বিখ্যাত কায়রোর মিউজিয়াম
কাল টিভিতে দেখলাম কায়রোতে সরকার বিরোধী প্রচন্ড গন আন্দোলন চলছে। বিভিন্ন পরিচিত জায়গাগুলোর নাম কানে আসতে লাগলো, যেমন তাহরির স্কয়ার, কামাল পাশা মার্গ, নীল নদের গা ঘেষে বয়ে যাওয়া রাস্তাটা, রাতের আলোয় ঝলমলে ব্রীজটাও দেখা যাচ্ছে, যার ও পাশে গিজা, যেটাকে আমি আমার ১২ দিন ইজিপ্ট বসবাসে অনেকবার ক্রস করেছি।
এ সব দেখে আমারও মনে পড়ে গেল কায়রোর কথা।
বিখ্যাত কামাল পাশা মার্গ
নেটে বা টিভি তে আপনারা হয়তো কায়রো মিউজিয়ামের অনেক ছবি দেখে থাকবেন। পৃথিবীর সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী যাদুঘর যা মনে হয় সারাদিন ধরে দেখলেও সবগুলো আইটেমে চোখ বুলানোও সম্ভব নয়।
ফারাওদের আমলে তৈরী বিশাল আকৃতি থেকে শুরু করে ছোটো ছোটো পাথরের কত কিছুর ভাস্কর্য, কত মমি, সুক্ষ রঙিন কারুকাজ করা কাঠ, পাথর আর সোনার তৈরী মমি রাখার কফিন, ফারাওদের ব্যবহার করা দৈনন্দিন জীবনের আসবাব পত্র থেকে শুরু করে অসংখ্য জিনিস পত্র ।
টুটেনখামুনের এক জোড়া কোলাপুরী ডিজাইনের লাল খাড়ি কাজের এক জোড়া স্যান্ডেল দেখে মনে হলো, এই মাত্র বুঝি দোকান থেকে কিনে এনে রেখেছে ঐতিহ্যবাহী কখনো ব্যকডেটেড না হওয়া চপ্পল জোড়া।
আমার হাসবেন্ড তার দেখা বৃটিশ মিউজিয়ামের সাথে তুলনাই করতে পারলোনা।
ক্যামেরার ফ্ল্যাশে ক্ষতির আশংকায় মিউজিয়ামর ভেতরে ছবি তোলা সম্পুর্ন নিষেধ বলে আমি আমার পঁচা ক্যামেরা দিয়ে তোলা বাইরের কয়েকটা ছবি দিলাম।
গেট দিয়ে টিকেট কেটে দর্শনার্থীদের প্রবেশ
মিউজিয়ামে ঢোকার পুর্ব মুহুর্তে গাইডের ধারা বর্ননা
প্রধান প্রবেশ পথের উপর বিভিন্ন দেব দেবীর মুর্তি
সামনেই স্ফিন্ক্সের মুর্তি
মিউজিয়ামে ঢোকার মুখেই বিখ্যাত ফারাও র্যামেসিসের মুর্তি
মিউজিয়ামের পাশে
প্রধান ভবনের বাইরে বাচ্চাদের মিউজিয়ামে যাবার রাস্তা
ভবনের সামনে হেইরোগ্লিফিক লেখা সবুজ পাথরের দুটো পিলার
পিরামিড থেকে আনা হেইরোগ্লিফিকে লেখা বিশাল পাথরের টুকরো
রাজা টুটেনখামেনের আদলে গড়া সোনার তৈরী কফিন
আমাদের কেনা এ্যলাবাস্টারের স্লেটের উপর প্রাকৃতিক রং দিয়ে আঁকা ছবি
এধরনের নরম চুনাপাথর যা এ্যলাবাস্টার নামে পরিচিত । এগুলোর উপরেই এমন হাল্কা রং এ হেইরোগ্লিফিক ভাষা ও ছবিতে বিভিন্ন দেবদেবী ও মৃত্যু পরবর্তী জীবনের নানা রকম দৃশ্য আঁকা, ফারাওদের সমাধি মন্দিরের ভেতরের বিভিন্ন চেম্বারের দেয়ালগুলোতে।
এর অজস্র নমুনা মিউজিয়ামের ভেতরেও রয়েছে।
প্যাপিরাসে আকা শিল্পকর্ম
এছাড়াও প্যাপিরাসে আঁকা প্রচুর শিল্পকর্ম ও হস্তলিপি যে গুলো ক্যামেরার ফ্ল্যাশে নষ্ট হওয়ার ভয়।
কেন ছবি তোলা নিষেধ তার অনেকগুলো কারণের মধ্যে দু একটি।
নিরাপত্তার ব্যাপারও মনে হয় আছে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:২৮