আমার লেখাটা হয়ত এত বিশ্লেষণধর্মী নয়। শুধু মাত্র একটি উদাহরণের উপর ভিত্তি করে রচিত।
যুগান্তরে গত ১১ ফেব্রুয়ারি একটা খবর দেখে কৌতূহল নিজে পড়লাম। খবরটা ছিল পরিচালক অনিমেষ আইচ সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি “জিরো ডিগ্রি” নিয়ে (Click This Link) । কথা সত্য হলো ছবিটি আমি এখনও দেখি নি। তারপরও লিখছি।
খবরে ছবিতে নায়িকা কিভাবে গোসল করলো থেকে শুরু করে যাবতীয় বর্ণনা তুলে ধরেছেন। খুঁজে খুঁজে অনেক ভুল বের করেছেন, যেটি নিঃসন্ধেহে ভালো একটা দিক। কারণ, সে ভুলগুলো পরিচালককে আরো বেশি নির্ভুল ও বাস্তববাদী করে তুলবে। তবে লেখাতে ছবিকে এমনভাবে পচানো হয়েছে যে এটি নিঃসন্ধেহে বুঝা যায় হয় ব্যাক্তিগত আক্রোশ বা অন্য কোন স্বার্থ হাসিলের জন্য।লেখাটির শিরোনাম ছিল আরো চমকপ্রবদ “যুব সমাজ নষ্ট করার ছবি জিরো ডিগ্রী।” তবে লেখকের বর্ণনায় যে চিত্র ফুটে উঠেছে আমার মনে হয় না শিরোনামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। লেখক একে অশ্লীল ছবি বলেছেন এমনকি পক্ষান্তরে লোকদেরকে হলে গিয়ে ছবি না দেখার কথা বললেন।
এবার আসি যুগান্তরের আরেকটি খবরে যেটি ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়েছে সানি লিওনের নতুন ছবি “এক পেহেলি লীলা” নিয়ে (Click This Link)। যেখানে বর্ণনা করেছেন কতবার ট্রেলারটি দেখা হয়েছে, এটি যৌনতানির্ভর ছবি এটি খুব সুন্দর ভাষায় প্রকাশ করেছেন।
এই হলো আমাদের মিডিয়া। নিজের দেশের ছবিতে নায়িকা তোয়ালে পড়লে দোষ এবং সেটা মোটামুটি অশ্লীল।আর বাহিরের উলঙ্গ ছবি প্রচার করে নিজেরা যে অশ্লীলতার পরিচয় দিল তা কিছু নয়।
হয়তো কয়দিন পরে এই ছবি বাতিলে আহ্বানও জানিয়ে ফেলতে পারেন কিছু ধর্মগুরু! অশ্লীল হলে বন্ধ হতে পারে। কিন্তু একটা ব্যাপার খেয়াল করেন বর্তমানে হিন্দি গানগুলাও কি অশ্লীলতামুক্ত? কিন্তু আমরা সেই গানগুলোই বেশি দেখি ঘরে নিজের বিচানায় আরাম করে বসে।
একটু চিন্তা করেন তো আমাদের দেশে সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখে কয়জনে, অথচ সবার বাসায়ই টেলিভিশন আছে, আর সেই টেলিভিশনে বসে বাংলা চ্যানেলের চেয়ে হিন্দি চ্যানেলই বেশি দেখে এইটা সবার জানা। তাহলে যেখানে আমরা ঘরে বসে অশ্লীলতা চর্চা করছি সেখানে ছবিটি নিয়ে আমাদের মিডিয়াতে এই রকম একটি নীতিবাচক খবর নতুন ও মেধাবী নির্মাতাদের নীতিবাচক করে তুলবে বলে আমি মনে করি।
তাই আসুন না, দালালি না করে একটু ভালোর পথে! নিজেরে এই শিল্পটাকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করি।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০