নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালনা ঘাটে মধুমতী নদীতে দেশের প্রথম ছয় লেনের সড়ক সেতু নির্মাণ করা সম্পন্ন হয়েছে। সেতুর নামকরণ করা হয়েছে মধুমতী সেতু। স্থানীয়ভাবে কালনা সেতু নামে পরিচিত এই সেতুটি আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করবেন। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের সঙ্গে উন্মোচিত হবে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত। সেতু উদ্বোধনের খবরে আনন্দে ভাসছেন নড়াইলসহ আশপাশের জেলার মানুষ। সেতুর দুই তীরে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ। একই দিন নারায়ণগঞ্জের সদর ও বন্দর উপজেলাকে সংযুক্ত করা তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি নারায়ণগঞ্জ শহরকে বন্দর উপজেলার সাথে সংযুক্ত করবে, অর্থনীতি চাঙ্গা করবে, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলার মধ্যে যোগাযোগ সহজতর করবে।
মধুমতী (কালনা) সেতু
নড়াইল জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি জেলা। ১৮৬১ সালে যশোর জেলার অধীন নড়াইল মহাকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। নড়াইল শব্দটি স্থানীয় লোকমুখে নড়াল নামে উচ্চারিত হয়। ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ নড়াইল মহাকুমাকে জেলায় রুপান্তরিত করা হয়।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালনা পয়েন্টে মধুমতী নদীর ওপর এ সেতুর অবস্থান। সেতুর পূর্ব পারে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা এবং পশ্চিম পারে নড়াইলের লোহাগড়া। দৃষ্টিনন্দন এ সেতু হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু। এটি এশিয়ান হাইওয়ের অংশ। পদ্মা সেতু পার হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর প্রবেশদ্বার হবে এ সেতু। কালনা সেতুর মাধ্যমে বরিশাল ও খুলনা বিভাগ সহ গোপালগঞ্জ হয়ে যশোর ছাড়াও দেশের বৃহত্তর স্থল বন্দর বেনাপোল ও ভোমড়ার সাথে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
পদ্মা সেতু হয়ে রাজধানীতে যাতায়াতে বৃহত্তর যশোরবাসীর স্বপ্ন আটকে রয়েছিল মধুমতি নদীর কারণে। ২৫ জুন উদ্বোধনের পর পদ্মা সেতু সাধারণের জন্যে খুলে দেওয়া হলেও সেই সেতুর সুফল পায়নি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ জেলা যশোরসহ আরো কয়েকট জেলা। এই সেতু নড়াইল, গোপালগঞ্জ, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর ও ঝিনাইদহ জেলাকে সংযুক্ত করেছে। এই সেতুর সরাসরি সুফল পাবে খুলনা বিভাগের ১০টিসহ আরও কয়েকটি জেলার লাখ লাখ মানুষ।
কালনা সেতুতে ঢাকার সাথে যেসব জিলার দুরত্ব কমবে
এই কালনা ব্রিজ কলকাতা ও ঢাকার দূরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে। এই অপেক্ষাতেই ছিলেন ঢাকা-কলকাতা যাতায়াত কারী লক্ষ লক্ষ মানুষ। বেশি উপকৃত হবে গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, সাতক্ষীরা ও দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা। এতে বেনাপোল-ঢাকা ও যশোর-ঢাকার দূরত্ব ১১৩ কিলোমিটার কমবে। একইভাবে ঢাকার সঙ্গে শিল্প ও বাণিজ্যিক শহর নওয়াপাড়া ও মোংলা বন্দর, সাতক্ষীরার দূরত্বও কমে যাবে।
সেতুর পশ্চিম প্রান্তে নড়াইলের কালনাঘাট এবং পূর্ব প্রান্তে গোপালগঞ্জের শংকরপাশা। কালনাঘাট থেকে ঢাকার দূরত্ব মাত্র ১০৮ কিলোমিটার। ফলে ঢাকার সঙ্গে নড়াইল, বেনাপোল, যশোর, খুলনাসহ আশপাশের সড়ক যোগাযোগ কোথাও ১০০ কিলোমিটার, কোথাও আবার ২০০ কিলোমিটার কমে যাবে। নতুন সেই পথে নড়াইল থেকে ঢাকার দূরত্ব কমাবে ১০০ কিলোমিটার। তবে সব থেকে বড় ভূমিকা রাখবে যশোর অঞ্চলের। বিশেষ করে বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ঢাকার দূরত্ব কমাবে ১২০ কিলোমিটার। বাড়বে বাণিজ্য সুবিধাও। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় থাকা এ অঞ্চলের মানুষ তাই এখন দেখছে নতুন স্বপ্ন। তারা বলছেন, কেন্দ্রের সঙ্গে এই ব্রিজ তৈরি করবে নতুন সংযোগ।
