটা কি আমাদের জাতিগত, নাকি ব্যাক্তিগত, আসলে কোনটাই না, সমস্যাটা হলো বেকারত্ব। কাজ নাই, কাম নাই তাই আর কি করবে, বইসা, শুইয়া, দাড়াইয়া যে যে ভাবে পারতেছে সে সেভাবে আজাইরা পেছালে নিজেকে জড়াইতেছে, এই আমার মতো আর কি...................
.
আমি এই পোষ্ট টা না দিলে ও পারতাম। এই লেখাটা টাইপ করতে আমার ৩০মিনিট গেলো, লাভ কি হলোmবরং কয়েকজনের সাথে এই লেখা নিয়ে তর্ক হতে পারে, কেউ কেউ সাপোর্ট ও দিতে পারে, তাতে করে যে ভবিষ্যতে আরো কত সময় যে নষ্ট হবে তা একজন ছাত্র হয়ে ও হিসাব করতে পারবো না। নিজেকে কেমন জানি দার্শনিক মনে হচ্ছে... ;-)
#অপু
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০২