নারী হয়ে জন্ম নেয়াটা পাপ নাকি পূন্য তা আসলে কখনো বুঝে উঠতে পারিনি। যদিও আমি একজন শিক্ষিত নারী। তবে যতদিন বাবার তত্ত্বাবধানে আছি ততক্ষন রাজ কন্যার চেয়ে কোন অংশেই কম নই। বিয়ের পর মেয়েদের অন্য এক জীবন শুরু হয়ে যায়। আজ বলব সে জীবন আসলেই কি দাসত্ব নাকি স্বামীর সাথে কাধঁ মিলিয়ে চলা। লাল বেনারসি পরে যখন কোন ললনা বাবার বাড়ি ছাড়ে ,তখন থেকে সে তার বাবার নয়,সে তার স্বামীর শ্বশুর বাড়ির লোকদের্। একটা মেয়ে তার সর্বোচ্চ চেস্টা করে চলে সকলের মনে যায়গা করে নিতে।
কত টুকু সে পারল সে নিজেই জানে না। কিন্তু একজন দাসীর চেয়ে কম সে নয়। দিন ভর সংসারের কাজ,রাত হলে স্বামীর খাবার্। কিন্তু এই সবের মাঝে তো আরো অনেক কিছুই তার প্রাপ্য ছিল। একসময় সে তার সত্ত্বা কে ভুলে যায়। বলতে গেলে সেও যে মানুস ,তার এই সব ভাবা পাপ। দাসত্ব হলো এক মাত্র জীবন তার কাছে।
এক সময় সে বুঝে সে কি করতে চলেছে নিজের সাথে। কত বড় অন্যায় প্রতি মুহূর্তে তার সাথে হয়েছে। সে তো নিজেকে অর্ধাঙ্গিনী হিসেবে ভেবেছিল। সবার মনে যে তা ছিল না কেউই তা জানত না। সে যে বউ নয় দাসী হয়ে এসেছিল। এখন বলার কিছু নেই। নেই ফিরে পাওয়ার দিন। অশ্রুই আজ তার সঙ্গী। কাঁদুক সে মন ভরে কাঁদুক।