মোহাম্মদ আশরাফুল !
দূর্বল ব্যক্তিত্বের চুপচাপ এই ছোট্টখাটো মানুষটার বিপিএল নিয়ে আজকের মিডিয়ার সামনের স্বীকারোক্তি এবং ক্ষমা প্রার্থনার পর তাকে আসলেই কি ক্ষমা করা যাবে ?
সে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সমস্ত অপরাধের স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সে এখন নিজের কাছে পুরোপুরি পরিস্কার। আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ও নিরাপত্তা ইউনিটের রিপোর্ট পাওয়ার পর সে আমাদের কাছেও পরিস্কার হয়ে যাবে।
মনের মধ্যে প্রশ্ন আসছে কিছু। প্রথমটা হলো, আসলে আইসিসি'কে চালায় কে ?
সোজাসাপ্টা উত্তর, 'ভারত' চালায়।
ফ্লাসব্যাকে যাই। সময়টা ছিলো আইসিএল এর। বাংলাদেশ থেকে ঢাকা ওয়ারিয়র্স নামের একটা টিম 'ভারত' গেলো। ভালো পারর্ফম করলো। অবশেষে আইপিএল বনাম আইসিএল, বিসিসিআই এবং টাকা খাওয়ার নানা গুটিবাজীতে নিষিদ্ধ হলো টুর্নামেন্টটি। আর আমরা হারালাম কাপালী, আফতাব কিংবা শাহরীয়ার নাফিসের মত দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কিছু প্লেয়ারকে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে নিতে ততদিনে এসব প্লেয়ারদের ফর্ম শেষ। রেষ্ট ইন পিস আফতাব-কাপালী-নাফিস !
আইপিএল এর ঝান্ডা উড়লো বিশ্ব ক্রিকেটে। এতদিনের টুকটাক ম্যাচের বাজিকররা নড়েচড়ে বসলেন। শুরু হলো গোচরে-অগোচরে স্পট ফিক্সিং। ফিক্সার যথারীতি 'ভারতে'র ধনকুবেরগন।
আইপিএল এর আদলে শুরু হওয়া বিপিএলও ভারতীয় টাকার কুমির বাজীকরদের আওতার বাইরে রইলোনা। এই ভারতীয়দের টোপেই এবার নিষিদ্ধ হলো পুনরায় সদ্য ফর্মে ফেরা মোহাম্মদ আশরাফুল। রেষ্ট ইন পিস আশরাফুল !
স্ট্যাটাসের প্রথমেই বলেছিলাম ক্ষমার কথা। হ্যা, আমি ক্ষমা করে দিয়েছি আশরাফুলকে। কারন তার নামটা শুনলেই চোখের সামনে একটা নিস্পাপ সহজ সরল মুখ ভেসে ওঠে। যার নামের সাথে যুক্ত ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ টেষ্ট সেঞ্চুরিয়ান, কার্ডিফের সেই মহাকাব্যিয় সেঞ্চুরী, ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ বলে হাফ-সেঞ্চুরি... এভাবে বলতে গেলে লাইন লম্বা হয়ে যাবে।
হে মহান ভারত ! ভুখন্ড খাইলা, টিভির দর্শক খাইলা, সিনেমা খাইলা, দেশের পেটেন্ট খাইলা, এখন তিলে তিলে খাচ্ছো আমাদের ক্রিকেটটাকে ! আর কত খেলে তোমাদের পেট ভরবে ! আর আমরাও তোমাদের পা-চাটা বন্ধ করবো !
উত্তর আছে কি ???
Mohammad Ashraful. You was, are and will remain 'Agun er E Gola' to me. Hope you'll comeback soon..
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১০