দুদিন আগে ব্লগে "প্রতিদিন" শিরোনামে দুটো পরমাণু গল্প পোস্ট করেছিলাম।
আজকের পোস্টের আলোচ্য বিষয় প্রথম গল্পটি।মোট তিনদিনের ছোট ছোট তিনটি দৃশ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে গল্পটি।তাহলে আসুন, প্রথমে দেখে নেই গল্পের প্রথম দুদিনের দৃশ্য।
১ম দিন।
সন্ধ্যাবেলা। রফিক সাহেব অফিস থেকে ফিরছিলেন।
-স্যার, পাঁচটা ট্যাকা দেন।
রফিক সাহেব চেয়ে দেখেন আঠার-বিশ বছরের এক সুস্থ স্বাভাবিক তাগড়া জোয়ান, গায়ে মলিন কাপড়।
-মাফ কর।
রফিক সাহেব বাসার পথ ধরেন।
২য় দিন।
একই সময়, একই স্থান। রফিক সাহেব আজও অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলেন।
-স্যার, দুইটা ট্যাকা দেন।
রফিক সাহেব চেয়ে দেখেন গতকালকের জোয়ান ছেলেটাই।
-যা ভাগ, খেকিয়ে ওঠেন রফিক সাহেব।
অতি সাধারণ, কমন দৃশ্য। পথ চলতে এমন অনেক সুস্থ সবল ভিক্ষুক আর চেঁচিয়ে তাদের কাছে "মাফ চাওয়া" পথচারী প্রতিদিনই দেখা যায়, হয়ত প্রতিটি রাস্তার মোড়েই। তাহলে তৃতীয় এমন কি ঘটবে যা এই সাধারণ ঘটনাকে একটা আকর্ষণীয় গল্পে পরিণত করবে আর পাঠকের মনযোগ কেড়ে নিবে?
সেই আইডিয়া থেকেই এই পোস্টের উৎপত্তি। তাহলে আসুন, প্রথমে দেখে নেয়া যাক, পোস্টে যেভাবে আমি তৃতীয় দিনের দৃশ্য এঁকেছি, গল্পের সমাপ্তি টেনেছি।
৩য় দিন।
সন্ধ্যাবেলা। রফিক সাহেব বাসায় ফিরছেন। তাড়াহুড়ায় খেয়াল করেননি গলিটা গত দুইদিনের তুলনায় একটু বেশিই নির্জন।
-যা আছে, সব দিয়া দে।
রফিক সাহেব গালি দিতে গিয়েও থেমে যান। দুটো ছেলে, দুজনের হাতেই ধারাল চাকু।নীরবে মানিব্যাগ, মোবাইল, ঘড়ি-সবই দিয়ে দেন। সব বুঝে নিয়ে ছেলেদুটো অন্ধকারে হারিয়ে যায়। যাওয়ার আগে রফিক সাহেবের পেটে চাকুর পোচ দিয়ে যায়।
রফিক সাহেব পেট চেপে ধরে বসে পড়েন। এমন সময় বিপরীত দিক থেকে গত দুইদিনে দেখা ভিখারী ছেলেটাকে আসতে দেখা যায়।
রফিক সাহেব সর্বশক্তি দিয়ে সাহায্যের জন্য ছেলেটিকে ডাকতে চেষ্টা করেন, কিন্তু তার কন্ঠ দিয়ে কোন শব্দ বের হয় না।
জ্ঞান হারানোর আগে রফিক সাহেব দেখতে পান ছেলেটা তার দিকে এগিয়ে আসছে। নাকি আসছে না? জ্ঞান হারানোর আগে হ্যালুসিনেশন হচ্ছে?
