১.
ফেসবুকে মহামারী আকারে একটা নিউজ চলছে। শেয়ার,কমেন্ট ও লাইকের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। সেটা হলো মায়ানমারে মুসলমান হত্যা। ব্যাপক হারে ছবি শেয়ার চলছে,যদিও কয়েকদিন আগেও একই ছবি ভারতের মুসলমানদের বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছিল।
২.
সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধেই আমাদের সোচ্চার হওয়া উচিত। কিন্তু তাই বলে মিথ্যাকে আশ্রয় করে নয়।যে কোন স্পর্শকাতর বিষয় দেখলেই আমাদের খারাপ লাগে,প্রতিবাদ করি। আর আমরা বাঙালিরা বেশি করি।বুঝে করি,না বুঝে করি। জেনে করি,না জেনে করি। ধর্মীয় ব্যাপার হলে তো কথাই নাই। আমাদের এই সরলতার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশেও সাম্প্রদায়ীকতার সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে।একবার ভাবুন,কিছু স্বার্থান্বেষী লোক ছাড়া আমরা হিন্দু,মুসলিম,বৌদ্ধ,খ্রীষ্ট্রান সকলে মিলে-মিশে কত আনন্দে বসবাস করছি।তাহলে কেন স্বার্থান্বেষীদের ফাঁদে পা দিয়ে সমাজের শান্তিটুকু আমরা নষ্ট করব। সেটা তো আমাদের ইসলামেও নেই।
৩.
মায়ানমারের মুসলমান রক্ষার আগে আমাদের নিজেদের ঈমানটা ঠিক করা জরুরি নয় কি? আমার জানা অনেকে আছে যারা মদ,গাঁজা থেকে শুরু করে নারীতেও আসক্ত। অথচ কি সুন্দর ধর্মীয় কথাবর্তা,নীতিবাক্য।তাদের মনের ভিতরটা যদি এত সুন্দর হতো তাহলে তো অশান্তি অর্ধেক কমে যেত। তারা বছরের কয়েকটা দিবসেই শুধু মসজিদে যায়। আবার সেটা খুব ফলাও করে ফেসবুকে প্রচার চলে।
কয়েকদিন পরে দেখা যাবে নামাজের মাঝখানে স্ট্যাটাস দিয়ে বসে আছে – “বিতর নামাজের সূরাটা ভুলে গেছি,কেউ কি বলে দিবে,প্লিজ!”
৪.
আজ যারা আপনারা মিথ্যাটাকে পৃথিবী ব্যাপি ছড়িয়ে দিয়ে ইসলাম রক্ষা করতে চাচ্ছেন তারা কি আরেকবার ভেবে দেখবেন? আপনার মিথ্যার কারণে সমাজে শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে, যেটা ইসলাম কথনও সাপোট করে না।
তাই ছবিগুলো শেয়ার দেওয়ার আগে একটু চিন্তা করুন, কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা। সত্যিকার মায়ানমারের চিত্র তুলে ধরেন। না হলে একদিন দেখবেন মিথ্যাবাদী রাখাল আর বাঘের গল্পের মতই হবে সবকিছু।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১:২২