টুইন টাওয়ারে এক দুপুর
(আমার দুর্বল ক্যামেরাগ্রাফি)
আয়োজকরা আমাদের নিয়ে গেলেন টুইন টাওয়ারে। আগেই বিনা পয়সার পাস যোগাড় করে রেখেছিলেন। শুনে এসেছি টিকিট টাকা দিয়ে কিনতে হবে এমন একটা প্রস্তুতি চলছে। ( সুতরাং যারা দেখেননি তারা তাড়াতাড়ি দেখে নিন। কারণ অন্যগুলোর রেট দেখে ধারনা করা যায় ৩০ রিঙিত+/- দাম হতে পারে)। মহাসমারোহে দলবেঁধে প্রবেশ করলাম। সবাই খুব উৎসাহিত বিশেষত: মেয়েরা। উগান্ডার নানতেগে খুব ছটফট করছিলো। কারণ ২০ রিঙিত দিয়ে সে কেএল টাওয়ারে ওঠেনি।
আমাদের দল ঢুকছে টুইন টাওয়ারে
ঢোকার মুখে সুরিয়া কেএলসিসি শপিং মল। ভেতরের ডিজাইনেও দারুন চাকচিক্য।
শুরুতে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয় ছোট্ট একটা কক্ষে। সেখানে ১৫/১৬ মিনিটের একটা ডকুমেন্টারী মুভি দেখালো টুইন টাওয়ারের নির্মানের বিবরণ আর ছবিসহ। তারপর নিয়ে যাওয়া হলো দ্রুতগতির বিশাল লিফটে। রীতিমতো বেডরুমের সাইজের লিফট। ৪১ তলায় পৌঁছে গেলাম ৪১ সেকেন্ডে ! ওখানে গাইড ছোট একটা বর্ণনা দিয়ে ছেড়ে দিলো স্কাই ব্রীজ ঘুরে দেখা আর ছবি তোলার জন্য। আবার পাখির চোখে দেখলাম কুয়ালা লামপুরকে। ভবনকে একপাশ থেকে ঘিরে থাকা কেএলসিসি পার্ক।
স্কাই ব্রীজ থেকে কেএল সিটি
স্কাই ব্রীজ থেকে টুইন টাওয়ার
দল বেঁধে ছবি তোলার ধুম পড়ে গেলো। আমরাও তুললাম। একে অন্যকে বললাম ছবি তুলে দিতে। আমার ক্যামেরায় এই ছবি তুলেছে ছটফটে নানতেগে।
কেএলসিসি পার্ক।
এক সময় ফুরিয়ে এলো আমাদের সময়ের কোটা। ডাক এলো গাইডের তরফ থেকে। লিফটে চড়ে ঝড়ের বেগে নেমে এলাম। দুপুরের খাবার খেয়ে হালকা শপিং সেরে ফিরে এলাম নীড়ে (হোটেলের খুপড়ীতে)।
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৩৩