ছবির দুই রাজনৈতিক ব্যক্তির পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না তবুও এটুকু না বললেই নয় যে তারা দুজনেই ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮-এর সামরিক সরকারবিরোধী আন্দোলন, ৬২-এর সম্মিলিত বিরোধী দলের আন্দোলন, ৬৮-৬৯-এর গণআন্দোলন, ৭০-এর নির্বাচন, ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং ২০০৭ সালে জরুরী অবস্থা জারির পর যে অল্প কজন রাজনীতিক সাহসী ভূমিকা নিয়েছিলেন খন্দকার দেলোয়ার হোসেন এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ছিলেন অন্যতম।
এক এগারোর পর দুই দলের সবচেয়ে দুঃসময়ে তারা দলকে রক্ষায় রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, তারা সেসময় শুধু তাদের দলকেই রক্ষা করেন নাই বরং গণতন্ত্রকে রক্ষায়ও বড় ভূমিকা রেখেছিলেন।
১/১১ এর পর অনেকের মধ্যে যে বিচ্যূতি এবং চামড়া বাঁচানোর প্রবণতা দেখা গেছে, তারা সেটার মধ্যে ছিলেন না। অনেক অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও তারা রাজনীতির প্রতি তাদের নিষ্ঠার প্রমাণ রেখেছেন।
তাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আজ আমাদের রাজনীতিতে রাজনৈতিক সহমর্মিতা, ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা, জনমুখি নেতৃত্ব সর্বোপরি দেশপ্রেমের অসম্ভব অভাব। যার কারণে প্রতিহিংসা বৃদ্ধি পেয়ে সমাজে এক অরাজকতা তৈরী হচ্ছে এবং এর ভুক্তভোগী হচ্ছি আমরা।
ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধা ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হলে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ভিত্তি সুদৃঢ় হবে। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, জিল্লুর রহমান, সৈয়দ আশরাফ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ব্রিগেডিয়ার হান্নান শাহ, তরিকুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ আজাদ, এম.কে আনোয়ারদের মত বর্ষীয়ান নেতাদের দেখানো পথ থেকে সরে আসছি এবং একটি অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়াচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