এই কালনা সেতুটি নির্মিত হয়েছে সড়ক অধিকারীদপ্তর ক্রস বর্ডার রোড ইমপ্রুমেন্ট প্রজেক্ট এর আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সি (JIKA ) দ্বারা। পাশাপাশি নির্মাণেও মুনশিয়ানা আছে এ সেতুতে। কপার ড্যাম টেকনোলজিতে তৈরি এ সেতুটি নেলসন লোস আর্চ টাইপের (ধনুকের মতো বাঁকা), এটির মডেল তৈরির এমন নান্দনিকতা এ দেশে প্রথম। এ সেতুর স্থায়িত্ব ১০০ বছর ধরা হয়েছে। কালনা দেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু। এ সেতুর চারটি মূল লেনে দ্রুতগতির ও দুটি লেনে কম গতির যানবাহন চলাচল করবে। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬৯০ মিটার এবং প্রস্থ ২৭ দশমিক ১ মিটার। উভয় পাশে সংযোগ সড়ক ৪ দশমিক ২৭৩ কিলোমিটার, যার প্রস্থ ৩০ দশমিক ৫০ মিটার। সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় প্রায় ৯৬০ কোটি টাকা। এশিয়ান হাইওয়ের ওপর অবস্থিত এটি। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সিলেটের তামাবিল হয়ে ঢাকা, ভাঙ্গা, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ভূমিকা রাখবে। তবে এত দিন কালনা পয়েন্টে মধুমতী নদী ধারা বিছিন্ন ছিল। সেতু নির্মাণের ফলে সেই বিছিন্নতা আর রইল না। কালনা সেতু শুধু জাতীয় ক্ষেত্রেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। ভারত, কলকাতা, আসামসহ দেশের মধ্যে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর, বেনাপোল ও নোয়াপাড়া নদীবন্দরের মধ্যে যোগাযোগের মাইলফলক রচিত হবে। নড়াইলের লোহাগড়ায় ইপিজেড (রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল) চালুসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর নড়াইলে সুলতান মঞ্চের জনসভায় কালনা পয়েন্টে একটি সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তিনি। শতভাগ সফলভাবে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি উদ্বোধন করবেন।
এ সেতুর টোলের হারও চূড়ান্ত করা হয়েছে। কন্টেইনার বা ভারী মালামাল পরিবহনে সক্ষম যানের টোল ধরা হয়েছে ৫৬৫ টাকা, বড় ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যান ৪৫০ টাকা, মধ্যম ট্রাক ২২৫ টাকা, বড় বাস ২০৫ টাকা, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা, পাওয়ার টিলার বা ট্রাক্টর ১৩৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস বা পিকআপ ৯০ টাকা, সিডান কার ৫৫ টাকা, টেম্পো বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ২৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং ভ্যান, রিকশা বা বাইসাইকেল ৫ টাকা।
তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু
এদিকে আজ নারায়ণগঞ্জের সদর ও বন্দর উপজেলাকে সংযুক্ত করা তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুটিও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুটি বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এটি নারায়ণগঞ্জ শহরকে বন্দর উপজেলার সাথে সংযুক্ত করবে, অর্থনীতি চাঙ্গা করবে, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলার মধ্যে যোগাযোগ সহজতর করবে।
সেতুটির প্রকল্প পরিচালক শোয়েব আহমেদ বাসসকে বলেন, ১.২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলগামী যানবাহন এবং একইভাবে চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যানবাহন যানজট এড়াতে এবং সময় বাঁচাতে নারায়ণগঞ্জ শহরকে বাইপাস করতে সক্ষম করবে। এতে দেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে চাঙ্গা হবে। কারণ, এটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে যানবাহনের ভ্রমণের সময় কমিয়ে দেবে। সেতুটির সঙ্গে নতুন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠলে পদ্মা সেতু থেকে জনগণ সর্বোচ্চ সুবিধা পাবে বলেও জানান তিনি।
সেতুটি স্থানীয় এবং জাতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হবে। এখন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন ঢাকার যাত্রাবাড়ী রুট ব্যবহার করে পোস্তগোলা ব্রিজ হয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে যায় অথবা চাষাঢ়া ও সাইনবোর্ড রুট ব্যবহার করে গন্তবে পৌঁছায়। শীতলক্ষ্যা সেতু চালু হলে পঞ্চবটি বিসিক শিল্প এলাকা, পঞ্চবটি মোড়, চাষাঢ়া মোড়, সাইনবোর্ড, নারায়ণগঞ্জের চট্টগ্রাম সড়ক বা ঢাকার পোস্তগোলা ও শনির আখড়া রুটে যানবাহনকে তীব্র যানজটের সম্মুখীন হতে হবে না। যানবাহনগুলো রাজধানীর পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ শহরকে বাইপাস করতে পারবে। এতে রাজধানী ও নারায়ণগঞ্জ শহরের ওপর চাপও কমবে।
