হবাগে কথিত গণজাগরণ আন্দোলনের আড়ালে ভারতকে করিডোর দেয়ার প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে এনেছে সরকার। ‘কোস্টাল অ্যান্ড মেরিটাইম শিপিং’ চুক্তির আওতায় ভারতকে বাড়তি ফি ছাড়াই এ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত উপকূলীয় সমুদ্র ও সংশ্লিষ্ট বন্দরগুলোর সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে এরই মধ্যে যৌথভাবে প্রতিবেদন, খসড়া চুক্তি ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করেছে। এর আগে দু’দেশের প্রতিনিধি দল উপকূলীয় সমুদ্র এলাকা ও সংশ্লিষ্ট বন্দরগুলো পরিদর্শন করেছে। সর্বশেষ বাংলাদেশের কক্সবাজারে এ সংক্রান্ত বৈঠক হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে বলে খসড়া চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ চুক্তির আওতায় চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য আসাম, মেঘালয়সহ উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে সরাসরি চলে যাবে। ভারতীয় বিভিন্ন ক্যাটাগরির জাহাজ বাংলাদেশের উপকূলীয় সমুদ্রসীমায় অবাধে চলাচলের সুযোগ পাবে। এতে পণ্য পরিবহনে ভারতের সময় ও অর্থ উভয়ই সাশ্রয় হবে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকায় ভারতীয় পণ্য পরিবহনের সুবিধা না দেয়ার জন্য আপত্তি জানিয়েছে সরকারের একটি সংস্থা। এসব আপত্তি উপেক্ষা করে রাজনৈতিক বিবেচনা ও ভারত সরকারের আবদার পূরণে এ সুযোগ দিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। নৌমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশও লাভবান হবে। ভারত থেকে সরাসরি কাঁচামাল আনতে পারবেন বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। আগামীকাল বুধবার ভারতে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ-ভারত সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। বৈঠকে নৌ-সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌমন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ ও সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের ৯ কর্মকর্তা অংশ নেবেন। রাষ্ট্রীয় এ বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের হয়ে দু’জন বেসরকারি ব্যক্তি যোগ দেবেন। তারা হলেন—গালফ ওরিয়েন্ট সীওয়েজের এমডি মাহফুজ হামিদ ও বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহাবুবউদ্দিন আহমেদ।
এর আগেও মাশুল ছাড়াই ভারতকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুযোগ দেয় সরকার। তিতাস নদীসহ ১৮ নদী-খালে বাঁধ দিয়ে রাস্তা তৈরি করে তার ওপর দিয়ে ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুত্ কেন্দ্রের সরঞ্জাম পরিবহন করেছিল। এতে ওই এলাকার অবকাঠামো ভেঙে পড়েছিল।
এদিকে নৌ-প্রটোকলভুক্ত নৌপথ শেরপুর-ফেঞ্চুগঞ্জ-জকিগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ-চিলমারী-দৈখাওয়া রুটের রক্ষণাবেক্ষণে প্রতিশ্রুত ১০ কোটি টাকা আজও দেয়নি ভারত। এমনকি ভারতের নদীতে বাংলাদেশের জাহাজ চলাচলে নাব্য সঙ্কট, বাংলাদেশী নাবিকদের ভারতের মাটিতে নামতে না দেয়াসহ উদ্ভূত সমস্যাগুলোর সমাধান করেনি। গত বছরের ২-৩ জুলাই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দু’দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এবারও সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করবে সরকার।
এ অবস্থায় সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ‘মানবিক বিবেচনায়’ ভারতকে ১০ হাজার টন খাদ্যপণ্য পরিবহনের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহার করে এসব খাদ্যপণ্য ভারতের রাজ্যগুলোতে পরিবহন করা হবে। যদিও ভারতকে এ সুযোগ দেয়ার বিরোধিতা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এক চিঠিতে সংস্থাটি বলেছে, আশুগঞ্জ বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ও অবকাঠামোগত সুবিধা নেই। আশুগঞ্জ জেটি থেকে মহাসড়ক পর্যন্ত বিধ্বস্ত সংযোগ সড়কসহ আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়কের উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ট্রান্সশিপমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত রাখার পক্ষে মত দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। পররাষ্ট্র ও নৌ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান গতকাল আমার দেশ-কে বলেন, কোস্টাল শিপিং চুক্তির অগ্রগতি হয়েছে, এর বেশি কিছু জানি না। সচিব পর্যায়ের বৈঠকের বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ ধরনের বিষয়ে সাধারণত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আমাকে অবহিত করেন। বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমি বলতে পারব না।
ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষীয় বিষয়গুলো নিষ্পত্তি না করে এখনই ভারতের সঙ্গে কোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্ট না করার পক্ষে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, নৌযান সংক্রান্ত দুই দেশের বিদ্যমান আইন পরিবর্তন বা শিথিল করা, বন্দর, সড়ক, রেলপথের সক্ষমতা অর্জন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শুল্ক হার নির্ধারণ ও বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়টি লক্ষ্য রেখে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় ট্রানজিট সুবিধা দিলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক অবস্থান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। দেশীয় অবকাঠামো আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকারের বিভিন্ন মিটিংয়ে তারা বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান তারা।
করিডোরের প্রস্তুতি : বিশেষজ্ঞরা জানান, করিডোর সাধারণত দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে হয়। একটি দেশের পণ্য অন্য একটি দেশের ওপর দিয়ে একই দেশে পরিবহন করা হলে তাকে করিডোর সুবিধা বলা হয়। কোস্টাল শিপিং ও মেরিটাইম চুক্তির খসড়া পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এ চুক্তির আড়ালে মূলত ভারতকে করিডোর সুবিধা দিতে যাচ্ছে সরকার। বিনিময়ে ভারতের বিভিন্ন বন্দর থেকে সরাসরি পণ্য আমদানির সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। বর্তমানে অনেক বেশি পথ ঘুরে কাঁচামাল পণ্য বাংলাদেশে আসছে। সূত্র জানায়, কোস্টাল শিপিং ও মেরিটাইম চুক্তির প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে এনেছে সরকার। সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর জোবায়ের আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ভারত সফর করে। সম্প্রতি ভারতের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে এবং কক্সাবাজারে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। পরে দুই দেশের কর্মকর্তারা কোস্টাল শিপিংয়ের সম্ভাব্যতা স্টাডি করে যৌথভাবে প্রতিবেদন, খসড়া চুক্তি ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করেছে। কাল থেকে ভারতে অনুষ্ঠেয় সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। বাংলাদেশ বিষয়টি আলোচ্য সূচিতে (এজেন্ডা) রেখেছে। প্রথমত ৫ বছরের জন্য এ চুক্তি করা হচ্ছে। তবে আগামী ২ বছর পর চুক্তির রিভিউ হবে। রিভিউ বৈঠকের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরও ৫ বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন হয়ে যাবে বলে খসড়া চুক্তিতে বলা হয়েছে। তবে ভারত বা বাংলাদেশ ৬ মাসের নোটিশ দিয়ে চুক্তি বাতিল করতে পারবে।
খসড়া চুক্তিতে দেখা গেছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ, উপকূলীয় ও সমুদ্রগামী বাণিজ্যিক জাহাজ ৫টি রুটে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সুযোগ পাবে। ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের সমুদ্র বন্দর ভিজাগাপত্তনম ও কাকিনারা বন্দর, কলকাতা বন্দর, পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দর ও পূর্বাঞ্চলীয় উপদ্বীপের পারাদ্বীপ বন্দর থেকে বাংলাদেশের মংলাসহ অন্য বন্দরগুলোতে মাল পরিবহন করতে পারবে। এ রুট ব্যবহার করে তৃতীয় দেশের বন্দর থেকে পণ্য আনা-নেয়া করতে পারবে। এক্ষেত্রে ভারত চাইলে অন্য কোনো দেশের পতাকাবাহী জাহাজে পণ্য পরিবহনের সুযোগ পাবে। তবে যুদ্ধ জাহাজ, সামরিক ও আধা-সামরিক জাহাজ, গবেষণা জাহাজ ও মাছ ধরা নৌযান এ সুযোগ পাবে না। এ চুক্তির ফলে ভারতকে অতিরিক্ত ফি দিতে হবে। আমাদের দেশে চলাচলকারী নৌযানগুলো যে হারে ফি প্রদান করে একই হার ভারতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। অর্থাত্ এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশ আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে না। এতে আরও বলা হয়েছে, স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউর (এসওপি) পর্যালোচনা করে দেখে গেছে, চুক্তির আওতাভুক্ত রুটগুলোতে স্ব স্ব দেশ রক্ষণাবেক্ষণ করবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অংশের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাংলাদেশকে বহন করতে হবে।
নৌসচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, সচিব পর্যায়ের বৈঠকে কোস্টাল শিপিং চুক্তির বিষয়টি আলোচনা করা হবে। নৌ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আলাউদ্দিন আমার দেশ-কে বলেন, কোস্টাল শিপিং চুক্তির আওতায় বড় জাহাজে ভারত থেকে পণ্য চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে আসবে। সেখান থেকে সড়ক ভারতের আসাম, মেঘালয়, মিজোরামসহ অন্য রাজ্যগুলোতে চলে যাবে। এটা এক ধরনের ট্রানজিট। বিষয়টি দুই দেশের মধ্যে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। মাশুল আরোপের বিষয়ে তিনি বলেন, কি হারে মাশুল নেয়া হবে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। ভারতীয় পণ্যবাহী যান যেসব সড়ক ব্যবহার করবে, ওইসব সড়কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ব্যয় ও গাড়ি চলাচলের হার অনুপাতে শুল্ক নির্ধারণ করা হবে।
১০ হাজার টন খাদ্যপণ্য পরিবহনের সুবিধা পাচ্ছে ভারত : অবকাঠামোগত সুবিধা ছাড়াই আশুগঞ্জ নৌবন্দর দিয়ে ‘মানবিক’ কারণ দেখিয়ে ১০ হাজার টন খাদ্যশস্য পরিবহনের সুবিধা পাচ্ছে ভারত। কাল ভারতে অনুষ্ঠেয় সচিব বৈঠকে এ সংক্রান্ত চুক্তি হতে পারে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। নৌমন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ৩৫ হাজার টন খাদ্যশস্য পরিবহনের সুযোগ চেয়ে আসছে ভারত। সরকার ১০ হাজার টন পরিবহনের সুযোগ দিচ্ছে। তবে ভারতকে এ সুযোগ দেয়ার বিরোধিতা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এক চিঠিতে আশুগঞ্জ বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ও অবকাঠামোগত সুবিধা নেই। আশুগঞ্জ জেটি থেকে মহাসড়ক পর্যন্ত বিধ্বস্ত সংযোগ সড়কসহ আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়কের উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ট্রান্সশিপমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত রাখার পক্ষে মত দিয়েছে সংস্থাটি। চিঠিতে বলা হয়েছে, কলকাতা-আশুগঞ্জ নৌপথে সারাবছরব্যাপী নাব্য বজায় থাকলেও আশুগঞ্জ বন্দরে পণ্য ওঠানামানোর জন্য অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ বিষয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নৌমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের অংশ নেয়া কর্মকর্তারা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ১০ হাজার টন খাদ্যশস্য পরিবহনে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নৌসচিব সরাসরি কোনো জবাব না দিয়ে বলেন, দেখা যাক কী হয়। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ড. শামছুদ্দোহা খন্দকার গতকাল আমার দেশ-কে বলেন, রাস্তাঘাট খারাপ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি না থাকায় এবং মানবিক বিষয়টি বিবেচনা করে ৩৫ হজার টন খাদ্যশস্য পরিবহনের স্থলে ১০ হাজার টন খাদ্যশস্য পরিবহনের সম্মতি দেয়া হচ্ছে। আশুগঞ্জ বন্দর সংলগ্ন ২ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা বেশ খারাপ। বিআইডব্লিউটিএর অর্থায়নে এ সড়ক সংস্কার করা হচ্ছে। এছাড়া ২০০ ফিট পল্টুন, আধুনিক জেটি ও গ্যাংওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বড় লরিতে খাদ্যশস্য পরিবহন করলে রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ হবে। ৫ টনের গাড়িতে মাল পরিবহন করলে আমাদের সমস্যা হবে না।
প্রতিশ্রুত ১০ কোটি টাকা দেয়নি ভারত : নৌ প্রটোকলভুক্ত নৌপথ শেরপুর-ফেঞ্চুগঞ্জ-জকিগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ-চিলমারী-দৈ খাওয়া রুটের রক্ষণাবেক্ষণে প্রতিশ্রুত ১০ কোটি টাকা আজও দেয়নি ভারত। এমনকি ভারতের নদীতে বাংলাদেশের জাহাজ চলাচলে নাব্য সঙ্কট, বাংলাদেশী নাবিকদের ভারতের মাটিতে নামতে না দেয়াসহ উদ্ভূত সমস্যাগুলোর সমাধান করেনি। গত বছরের ২-৩ জুলাই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে প্রতি বছর রক্ষনাবেক্ষণ ফি ৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ কোটি টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ভারত। টাকা না পাওয়ায় এবারও সচিব পর্যায়ের বৈঠকের আলোচ্যসূচির প্রথমে রাখা হয়েছে। বৈঠকে টাকা প্রদানের বিষয়টি উত্থাপন করবে সরকার। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ড. শামছুদ্দোহা খন্দকার গতকাল আমার দেশ-কে বলেন, ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের আওতায় এ দুই রুট খননের জন্য ৮০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও প্রতি বছর রক্ষণাবেক্ষণে ৮০-১০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
View this link