somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রয়াত ব্লগারদের স্মরণে

০৭ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রয়াত ব্লগারদের স্মরণে

ধরো, আজ সকালে ব্লগ খুলতেই একটা দুঃসংবাদ পেলে।
মানুষের মৃত্যুর সংবাদ সচারচর দুঃসংবাদই হয় বটে।
খবরটা এরকম-“ব্লগার কালপুরুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে”।
চমকে উঠলে! চমকে ওঠার তেমন কোন কারণ নেই,
অহরহ এমন দুঃসংবাদ খবরের কাগজে রোজই ছাপা হয়।
কালপুরুষ আর অন্য মানুষের মধ্যে এমন কী তফাৎ!
পরিচয়ের সূত্র ধরে কেউ কাছের, কেউবা দূরের।
মৃত্যু অনেক সময় মানুষকে মহান করে তোলে।
সত্যিই তোলে কি! হয়তো তোলে। তবে ব্যতিক্রমও আছে।
শীর্ষ সন্ত্রাসীর মৃত্যু কিংবা ক্রশ ফায়ারে মৃত্যু
অনেককেই ব্যথিত করেনা, আমাকেও করেনা।
তবে মিথ্যে সন্দেহে গণ পিটুনি কিংবা লাঠি বৈঠা দিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা
আমাকে ভীষণ কষ্ট দেয়। কষ্ট দেয় দোররা মেরে নারী হত্যা।
বেঁচে থাকাকালীন আমার বোধোদয় এমনটাই।
তাইতো একদিন যে মানুষটিকে তার মিথ্যাচার ও অসদাচরণের জন্য
মোটেও পছন্দ করতাম না, একদিন তার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ব্যথিত হলাম।
আমার মন থেকে তার প্রতি সকল ঘৃণা-ক্ষোভ মুছে গেল।
বরং মানুষটিকে মৃত ভেবে কষ্ট পেয়েছি-
মৃত্যুর আগে লোকটি উত্তরসূরীদের জন্য কিছুই রেখে যেতে পারেনি।
ঘরে ছিল তার বৃদ্ধা মা, অসহায় স্ত্রী আর দুই কিশোর সন্তান।
তাদের কষ্টের কথা ভেবে মানুষটির প্রতি আমার এতোটুকু বিদ্বেষ জন্মায়নি।
তার দাফন ক্রিয়াও হয়েছিল প্রতিবেশীদের সহায়তায়।
জানাজার আগে যখন তার কিশোর সন্তান এসে বললো-
“আমার বাবার যদি কারো কাছে কোন ঋণ থাকে বলবেন,
আমি ওয়াদা করছি আমি তা পরিশোধ করে দেবো”।
কেউ তখন মুখ খোলেনি- কেউ কিছু দাবী করেনি।
মানুষ সময়ে অনেক বদলে যায়, ক্ষমাশীল হয়ে ওঠে।
বেচারা ক্ষমা পেয়ে গেলেন অবাঞ্ছিত কিছু ঋণের বোঝা থেকে।
জীবদ্দশায় কিছু কিছু মানুষ বিরক্তিকর হলেও মৃত্যুর পর
তারাও কিছুনা কিছু সহানুভূতি পায়। একজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর মা’ও
তার পুত্রের মৃত্যু হলে অশ্রু বিসর্জন করে।
ক্ষমা করবেন, কালপুরুষের মৃত্যু সংবাদ কেবলই একটি উপমা মাত্র।
সাধারণ মানুষের মৃত্যুর কথা মানুষ সহজেই ভুলে যায়,
যেমন আমরাও মাঝে মাঝে ভুলে যাই আমাদের সহব্লগাদের মৃত্যুর কথা।
আবার কেউ কেউ আমারি মতো নস্টালজিকতায় ভুগেন,
স্মরণ করেন প্রয়াত জুবায়ের আহমেদ, মাহবুব মাতিন আর ইবনদের কথা।
৫৭৪ বার পঠিত
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আয়নাঘর শুধু ক্যান্টনমেন্টেই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়েও ছিল

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আয়নাঘর শুধু ক্যান্টনমেন্টেই ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়, হোটেল এমনকি ব্যক্তিগত বাড়িতেও ছিল। আপনারা শুধু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০০

প্রতিযোগিতার এই দুনিয়ায় এখন আর কেউ নিজের মতো হতে চাই না, হতে চাই বিশ্ববরেণ্যদের মতো। শিশুকাল থেকেই শুরু হয় প্রতিযোগিতা। সব ছাত্রদের মাথায় জিপিএ ৫, গোল্ডেন পেতে হবে! সবাইকেই ডাক্তার,... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। এইচএমপিভি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৩




করোনা মহামারির ৫ বছরের মাথায় নতুন একটি ভাইরাসের উত্থান ঘটেছে চীনে। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি নামের নতুন এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে দেশটিতে।চীনের সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাকিস্তান, আমেরিকা, জামাত-শিবির আমাদেরকে "ব্যর্থ জাতিতে" পরিণত করেছে।

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৭



আজকে সময় হয়েছে, আমেরিকান দুতাবাসের সামনে গিয়ে বলার, "তোরা চলে যা, ট্রাম্পের অধীনে ভালো থাক, আমরা যেভাবে পারি নিজের দেশ নিজেরা গড়বো। চলে যাবার আগে তোদের পাকী... ...বাকিটুকু পড়ুন

=হয়তো কখনো আমরা প্রেমে পড়বো=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০০


পোস্ট দিছি ২২/১২/২১

©কাজী ফাতেমা ছবি

কোন এক সময় হয়তো প্রেমে পড়বো আমরা
তখন সময় আমাদের নিয়ে যাবে বুড়ো বেলা,
শরীরের জোর হারিয়ে একে অন্যের প্রেমে না পড়েই বা কী;
তখন সময় আমাদের শেখাবে বিষণ্ণতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×