একই গল্পের পরিণতি কি সবসময় একইরকম হয়? কেউ কেউ জবাব দেবেন, পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে, নির্ভর করে চরিত্রগুলোর ওপর। নিঃসন্দেহে তাই। তবে সেইসাথে যোগ হবে লেখকের মনস্তত্ব, পাঠকের চাহিদা ইত্যাদি।বাস্তবে মৃত্যু হলেও পরিচালক চাননি বলেই ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন হলিউডে শ্যারন টেইট মারা যাননি, আবার পাঠকের চাপে পড়েই শার্লক হোমস ফিরে এসেছিল।
তো গল্পে ফিরে আসি। অস্বীকার করব না, প্রথম যখন গল্পটা লিখতে বসি, তখন তৃতীয় যে দৃশ্যটা আমি চিন্তা করেছিলাম, সেটা ছিল খানিকটা গতানুগতিক, গল্পের ফাইনাল ভার্সন থেকে আলাদা। তাহলে আসুন দেখে নেই, প্রাথমিক অবস্থায় গল্পের যে সমাপ্তিটা আমি চিন্তা করেছিলাম।
৩য় দিন।
সন্ধ্যাবেলা। রফিক সাহেব বাসায় ফিরছেন। তাড়াহুড়ায় খেয়াল করেননি গলিটা গত দুইদিনের তুলনায় একটু বেশিই নির্জন।
-যা আছে, সব দিয়া দে।
রফিক সাহেব গালি দিতে গিয়েও থেমে যান। গত দুদিনের ছেলেটা, আজ আর খালি হাতে হাতে নয়, ধারাল চাকু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নীরবে মানিব্যাগ, মোবাইল, ঘড়ি-সবই দিয়ে দেন। সব বুঝে নিয়ে ছেলেটা অন্ধকারে হারিয়ে যায়। সব হারিয়ে গলির মাঝে রফিক সাহেব দাঁড়িয়ে থাকেন একা।
অর্থাৎ গল্পের এ ভার্সনেও রফিক সাহেব ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন, তবে এবার ছিনতাইকারীর ভূমিকায় অন্যকেউ নয়, রয়েছে তার পরিচিত ভিখারী ছেলেটাই।
চাইলে গল্পের কলেবর আরো বাড়ানো যেতে পারে।ছিনতাইয়ের পর আমরা রফিক সাহেবের মানসিক অবস্থা নিয়েও চিন্তা করতে পারি। ছিনতাইকারী ছেলেটির প্রতি তার মনে ঘৃণার উদ্রেক হতে পারে, আবার ভিক্ষা না দিয়ে বা কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে তিনিও ছেলেটাকে অন্যায়ের পথে ঠেলে দিয়েছে-এই ভাবনা থেকে তার মনে অনুশোচনার সৃষ্টিও হতে পারে।
আবার এমনও হতে পারে রফিক সাহেব প্রতিবাদ করবেন, হয়ত ছেলেটা তার পেটে ছুরির পোচ বসিয়ে দেবে। রফিক সাহেব মারা যাবেন কিংবা যাবেন না-কিন্তু তিনি হবেন প্রতিবাদী জনতার প্রতীক।
এতক্ষণ যে ভার্সনগুলোর কথা বললাম সবগুলো আমার নিজের এবং সবগুলোই মোটামুটি এক্সপেক্টেড, তেমন কোন টুইস্ট নেই বললেই চলে। ধরুন আমরা গল্পের প্রথম দুদিনের দৃশ্য অপরিবর্তিত রেখে এটাকে একটা কমেডি কিংবা স্যাটায়ার গল্পে পরিণত করতে চাই। তাহলে কিরকম হবে তৃতীয় দিনের দৃশ্যটা? সে প্রশ্নেরই জবাব দিয়েছেন ব্লগার পদ্ম পুকুর তার মন্তব্যে। পাঠকের সুবিধার্থে সে মন্তব্যটাই তুলে দিচ্ছি হুবহুঃ
প্রথম গল্পে আমি ভাবছিলাম তৃতীয় দিনে ছেলেটা ১ টাকা চাইবে এবং রফিক সাহেব বলবেন 'মাফ করো'।
তখন ছেলেটা বলবে- তাইলে আমার লগে নাইম্যা পড়েন....
এবার আসুন, আমরা গল্পটাকে একটা রোমান্টিক গল্পে পরিণত করিঃ
৩য় দিন।
সন্ধ্যাবেলা। রফিক সাহেব বাসায় ফিরছেন।ছাদ থেকে তার চলার পথে চোখ রাখছিল মজনু।
-এই। মুখের ভেতর একটা বাদামচালান করতে করতে ডাকল জরী।
-বল।চোখ না ফিরিয়ে জবাব দেয় মজনু।
-বাবাকে কেমন দেখলে?
মজনু কোন জবাব দেয় না, চুপ করে থাকে।
-কি হল?
-ভাবছি।
-কি ভাব এত?
-গত দুদিন তোমার বাপের সামনে ভিখারী সেজে গিয়েছিলাম। ভাবছি, একটা অসহায় ভিখারীর হাতে যেলোক দুটো টাকা দিতে পারে না, সেকি আর বেকার ছেলের হাতে নিজের মেয়েকে তুলে দেবে?
রোমান্টিক গল্পই যদি হবে, তবে সায়েন্স ফিকশান কেন বাদ যাবে?
