অটোরিক্সায় থেকে একটা মেয়ে আমার দিকে বার বার তাকাচ্ছে , আমিও তার দিকে তাকাচ্ছি মেয়েটার মুখখানি খুব চেনা চেনা লাগছে। কিন্ত মনে করতে পারছিনা তাকে কোথায় দেখেছি, মনে না পড়ার কারণে মস্তিষ্কের কোষ গুলোর উপর প্রচন্ড চাঁপ দিলাম দেয়ার পর অনেক গুলো স্মৃতি আমার মনের মানসপটে ভেঁসে উঠলো এই সেই মেয়ে যাকে আমি খুব জ্বালিয়েছি।
মেয়েটির সঙ্গে আমার কিভাবে পরিচয় সেটা জানিনা তবে তার সঙ্গে অনেক খেলা খেলেছি, একদিন তার কাছে আমি খেলতে যাই কিন্ত সে আমাকে খেলতে নেয়নি না নেয়ার কারণে মন খারাপ করে আমি চলে আসি। তারপড় তার পিছনে আচ্ছা করে লেগে পড়ি " যখন মেয়েটা সইঁদের সঙ্গে খেলতে খেলতে ফুল তুলতে যেত কচুরিপানা তুলতে যেত তখন আমি চুপি চুপি যেয়ে ওদের বানানো ঘর গুলো ভেঙে দিতাম এবং ওর পুতুল গুলো চুরি করে নিয়ে আসতাম। মেয়েটা পুতুল খুব ভালবাসতো।
যখন এসে ওরা দেখতো ওদের খেলার ঘর গুলো কে যেন ভেঙে রাখছে পুতুল চুরি করে নিয়ে গেছে
তখন মেয়েটি খুব কাঁদতো ওর কান্না আমি সহ্য করতে না পেরে রাতের বেলা ওদের বাড়িতে যেয়ে ওর পুতুল রেখে আসতাম অগোচরে।
একদিন ওর সঙ্গে একটা খেলা খেলেছিলাম লিখতে খুব লজ্জা পাচ্ছি মনে মনে একটু হাসছি, খেলাটার নাম হল খুটি-মশলা খেলা এই খেলায় মেয়েরা সংসার পাতে। মেয়েটা আর আমি বউ ভাতার সেজেছিলাম এবং আমাদের খেলার সংসারটাও ছিল খুব সুখের কোন ঝগড়াঝাঁটি হতো না। খুব আনন্দের দিন ছিল সেই দিন গুলো, সেই দিন গুলোতে কোন কষ্ট চিন্তা ভাবনা কিছুই ছিলনা সারাদিন খেলা আর খেলা সেইদিন গুলো যদি আবার ফিরে পেতাম! খুব স্বাধ হয় যেতে আগের দিন গুলোতে।
মেয়েটি অটোরিক্সায় থেকে হনহন করে নেমে এসে আমার সামনে দাঁড়ালো দাঁড়াতেই আমি বললাম কি রে চেংরি কেমমন আছিস? কোথায় থেকে বের হলে।
মেয়েটি বললো ভাল আছি, আমাকে জিজ্ঞাসা করলো বিয়ে করেছি কিনা? আমি বললাম না করি নাই। করার ইচ্ছাও নাই । আমি তাকে আর বাড়তি প্রশ্ন করিনি তোর বিয়ে হয়েছে কিনা। কারণ তার কোলে একটা বাচ্চা। বাচ্চাকে দেখে মনে মনে বললাম তুই আমারে বাঁশ দিবি এ কথা বলতেই বাচ্ছাটা কেঁদে উঠলো। কাঁদতেই রেষ্টুরেন্টে যেতে হল অগত্যা ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