১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচার বিষয়ে ২০০৯ সালের ২৯শে জানুয়ারি জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাব পাশ হয়। সংসদে গৃহীত প্রস্তাবের বাস্তবায়নে সরকার বিদ্যমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস অ্যাক্ট, ১৯৭৩ অনুযায়ী অভিযুক্তদের তদন্ত এবং বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং সরকারের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত ঘোষণাটি আসে ২০০৯ সালের ২৫শে মার্চ..
#তথ্যসুত্রঃ_বাংলাদেশ_পার্লামেন্টের_নথিপত্র
২০১০ সালের ২৯ জুন অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার নিজামীকে একই বছরের ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর জামায়াতের এই ধোয়া তুলসীর পাতা আমিরের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উপস্থাপন করে ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষ।
(১৯৭১ এর পরে ২০১০ সালে গ্রেপ্তার হয় নিজামী। উল্লেখ্য এই নিজামীকে ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নদ্রষ্টা মেজর খালেদ মোশাররফ কে হত্যার পরপরই মেজর জেনারেল জিয়া পাকিস্তানে পলায়নরত আল বদর বাহিনীর প্রধান কে ফেরৎ নিয়ে আসেন? )
আমার কি প্রশ্ন করা উচিৎ, মেজর জিয়া কেন এই আল বদরের বাচ্চাটাকে ১৯৭৫ এ ফিরিয়ে আনেন?
করবো না বন্ধুগণ, কারন আপনারা দল করেন।
আপনারা কেউ আজ বাংলাদেশ করেন না।
আপনার দল করেন বলে এক মুহুর্তে নিজামী মুজাহিদগুলোর মত বেজন্মা গুলোকে আল্লাহর স্থানে বসান? আপনারা দল করেন বলে এক সেকেন্ডেই ত্রিশ লক্ষ্য শহীদ তিন লক্ষ্য হয়ে যায়?
ছিহহহ বাঙ্গালী ছিহহহহ..
আপনারা দল করেন বলে, বহুদিন ধরে দুই সরকারের চ্যাংড়ারা চাকরি পায়, যে দল আসে মেরে কেটে খেয়ে যায় বাংলাদেশের টাকা। আমাদের ট্যাক্সের টাকা।
আমরা সাধারণেরা হাড্ডিসার শুকনো হয়েই রয়ে গেলাম?
বাদ দেন, এই দলের বলয় থেকে আপনারা বেরুতে পারবেন না। বিনা কাজেই যদি বসে বসে দলের ভাতা স্বরুপ জীবন আরাম আয়েশেই পার করা যায়, ক্ষতি কি?
তবে আমাদের মত সাধারনেরা কেন জাগেনা?
আমি বুঝিনা! মেরুদন্ড হীন হয়ে বাচাটাও হয়তো একটা বাঙ্গালীয়না?
বাদ দিচ্ছি, মেজর জিয়া ৭৫ আনার পরে এই নিজামী স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা পতপত করে উড়াইয়া বাংলাদেশ সংসদ ভবনে গিয়ে উঠতো?
অথচো ওর হাতে ত্রিশ লক্ষ্য বাঙ্গালীর রক্ত?
কি আশ্চর্য- আমরা সবাই জানি, তবুও নিজামীর জন্যে - চলেন হর্তাল করি???
- ডিসেম্বর আদালত অভিযোগ আমলে নেয়। ২০১২ সালের ২৮ মে থেকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উস্কানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো ১৬টি অভিযোগে নিজামীর মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-এ বিচারা প্রকৃয়া শুরু হয়!
( হিসাব রাখবেন, মাঝে বছর কয়টা গেলো? )
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগসমূহ সম্পাদনা
রাষ্ট্রপক্ষ মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের যেসব অভিযোগ আনেন সেগুলো হলোঃ-
পাবনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাওলানা কছিমুদ্দিনকে ১৯৭১ সালের ৪ জুন পাকিস্তানি সেনারা অপহরণ করে নূরপুর পাওয়ার হাউসের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে নিজামীর উপস্থিতিতে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। ১০ জুন তাকে ইছামতী নদীর পাড়ে আরো কয়েকজনের সঙ্গে হত্যা করা হয়।
#পাবনার_কেউ_থাকলে_আওয়াজ_দেনতো?
