কয়েকদিন ধরে অনশন চলছিল শহীদ মিনারে। কারা অনশনে বসেছে একথা শুনলে অনেকেই চোখ কপালে তুলবে(যারা জানেনা) । ছাত্ররা...... যারা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি হয়নি। তারা দ্বিতীয়বার ঢাবিতে ভর্তির সুযোগের জন্যে অনশন করছে। তাদের নাই কোনো মিডিয়া কভারেজ, নাই উচ্চমহলের সাপোর্ট। ওখানে থেকে অনেকে অসুস্থ পর্যন্ত হয়ে পড়েছে, দেখার কেউ নাই। আমার কাছে অনশনের এই পুরো ব্যপারটাই মনে হয়েছে আবেগ থেকে এসেছে। কিন্তু তাদের অনেক কিছু আগেই ভাবা উচিৎ ছিলো। মিডিয়া কভারেজ ছাড়া অনশন পালনে লাভ নাই।
আর তাছাড়া ঢাবি একটি সায়ত্বশাষিত(অভ্রতে বানানটা ঠিক মত আসছেনা) প্রতিষ্ঠান। এভাবে অনশন পালনে অদের কিছুই হবেনা। তারা তাদের মতো কাজ করে যাবেই। তাহলে কিভাবে সম্ভব?
একটা অপশন আমার মাথায় ছিল। সেটা হচ্ছে ঢাবির এই আইনের বিরুদ্ধে মামলা করা। জানিনা এতে কতটুকু কাজ করবে তবে এটা জাস্ট আমার একটা মতামত।
আপনাদের খেয়াল আছে কিনা, বোর্ড পরীক্ষায় একটা নিয়ম ছিল যে সাব্জেক্টিভ ও অব্জেক্টিভ দুটোতেই পাশ করতে হবে। তা নাহলে ঐ সাব্জেক্টে ফেইল। পরবর্তীতে এই নিয়মের কারনে ফেইল করা এক মেয়ে মামলা ঠুকে দিয়েছিলো এই আইনের বিরুদ্ধে। কাজ হয়েছিলো। আদালত রায় দিছে সাব্জেক্টিভ ও অব্জেক্টিভ দুটো মিলে পাশ করলেই পাশ। এভাবে যদি ঢাবিরটা করা যায় তাহলেতো ভালোই।
এবার আমার নিজের কথা বলি। আমি নিজেও ১৪ ব্যাচের ছাত্র। আমার মনে হয় ১৪ ব্যাচটা একটা অভিশপ্ত ব্যাচ। যত প্যারা ছিলো আমাদের সাথে। যত ধরনের বিপদ, সব আমাদের সাথে। আবার আমরাই প্রশ্ন ফাসের মতো ব্যাপারের সাথে কলঙ্কিত। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সব ইউনি বিশেষ করে ঢাবির এক্সাম আগাইয়া দিল......ভালো কথা। তারপর দিলো ক্যাল্কুলেটর বন্ধ করে। যাইহোক, ব্যাপারটা এটুকুর মধ্যে সীমাবদ্ব থাকলে ভালো হতো, কিন্তু না। এরপর ঢাকা বলল, দ্বিতীয়বার ভর্তির আবেদন করা যাবে না।
সত্যি কথা বলতে আমি এর পক্ষে বিপক্ষে নাই। ঢাকা তাদের নিজের মতো নিয়ম বানাবে। কিন্তু এইটার মতো স্পর্শকাতর বিষয়টা আরোও আগেই ঘোষনা দিলেই পারতো। অন্তত এক বছর আগে। তাহলে ছাত্রদের এতো সমস্যায় পড়তো না। তারা আগে থেকে মানষিক ভাবে রেডি থাকত। শুধু তাইনা। তারা এই অনশন করার সুযোগ ও যুক্তি কিছুই পেত না।
ছোট ভাই-বোনেরা যারা ৯/১০ এ পড়, তাদের জন্য কঠিন সময় আসতেছে। সম্ভবত আন্যান্য ইউনি গুলাও ২য় বার এক্সাম বন্ধের ঘোষনা দিবে অতি শিগগির। এগুলো এক দুই বছর পর থেকে কার্যকর হবে হয়ত।