সকাল থেকে চট্টগ্রামের কয়েকটি কেন্দ্রে ঘুরে আসলাম। কাজীর দিঘী, জোলাপাড়া, নেচারিয়া মাদ্রাসা, নোয়পাড়ার দুইটি কেন্দ্র, আবদুর পাড়া, বাসন্তি স্কুল। শুধু মাত্র কাজীর দিঘীর কেন্দ্র ছাড়া সবগুলা কেন্দ্রই দখল হয়ে গেছে।বি.এন.পি সরে দাঁড়ানোর পর আ.লীগ কাউন্সিলররা নিজেরা নিজেরা মারামারি শুরু করেছে। অনেক কেন্দ্রে দেশীয় অস্ত্র নিয়েও অনেক কে দেখলাম। সবচেয়ে বড় কথা পুলিশ নিরব দর্শকের মত চেয়ে আছে। আমি আশা করি ঢাকায় এইরূপ হয়নি।
আমরা সবসময় চাই বাংলাদেশে সবসময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল থাকুক। সেটা সরকারি দল হোক বিরোধী দল হোক। আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একটা দল হয়ে এই রকম একটা জোর জবর-দস্তি বিজয় নিয়ে কি করবে। ক্ষমতা থাকাটা সব কিছু নয়।বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার পিছনে এই একটি মাত্র দল নেতৃত্বে ছিল। আজ সে দলকে কেন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করতে হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মিলে যে কয়জন মেয়র পদপ্রার্থী ছিল- তাদের মধ্যে আনিসুল হককে আমার খুব ভালো লেগেছে। ওনার নির্বাচনী প্রচারণায় ছিল উৎসাহ উদ্দীপনা। যা অন্য প্রার্থীদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। আমি বিশ্বাস করি সুষ্ট নির্বাচন হলেও আনিসুল হক নির্বাচিত হতেন। কিন্তু এখন ওনার গায়ে যে জোর করে জয়ের কালিমা লাগিয়ে দিল আ.লীগ। এই কথা স্পষ্ট যে এখনকার আ.লীগ বঙ্গবন্ধুর আ.লীগ নয়।
কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের মত স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের জন্য বিকল্প দল এখনও আসে নি।তাই আমরা ভোট না দিয়েই থাকতে হবে এখন, সামনেও।
অবশেষে বলতে চাই, বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে হলে সত্যিকার অর্থে নতুন রাজনৈতিক দল আসতে হবে। যারা শুধু মিডিয়া কাভারেজ না, সত্যিকার অর্থে মাঠে থেকে, মানুষের পাশে থেকে, মানুষকে মুক্তির পথ দেখাবে।