১৯৭১ সালের ১০ মে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বাউশগাড়ি গ্রামের রূপসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকারদের একটি সভায় নিজামী উপস্থিত ছিলেন। সভায় পরিকল্পনা করে ১৪ মে পাকিস্তানি সেনারা দুইটি গ্রামের প্রায় সাড়ে ৪৫০ জনকে হত্যা করে এবং রাজাকাররা প্রায় ৩০-৪০ জন নারীকে ধর্ষণ করে।
#সাড়েচারশো_জন_হত্যা
#ত্রিশ_চল্লিজ_ধর্ষণ
#এ_নাকি_জামায়াতে_ইসলামের_আমির
#পবিত্র_ইসলামের_ধারক_এ
#নিজের_বাপ_দাদার_গ্রাম_ছিলো_ওটা
১৯৭১ সালের মে মাসের শুরু থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণের ঘটনায় নিজামীর সম্পৃক্ততা রয়েছে কারণ তিনি ঐ ক্যাম্পে নিয়মিত যাতায়াত করতেন।
#মোঃপুর_ফিজিকালে_একবস্তা_মানুষের_চোখ
#পাওয়া_যায়_১৬ই_ডিঃ_৭১
#আরো_বহু_জানা_মৃত্যু_ছিন্ন_ভিন্ন_লাশ
১৯৭১ এ করমজা গ্রামে হত্যা, ধর্ষণ ও লুটের ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ।
#করমজা_গ্রামের_কেউ?
১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল নিজামীর সহযোগিতায় পাকিস্তানি সেনারা ঈশ্বরদী উপজেলার আড়পাড়া ও ভূতের বাড়ি গ্রামে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় ২১ জন নিরস্ত্র মানুষ হত্যা করা হয়।
#আমার_পড়া_ওরা_সবাই_হিন্দু_ছিল
#ছারখার_করে_দিলো
নিজামী ১৯৭১ সালের ২৭ নভেম্বর ধুলাউড়া গ্রামে ৩০ জনকে হত্যায় নেতৃত্ব দেন ও তার সম্পৃক্ততা ছিল।
#ধুলাউড়ার_কেউ?
১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর সোহরাব আলী নামক এক ব্যক্তিকে নির্যাতন ও হত্যা করেন।
#মাত্র_একজন
#তবে_চাক্ষুষ_প্রমাণীত
১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট নিজামী নাখালপাড়ার পুরোনো এমপি হোস্টেলে গিয়ে আটক রুমী, বদি, জালালদের হত্যার ঘটনায় পাকিস্তানি সেনাদের প্ররোচনা দেন।
#ক্রাকেদের
#আহারে_আহারে জেলের তালা ভাইঙ্গা নিজামীরে মারবে স্কুলের বাচ্চা থেকে সব বয়সী বাঙ্গালী?
#কিসের_ফাসী_অপেক্ষা?
#জননীর_বর্ণণা_বাঙ্গালীর_মনে_থাকেনা?
১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর হিন্দু অধ্যুষিত বিশালিখা গ্রামে ৭০ জনকে গণহত্যা করেন।
নিজামীর নির্দেশে রাজাকাররা পাবনার সোনাতলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা অনিল চন্দ্র কুণ্ডুর বাড়িতে আগুন দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
#এটা_ছিচকে_রাজাকারীয়_কর্মকাণ্ড
#আদতে_তো_ছিচকেই_ছিলো
১৯৭১ সালের ৩ আগস্ট চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউটে ইসলামী ছাত্রসংঘ আয়োজিত সভায় নিজামী উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন।
২২ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক একাডেমি হলে আল মাদানীর স্মরণসভায় উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য ১২ নম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়।
#জিয়াইর_রহমানরে_জিগা
#কেন_ফিরাইলো?
