১. সারাদেশে পুলিশের সাড়াশি অভিযান ৩ হাজার ১৫৫ জন আটক। মূলত জঙ্গীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান। তবে এই ৩ হাজার জনের মধ্যে মাত্র ২৭ জন জেএমবি সদস্যসহ ৩৭ জন জঙ্গি সদস্য। বাদবাকি বেশির ভাগই সন্দেহভাজন আসামি এবং কিছু রয়েছে বিভিন্ন মামলার আসামী।
প্রতিক্রিয়াঃ পুলিশের বর্তমান জনপ্রিয়তা তলানিতে। এই মুহূর্তে এরকম অভিযান পুলিশের রেপুটেশন প্রবলেম দূর করবে। আমি বাংলাদেশ পুলিশকে বিশ্বাস করি। তাদেরকে কাজের স্বাধীনতা দেয়া হলে তারা যেকোন অসাধ্য সাধন করতে পারবে এমনটাই মনে করি। জঙ্গী দমনে এই ক্ষিপ্রতাকে সাধুবাদ জানাই। এগিয়ে যান। দেখিয়ে দিন পুলিশের সাথে লাগার পরিণাম কতটা ভয়াবহ। তবে সন্দেহভাজন হিসেবে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের জন্য একটি কামনা থাকবে তারা কেউ যেন কোন অনিয়মের শিকার না হন। গ্রেফতার বাণিজ্য শুরু হলে হিতে বিপরীত হবে। কানুনের ভুলে ১০ জন আসামী ছুটে গেলে সমস্যা নেই তবে একজন নির্দোষের শাস্তি যেন না হয়।
২. রিটা কাৎজের সাইট ইন্টিলিজেন্স জানিয়েছে, এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে হত্যায় নিন্দা জানিয়েছে আল-কায়েদা।
প্রতিক্রিয়াঃ খুনীরা আবার খুনের নিন্দা জানায় কিভাবে ? নাকি পুলিশের অভিযানে দিশেহারা হয়ে তা থেকে বাঁচতে এই কৌশলগত সিদ্ধান্ত ? এতসব বিতর্ক ছাপিয়ে যে কথাটি আসছে তা হল রিটার এই গেঞ্জাম মার্কা সাইটটি কেন এই খবরটি এত রং মেরে প্রকাশ করল ? কেননা যেসব ঘটনায় আইএস দায় স্বীকার করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি তা এই সাইট ইন্টিলিজেন্সের মাধ্যমেই। অতএব প্রশ্ন আসতে পারে, পুলিশের এমন অভিযানে যদি জঙ্গীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ে আর এতে যদি জঙ্গীদের অস্তিত্ব সংকটের সৃষ্টি হয় তাহলে তো বাংলাদেশকে নিয়ে যে নগ্ন প্রোপাগান্ডা চালাতো 'সাইট ইন্টিলিজেন্স' তা বন্ধ হয়ে যাবে। এতে কিঞ্চিত ভাতে মারা যাবে রিটা কাৎজ। তাই সে বিশ্বের সামনে একটি উদাহরণ রাখার চেষ্টা করছে যে, দেখ জঙ্গীরা শুধু মানুষ মারে না বরং তারা বেশ সহানুভূতিও দেখাতে পারে। সবাই অতটা খারাপ না হু ! আর যদি রিটার এই প্রোপাগান্ডা সফল হয়ে যায়, নরম কথায় যদি পুলিশের অভিযান স্তিমিত হয়ে আসে সেক্ষেত্রে লাভবান হবেন রিটা কাৎজই। তাই হতে পারে নিন্দা জানানোর ঘটনাটি একটি ভুয়া নিউজ মাত্র। তাছাড়া সাইটে প্রকাশিত আগের অনেক ঘটনার সাথেই আইএসের কোন সম্পৃক্ততা ছিলনা।
৩. জামায়াতে ইসলামী তাদের লোগো পরিবর্তন করে ফেলেছে। এখন লোগো হিসেবে ব্যবহার করা হবে জাতীয় পতাকার দুই রং লাল ও সবুজ !
প্রতিক্রিয়াঃ সিরিয়াসলি ? তাহলে স্বাধীনতার এই ৪৫ বছর তারা কি করেছে ? এতদিন কেন লোগো পরিবর্তন করে নাই ? আচ্ছা জামাতিরা যদি নিজ পোষাক পাল্টে ফেলে নতুন পোষাকে জনসম্মুখে আসে তাহলেই কি প্রমাণ হয়ে যাবে যে তারা পূর্বে খুন খারাবি করে নাই, পেট্রোল বোমা মারে নাই, কোন পুলিশকে হত্যা করে নাই, দেশের ভাল চাইছে আর সার্বভৌমত্বেও বিশ্বাস করে ? জানি এটা কেউ মানবে না তাহলে বলতেই হবে লোগো পরিবর্তনের ব্যাপারটি স্রেফ লোক দেখানো। তাদের কেবল লোগোটাই পরিবর্তন হইছে ভেতরে সেই পিওর রক্তের নেশা। আগের চাইতে যা আরও তীব্র ! পাকিস্তানপন্থী মনোভাব আর সন্ত্রাস প্রবৃত্তি এখনও তাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাঙালি লোগো দেখে ভুলবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