somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালবাসি তোমাকে

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ক্যান্সার নামক মরণ ব্যাধি কয়েক মাস হলো আমার শরীরে বাসা বেধেঁছে। আমি শুরু থেকে কিছুই জানতাম না ,আমাকে কেউ অবগত করেনি বিষয় টা। যাতে ঘাবরে না যাই। বেশির ভাগ সময় অসুস্থ্য থাকি। মনের অজান্তে বসে বসে রিপর্ট গুলো দেখতে দেখতে চোখে পরে যায় ক্যান্সার শব্দটা । একটুও বিচলিত না হয়ে আম্মুর কাছে জানতে চাইলাম কেন আমাকে জানানো হয় নি। বেচেঁ থাকার আশা আমার জীবনে কেন জানিনা একদম ছিল না। পরে আম্মু সব বলল। অনেকক্ষণ কাদঁল। বলল আমার সব থেকে আদরের তুই তোকেই কেন আল্লাহ এত কস্ট দিচ্ছে। কিছুই বললাম না। শুধু বললাম এখন ডাক্তার রা কি বলে। বলল শুরুতেই ধরা পরেছে,মেডিসিন সব ঠিক মত চললে সুস্থ্য হয়ে যাব। যদি আল্লাহ হায়াত রাখে। আমার মনে তখন অন্য চিন্তা,আমার ভালবাসার মানুস ব্যাপার টা কি মেনে নিয়ে আমাকে মেনে নিবে। প্রতি মুহুর্তেই ভয় কাজ করে যায়। একদিন আমার এক শুভাকাঙ্খী তাকে সব জানিয়ে দেয়। সে জেনে যায়। এর পর থেকে প্রতি মুহুর্তে ভয় কাজ করে কখন আমাকে ফেলে চলে যাবে। তাকে আমি নিজের জিবনের চেয়ে বেশি ভালবাসি। আমারই এক শুভাকাঙ্খী তাকে সব জানিয়ে দেয়। জানতে পারি আমি সে সব জেনে গেছে। আমি অপরাধীর মত মনে করতে থাকলাম নিজেকে। কিছু ছোট কারনে সে আমার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। যা আমার পক্ষে মেনে নেয়া অসম্ভব। সে যানে তাকে ছারা আমি অপুর্ন । কিন্তু সে পুর্ন। যাই হোক,পড়াশুনার জন্য আমাকে পরিবার থেকে আলাদা থাকতে হয় ঢাকায়। কার জন্য বাচঁব, কি নিয়ে বাচব বাচাঁর স্বপ্ন দেখব সে যদি ফাকিঁ দেয় এই ভেবে মেডিসিন বন্ধ করে দেই। ফলাফল দুই দিনও পার হয়নি। আমি হাসপাতালে,। সেস্ন হারিয়ে ফেলেছি,প্রেসার ফল করেছে। রাতে এই অঘটন ঘটে। বারান্দায় বসে অপেক্ষা করছিলাম হয়ত দূরত্ব কমে আসবে। যাই হোক পরের দিন দুপুর হতেই আব্বু আমার কাছে। যাই হোক চেকআপ হলো অনেক। বাবা কিছুতেই রেখে যাবে না। বললাম সামনে পরীক্ষা । এর পর সেই পুরনো কথা আল্লাহর আমানতে রেখে যাচ্ছি। যাই হোক বাবা যাওয়ার পর থেকে কেন জানি মা ভাই দের দেখতে মন হু হু করে কেদেঁ উঠল। বাবা সকালে রওনা হয়েছে। আমি বললাম আমিও যাব। আমি যাচ্ছি বাড়িতে। শেষে ধীরে ধীরে বাস কাউন্টারে এসে হাজির হলাম। এর পর টিকীট হাতে নিয়ে বসে অপেক্ষা বাসের্। বাসে উঠার পর প্রায় দুই ঘন্টার পর দেখি খুব খারাপ লাগতে শুরু করেছে। নিশ্বাস আসছে আর যাচ্ছে। ইনহেলার টানার পরেও শ্বাস আসছে না পুরা পুরি। এর পর শুরু হয়ে gএল অনর্গল বমি। বাসায় কল দিব সেই সুযোগ নেই। ভাবলাম সময় বুঝি ফুরিয়ে গেছে আমার্। এর পর কোন ভাবে ফোন আনলক করে আব্বুর নাম্বার ডায়াল লিস্টে সবার আগে নিয়ে আসলাম। যাতে জদি মরেও যাই আমার পরিবারকে যাতে অন্তত খবর দিতে পারে। এর পর ঘুমের মেডিসিন খেয়ে চুপ করে থাকতে চেস্টা করলাম। কিছু সময় পরে ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গেলাম। প্রায় চার ঘন্টা পর ঘুম ভাংছে অল্প অল্প বুঝলাম পাশের ব্যক্তি টা ডাকছে। । তাকে তখন বললাম। যদি আমার কিছু হয় অন্তত আমাকে যাতে আমার পরিবারের কাছে কল করে দেয়। তখনো খুব খুব মাথা ঘুরছে। । বাসায় বলতে পারলাম না। অরা সবাই হিচকিচিয়ে যাবে। অবশেষ পোছাঁনোর পর যেই বাস থেকে নেমেছি আব্বুকে দেখার পরেই দেখলাম পুরো শরীর অসার হয়ে আসছে। হাত থেকে পরে গেল ল্যাপটপের ব্যাগ,পার্স ফোন। এর পর আর কিছুই বলতে পারিনা। সকালে ১১ টায় যখন সেন্স আসল দেখি আম্মু হাত ধরে বসে আছে। রাতেও নাকি সেন্স এসেছিল। বার বার নাকি ভালবাসার মানুসটাকেই খুজঁতেছিলাম। জানি সে প্রবাসে থাকে। এর পর ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছিল। যখন সেন্স আসে আম্মু শুধু কেদেঁই চলেছে। সে হয়ত জানবেই না কখনো আমি তাকে কত ভালবাসি। অকে যদি জীবনে নাই পাই নিজে নিজেই চলে যাব। সে তো আমার সাহস। যার জন্য আমি বাচঁব। আমার তো পিছু টান নেই। জীবনে যদি তাকেই না পাই তবে জীবনের দরকার কি। অকে কি করে বুঝাব এই জীবন তোমার জন্যই। ভালবাসি আমি তোমাকে অনেক।

