প্রিয় জীবন
ভাবছি কি লিখব তোমার কাছে আজকের এই শেষ চিঠিতে কল্পনায় অনেক কিছুই আসে,কিন্তু লিখার সময় কিছুই খুজেঁ পাচ্ছি না। জীবনের শেষ মুহুর্তে দারিয়ে আমি আছি তা তুমি যানো। মরন ব্যাধি তিলে তিলে শেষ করছে আমাকে। আসলে আমার জিবনের নিরাপত্তা নেই বলেই এই অবহেলা করো তা আমি জানি। তোমাকে যেদিন সব খুলে বলি খুব ভয়ে ছিলাম ছেড়ে চলেই না যাও!সেদিন এমন ভাব করলে যেন খুব ভালবাস আমাকে। আসলে সেদিন ছিল তোমার অভিনয়। বুঝতেও পারিনি। আমি তো সুস্থ্য হতে চাই। তোমায় নিয়ে বাচঁতে চাই তুমি কি তা বুঝ নাই,নাকি আমার জায়গায় আমার স্বপ্নে অন্য কেউ এসে বাসা বেধেঁছে। প্রতি মুহুর্তে কাজের বাহানা দিয়ে এরিয়ে যাও,সময়ের অযুহাত দাও। সব বুঝি আমি। মাস পার হতে চলেছে কোন কল নেই এস এম এস নেই। এতই ব্যস্ত তুমি?????মনে প্রশ্ন জাগে। অবশ্য এক নিমিষে উত্তর পেয়ে যাই। আমাকে নিয়ে তুমি কেনই বা আর ব্যস্ত হবে তাইনা। যতই ব্যস্ত থাকতে,আগে তো সব সময় আমাকেই দিতে এখন কি আমি বদলে গেছি নাকি ভালবাসা বদলে গেছে বলো। শুধু সময় বদলে গেছে। তুমি আজ প্রবাসী। তাতে কি,হাজার মাইল দূর থেকে কি তোমাকে আমি ভালবাসিনি????আজ আমার ক্যান্সার কি আমাদের দুরে সরিয়ে দিচ্ছে তাহলে?আমাকে তো পৃথিবী থেকে চলে যেতে হবে না ফেরার দেশে। যে কয়টা দিন আছি তোমায় নিয়ে কি থাকতে ইচ্ছে আমার হয় না,তুমি বলো। আর সবার মত আমিও তো মানুস। বিশ্বাস করো ক্যান্সার আমার শরীরে আমার ভালাবাসায় নেই, একজন শিক্ষিত ব্যক্তি তুমি তাও কি বুঝো না। আমি জানি আমার এই কথা হয়ত তুমি কখনই জানবে না। জানবে না কত ভালবাসি তোমাকে। জানো আমি ভেবেছিলাম সুস্থ্য হয়ে যাব বেচেঁ থাকব সবার মাঝে,তোমাকে সাথে নিয়ে। বিধি বাম। তুমি আমাকে ফেলে পালিয়ে গেলে। তুমি আমার সব চেয়ে বড় সাহস। আজ তুমি আমাকে একা ফেলে নিজের পথ বেছে নিয়েছ। মা বলত প্রবাসীদের মন ইমশোন বলে কিছু থাকে সত্যি কি তাই। আগের মত খুব ভোরে জেগে বসে থাকি কলের আশায়। তা আর আসে না,কত এস এম এস দিয়েছি ফিরতি জবাব খুজেঁ পাইনি। ...,,,