নারায়ণগঞ্জের মানুষ নদীর ৩ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্ব নৌকায় পার হতে অনেক সময় লেগে যেতো। এ জন্য দূরত্ব অনুযায়ী গুনতে হতো টাকাও। এছাড়া সড়ক পথে গেলে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরতে হতো। এখন নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের মানুষ শীতলক্ষ্যার এই সেতু দিয়ে অল্প সময়ে যাতায়াত করতে পারবেন।
তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু প্রকল্পটি ২০১০ সালে একনেকে অনুমোদন পেলেও ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ৬০৮.৫৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে এর মধ্যে ২৬৩.৩৬ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে এবং ৩৪৫.২০ কোটি টাকা সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) থেকে এসেছে। ওয়াকওয়েসহ সেতুটিতে ৩৮টি স্প্যান রয়েছে - পাঁচটি নদীতে এবং ৩৩টি পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে। হাঁটার পথসহ সেতুটির প্রস্থ ২২.১৫ মিটার। এছাড়া, ছয় লেনের টোল প্লাজা এবং দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ রোডও নির্মাণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগান্তকারী উন্নয়ন
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থার সব বড় বড় জটিলতার অবসান হয়েছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরির স্থলে সেতু বা টানেল নির্মাণ আপাতত জরুরি নয়। নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণে সফল বাঙালি জাতি ভবিষ্যতে এটিরও একটি সমাধান করে ফেলবে - এরকম আত্মবিশ্বাস এখন আমাদের সবার আছে।
তবে এসব সেতু দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য আরো বেশি ইতিবাচক ফল বয়ে আনতে হলে আরো কিছু কাজ করতে হবে। পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কের ভাংগা থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা, এবং খুলনা ও যশোর ছাড়া বরিশাল থেকে পিরোজপুর হয়ে খুলনা পর্যন্ত মহাসড়কগুলো ৬ লেনে উন্নীত না হওয়ায় এ অঞ্চলের পরিবহন ব্যবস্থা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে। পাশাপাশি বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ‘বাসন্ডা বেলী সেতু’র পুনর্বাসন সহ পিরোজপুর বাইপাস নির্মিত না হওয়া পর্যন্ত যানবাহনের জটিলতা ক্রমশেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন এগুলো উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।
উচ্চমার্গীয় ব্লগারদের নেতিবাচক মন্তব্য
মধুমতি ও তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু সম্পর্কে এখানে যা লিখেছি এর বেশিরভাগই আপনারা পত্র-পত্রিকা পড়ে এর মধ্যেই জেনেছেন। তারপরেও পোস্ট আকারে এখানে দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো সুশীল ব্লগারগণ তাদের চিরচরিত নেতিবাচক সমালোচনা ও মন্তব্য করার জন্য। আমরা বড়ই নেতিবাচক জাতি। ভালো-মন্দ সবকিছুতে খুঁত খোঁজা আমাদের মজ্জাগত অভ্যাস। তাই নেগেটিভ সমালোচনার জন্য একটা ইস্যুতো দরকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, পদ্মা সেতু নিয়ে শুরু থেকেই এ দেশের বেশিরভাগ মানুষ, পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়া ব্যাপক সমালোচনা করেছিল। সব অসম্ভবকে সম্ভব করে পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ার পর এ সমালোচনা কিছুটা কমলেও একটি বিশেষ শ্রেণী বিভিন্ন কারণে সব সময় অযৌক্তিক খুঁত খোঁজার চেষ্টা করেছে। উদাহরণ হিসাবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের কয়েকদিন আগে সামু ব্লগের উল্লেখযোগ্য কিছু ভিত্তিহীন নেগেটিভ মন্তব্য এখানে তুলে ধরলাম:
পদ্মা সেতু চালু হয়েছে এখন তিন মাস হয়ে গেল। বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে উপরের মন্তব্যগুলো পড়লে এখন মনে হয় এগুলো গলির মুখের চায়ের দোকানে অর্ধশিক্ষিত বেকার লোকদের সময় কাটানোর আড্ডা-ক্যাচালের কিছু বিক্ষিপ্ত সংলাপ!
তথ্য ও ছবিসূত্র:
প্রথম আলো, ইত্তেফাক, বাংলা ট্রিবিউন
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৫