রম্য ছড়াঃ নারী নিকের ব্লগার যারা
শিলা বলে কালো হাতে ভাল লেখা আসেনা,
শাপলা বলে তাল দীঘিতে পদ্ম কেন ভাসেনা?
নীলাঞ্জণা নীল চোখে তার সুরমা কেন আঁকেনা,
মুনিয়ার মন ভাল নেই তাইতো লেখায় থাকেনা।
সুমি এখন ব্যস্ত ভীষণ লেখাপড়ায় মন দিয়েছে,
জোনাকি এখন জ্বলছে বেশী মুখে তার খই ফুটেছে।
আইরিনের নেশা এখন দারুন কিছু কবিতা লেখা,
নওরীণের আনাগোনা অমাবশ্যায় যেন চাঁদ দেখা।
শাহানার সংসারে বিড়ালটা ভীষণ মুখচোরা আজ,
ফ্লোরা এসে ঘুমায় শুধু লেখাটা নাকি বোরিং কাজ।
রাগ ইমনের মুচমুচে পোষ্ট হরহামেশা টাটকা তাজা,
চতুরভূজের লেখাও যেন লাচ্ছি সেমাই ঘি’য়ে ভাজা।
জয়িতার জয় জয়কার আগের মতো নেইতো আর,
যীনাত আছে নিজের মত লিখছে তবু মানছেনা হার।
মাহবুবা শুনছে গজল পুরোনো সেই আখতারি বেগম,
চন্দ্রপ্রভা ঢাকলো মেঘে আলোটা তাই লাগে কম কম।
দেবরা খাবে দহি-বড়া টক মুখের নাকি ফিরবে রুচি,
জানা তাতে জেনেশুনেই মিশিয়ে দিল কিছু আদা-কুচি।
লাবন্য প্রভা নেরুদা প্রেমী ভাবানুবাদে সে মগ্ন ভীষণ,
সারিয়া'র কোন খবর নেই ঠিকানা কি তার বৃন্দাবন?
ধ্রুপদী বেশ ভালই নাচে উঠোন মোটেও নয়কো বাঁকা,
গোলাপির গোলাপ অধর হয়তো কোন শিল্পীর আঁকা।
পাল্কি এখন পাল্কী ছাড়া কিছুতেই যাবেনা শশুর বাড়ি,
ইলোরা তাই ব্যাংক লোনে কিনলো একটা নতুন গাড়ী।
পেত্নী এসে গোল বাঁধালো মেনুতে নেই শুঁটকী ভর্তা,
নীল জোছোনা বাদ সাধলো খায়না শুঁটকি তার কর্তা।
মানবী'র মনটা ভাল পরের দুঃখে সে কেঁদে আকুল,
নিজের কথা বলেনা সে অন্যের কথাই বলতে ব্যকুল।
আড়ালে আজ রইলে যারা, ভেবোনা তারা ক্ষুদ্র অতি,
ব্লগ আকাশে সবাই তারা, আমার চোখে স্বল্প জ্যোতি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১১:০৭