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাষ্ট্রদূত নিয়োগ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তুঘলকি কান্ড !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪৪

৫ই নভেম্বর অন্তবর্তীকালীন সরকারের তিন মাস পূর্ণ হয়েছে। চারিদিকে আলোচনা চলছে এই সরকারের সময়ে কোন মন্ত্রণালয় কেমন পারফরম্যান্স করেছে তা নিয়ে। আলোচনা হচ্ছে অতি গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকানরা ভীষণ কনজারভেটিভ

লিখেছেন মুনতাসির, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৬

আমেরিকা নিয়ে মন্তব্য করার যোগ্যতা আমার নেই—এটা প্রথমেই বলে ফেলা ভালো। আমি শুধু আমার অভিজ্ঞতার কথা বলছি। আমেরিকা তথা উত্তর আমেরিকাতে আমার যাওয়া হয়েছে বেশ কিছুবার। সবগুলো ভ্রমণ যোগ করলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফলে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তা নেই

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২১

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফলে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তা নেই

ট্রাম্প হচ্ছে একজন আপাদমস্তক বিজনেসম্যান। কমলা হ্যা্রিস যেহেতু ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত তাই ইন্ডিয়ান ভোটার টানার জন্য সে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে টেনে জাস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

চট্রগ্রামে যৌথবাহিনীর ওপর ইসকনের এসিড হামলা সাত পুলিশ আহত।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৩

এসিড নিক্ষেপে আহত পুলিশ সদস্য



চট্টগ্রামে পুলিশের ওপর ইসকন সমর্থকদের হামলা ও এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসকন

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭


INTERNATIONAL SOCIETY FOR KRISHNA CONSCIOUSNESS যার সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ISKCON এর বাংলা অর্থ হল আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ। যে সংঘের ঘোষিত উদ্দেশ্য হল মানুষকে কৃষ্ণভাবনাময় করে তোলার মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রকৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×