৮ সেপ্টেম্বর প্রতিরক্ষা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে ছাত্রসংঘের সভায় বক্তব্যের জন্য ১৩ নম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়।
১০ সেপ্টেম্বর যশোরে রাজাকারদের প্রধান কার্যালয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য ১৪ নম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়।
১৯৭১ সালের মে মাস থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাঁথিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থিত রাজাকার ক্যাম্পে নিজামী ও রাজাকার সামাদ মিয়ার ষড়যন্ত্রে সেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়।
১৯৭১ সালের ১৮ই ডিসেম্বর জামায়াতের তৎকালীন ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ ও আলবদর বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেন এবং আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিজামীর বিরোদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়।
#সূর্যসন্তানেরা
কষ্টের ব্যাপ্যার হচ্ছে এই সেই নিজামী, তৎকালীন ঢাকা ইউনিঃ থেকে কওমী শেষ করা ছাত্র নেতা। ঢাকার উচু স্তরের মানুষ তার চেনা।
যখন টের পেলো, আর পাক্সতান কায়েম হচ্ছেনা, তখনই সূর্যছেলেদের, মা বলতো সমস্ত ভালো ভালো মেধা যাদের, বড় বড় জায়গায় কাজ করেন। যারা পালান নি দেশ ছেড়ে, তাদের সব কিছু দেখা জানা, ভয়ে কিছু বলেন নাই। তবে দেশ স্বাধীন হলে এর কি আর চুপ থাকবে???
নগদের উপর কালো কাপড় পরা মুখ ঢাকা একদল আলবদর পৈাছে যেতে লাগলো , টাসস টাস করে দরজায় টোকা - আপকে হামারা সাথ চলনা হোগা? সাব কি অর্ডার হ্যায়?
সময়টা ১৪ ই ডিঃ, ৭১..
সূর্যসন্তানগুলো জানে স্বাধীন তো হয়েই এসেছে।
বুক ফুলিয়ে বেরিয়ে এসেছে, মনে মনেনে ধারনা, পাক্সতানীরা এখন লাশ ফেলে ঝামেলা বাড়াইবে না।
সূর্যসন্তানেরা জানেনা, দেশের মানুষ নিজামীরারা থাকলে জানোয়ার পাক্সতানী গুলোর বর্বরতা ও লজ্জা পায়। ওরা পরিবারকে বলে আসলো, ভয় পেওনা, আমি চলে আসবো...
আর কোন দিন আসেনি।
হাত পাধা, পা বাধা, চোখ ওঠানো, ছিন্ন ভিন্ন অঙ্গে ছড়ানো ছিটানো পড়ে রইলো রায়ের বাজার বধ্যভূমি, ফিজিকাল, বিহারী ক্যাম্পে ক্যাম্পে, ঢাকার ড্রেইন আর নর্দমায়...
প্রফেসর, ডাক্তার, ইঞ্জিঃ পাইলট, শিক্ষক, আমলা, ব্যাংকার, রাজনৈতিক, ব্যাবসায়ী সহ জাতির সমস্ত মাথা গুলো...
আর তাইতো আমাদের যুদ্ধ ইতিহাস জানতে দেরী হয়য়, আমরা ভুল জেনে জেনে বিশ্বাস করে ফেলি, জানার পরেও দলের টানে ও আমার নিজামীদের জন্যে হর্তাল করি...
#চলেন_না_হর্তাল_করি?
#আসেন_না ব্যারিকেড দিবো?
#রাজাকার_বাচাবো?
লেখা শেষ, ছাদের উপর যাবো, বিড়ি নাই, থাকলে ভাল হইতো রে ভাউ... উপরে সাদা ম্যাঘ, ভেত্রে ভেত্রে ফাকা আছে, সেই ফাকে নিরিক কইরা গলা ছাড়বো-
জুয়েল ভাইইইই, রুমি ভাইইই ও আজাদ ভাইইই,
কসোম তোমগো শইলের, এই নিজামি শুয়োরের বাচ্চার জন্যে যেই মুমিন রে রাস্তায় পাবো, চেড়ি কাঠ দিয়া পিডায় মাইরা ফালামু, এক দমে, একেকটা নিঃশ্বাসে...
আমার লোমকূপের শিহরণে ক্রাকেরা বাচে,
আমার আবেগে, রাগে, ক্ষোভে, প্রতি ফোটা ঝরা অশ্রুতে রুমী ভাইয়েরা চলে আসে..
আই কি করবো? রাস্তায় আহিস নাহ?
আমি কোন দল করিনা,
আমি বাংলাদেশ করি, স্রেফ বাংলাদেশ..
#আমি_ই_বাংলাদেশ