ডনাল্ড ট্রাম্প যাতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে না পারেন সে জন্য এবার তৎপরতা শুরু করেছেন কয়েকজন ইলেক্টর। এখন পর্যন্ত তাদের গ্রুপে রয়েছেন ৬ জন প্রতিনিধি। গ্রুপের নাম দেয়া হয়েছে হ্যামিলটন ইলেক্টর। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন এক্সপ্রেস। এতে বলা হয়েছে, আগামী ২০শে জানুয়ারি শপথ নিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করার কথা প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের। তিনি যেন সেদিন হোয়াইট হলের সামনে শপথ নিতে না পারেন সে জন্য তৎপরতা শুরু করেছে হ্যামিলটন ইলেক্টর। তারা চাইছেন ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটাররা যেন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট দেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন না। বরং, জনগণ ভোট দেন ইলেক্টোরাল কলেজকে (নির্বাচকমণ্ডলী)। এই ইলেক্টররা পরে জনগণের সমর্থনপুষ্ট প্রার্থীকে ভোট দেন। সাধারণত, জনগণের ইচ্ছার ব্যত্যয় ঘটান না ইলেক্টররা। তবে তাদের নিজেদের ইচ্ছামতো প্রার্থী বেছে নেয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
কিন্তু এবার নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার প্রেক্ষিতে হ্যামিলটন ইলেক্টর তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে ট্রাম্পের শপথ আটকে দেয়া যায়। এ গ্রুপটি কলোরাডোভিত্তিক। এটি অলাভজনক একটি রাজনৈতিক গ্রুপ। তারা এখন ডোনেশন গ্রহণ করছে। এতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। তা ব্যবহার করে তারা ট্রাম্পকে ক্ষমতায় যাওয়া আটকে দিতে চায়। কলোরাডোর ডেমোক্রেট দলের ইলেক্টর মাইকেল বাকা এ গ্রুপটিকে কলোরাডো সেক্রেটারি অব স্টেট অফিসে নিবন্ধিত করেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা একত্রিত হলে ডনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে যাওয়া বন্ধ করে দেয়ার একটি সুযোগ আছে। তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি এ বিষয়ে আমেরিকার মানুষ ঐকমত্যে আসবেন। যদিও এ গ্রুপটিতে এখন অল্প কয়েকজন সদস্য রয়েছেন। তবে মাইকেল বাকা বলেন, তার এ বার্তা অন্য রাজ্যগুলোর ইলেক্টরদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। এ ক্ষেত্রে রিপাবলিকান দল থেকে নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে ইলেক্টরদের ভোট দেয়ার সুযোগ চাওয়াই হচ্ছে তার লক্ষ্য। তিনি আরো বলেছেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক একজন নৌ সেনা। আমার মূল্যবোধগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্মান, উৎসাহ ও প্রতিশ্রুতি। আমি মনে করি ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে তা নেই। কিন্তু তার গ্রুপের ডোনেশন নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমি অর্থ সংগ্রহের বিরোধী ছিলাম। কিন্তু এটা করা হচ্ছে সাংগঠনিকভাবে। অনেক মানুষ আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও অর্থ দিচ্ছেন। ডনাল্ড ট্রাম্প জনগণের ভোটের হিসাবে যে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন তার ওপর নির্ভর করে তাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। কিন্তু তাকে প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব নেয়া থেকে আটকানো মাইকেল বেকে’দের জন্য কঠিন হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। কারণ, ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের প্রতিনিধিরা জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে ভোট দিয়েছেন এমন ঘটনা বিরল। তাই তিনি স্বীকার করেন তার পরিকল্পনা ব্যর্থ হতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪০