এন জুলফিকার
একটা-দুটো জোনাকি কড়া নাড়লে ডাকবাক্স থেকে ভেসে আসে ম-ম গন্ধ। বুঝে যাই আঁচল উড়ছে দূরে। যেন প্রথম বৃষ্টির পর ফুটিফাটা ক্ষেতের হাঁ-মুখে ফিসফাস, গোপন মন্ত্র জপে পুনরায় কাঙ্ক্ষিত জন্মের গাথা। এভাবেই রোদের গায়ে শব্দের কুচি, অক্ষরের ডানা ঝাপটানো। আর প্রকান্ড এক টঙ-এ বসে লোলুপ চোখদুটো চেটে খাচ্ছে দেহখাঁজে জমে ওঠা ঘাম।
এভাবেই বারবার রাত্রির আরও কাছে ফেরা। এভাবেই মাথা গুঁজে দৃষ্টিকে নিয়তই বাঁধি। কাকতাড়ু–য়া-জন্ম থেকে ক্রমাগত দু’হাত বাড়াই। ছুঁতে চাই উড়ে আসা তৃষিত আঁচল। তখনই পর্দা দোলে। হাঁ-মুখ গিলে খায় সুরভি-প্রহর। ‘আঁচল ওড়েনা আর’ এই বলে তরিৎ নিজেকে লুকালে আমার প্রজাপতি-জন্মের তাবৎ গল্পরাশি অণুপলে ঢুকে যায় গুটির ভিতর।
অবাধ্য পিপাসা তবু ভোকাট্টা ঘুড়ি হয়, হাই তোলে, উড়ে যায় নিঝুমডাঙায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৪২