৩য় দিন।
সন্ধ্যাবেলা। রফিক সাহেব বাসায় ফিরছেন। তাড়াহুড়ায় খেয়াল করেননি গলিটা গত দুইদিনের তুলনায় একটু বেশিই নির্জন।
-আপনাকে আমাদের সাথে আসতে হবে।
রফিক সাহেব গালি দিতে গিয়েও থেমে যান। দুটো ছেলে, দুজনের হাতেই তাদের আইডি কার্ড। শেষ বিকেলের ম্লান আলোয় লেখাগুলো পড়তে পারেন না রফিক সাহেব, তবে বুঝতে পারেন এরা বড় কোন সরকারী দপ্তরের লোক।
-আপনারা কারা? ক্ষীণ কন্ঠে জানতে চান রফিক সাহেব।
-আমরা বিজ্ঞান কাউন্সিল থেকে আসছি। আপনাকে আমাদের সাথে আসতে হবে।
রফিক সাহেবের আত্মা কেঁপে ওঠে।তার মত নগন্য লোককে কেন বিজ্ঞান কাউন্সিলে যেতে হবে?
আধঘন্টা পর।
রফিক সাহেব চোখ খুলে অবাক হয়ে যান।চমৎকার একটা রুমে শুয়ে আছেন তিনি, তার দিকে চেয়ে হাসছেন সৌম্য চেহারার এক বৃদ্ধ।
-কেমন আছেন, রফিক সাহেব? হাসিমুখে নীরবতা ভাঙ্গেন বৃদ্ধ।
-ওই ছেলেদু্টো ... ? ঘাড়ে ঘাড়ে হাত বোলাতে বোলাতে প্রশ্ন করেন রফিক সাহেব।
-ছেলে বললে একটু বেশি বলা হয়ে যায়, ওরা দুজন আসলে অষ্টম মাত্রার বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট। অবশ্য সাধারণ ওদের সাথে মানুষের পার্থক্য করতে পারে না। বৃদ্ধ জবাব দেন।
ওই ছেলেদুটো তাহলে মানুষ নয়? রোবট! অবাক হয়ে যান রফিক সাহেব।
-আমি এখানে কেন? আমি আসলে ঠিক বুঝতে পারছি না। কোনরকমে ভয়ে ভয়ে বলেন রফিক সাহেব।
-বলছি।বলতে বলতে গলাটা পরিস্কার করে নেন বৃদ্ধ।রফিক সাহেবের মনে হয় যেন বুড়োটা বক্তৃতার প্রস্তুতি নিচ্ছে।আসলে আমরা দেখতে পাচ্ছি বিজ্ঞান যত এগিয়ে যাচ্ছে, মানুষের মধ্য থেকে মানবিক বোধগুলো ততই হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষ দিনকে দিন আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর, নিষ্ঠুর হয়ে যাচ্ছে।তাই আমরা একটা সিরাম নিয়ে গবেষণা করছি, যা আবার মানুষের মানবিক বোধগুলো জাগিয়ে তুলবে। গত একবছর ধরে প্রতিদিন দুইবেলা সেই সিরাম আপনাকে চা-এর সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছে।
-প্রতিদিন? আঁতকে ওঠেন রফিক সাহেব।
-হ্যা, প্রতিদিন। কিন্তু দেখা যাবে সিরামটা আপনার ওপর কোন প্রভাবই ফেলেনি। রাস্তার মোড়ে দাঁড়ানো ভিখারীটাকে আপনি কখনো ভিক্ষা দেননি, গলির মুখে ঘেউ ঘেউ করতে থাকা কুকুরটাকেও আপনি প্রতিদিন লাথি মারেন।এমনকি বাসায় ফেরার পর আপনি টিভি আর মোবাইলের স্ক্রীনে ডুবে থাকেন, কিন্তু নিজের বাচ্চাটাকে কোলে নেওয়ার মত সময় আপনার হয় না।
-আসলে আমার ভুল হয়ে গেছে। আমতা আমতা করে বলেন রফিক সাহেব।এখন থেকে আর এরকম হবে না।
-ভুল আপনার হয়নি, হয়েছে আমাদের।টেস্ট সাব্জেক্ট চুজ করতে গিয়ে।বৃদ্ধের মুখটা হঠাৎ কঠিন হয়ে ওঠে।আর জানেন নিশ্চয়ই, বিজ্ঞান কাউন্সিল কখনো ভুল করে না।
-মানে? ভয়ে ভয়ে প্রশ্ন করেন রফিক সাহেব।
বৃদ্ধ কোন জবাব দেন না। কিন্তু তার ক্রূর হাসি বলে দেয় যত শক্তিশালী সিরামই দেয়া হোক, তা এই বৃদ্ধের ওপর কোন প্রভাব ফেলবে না।
অনেকগুলো ভার্সন দেখে ফেললাম, পোস্টটা শেষ করা যাক গল্পের বাংলা সিনেমা ভার্সন দিয়ে।
৩য় দিন।
সন্ধ্যাবেলা। রফিক সাহেব বাসায় ফিরছেন। তাড়াহুড়ায় খেয়াল করেননি গলিটা গত দুইদিনের তুলনায় একটু বেশিই নির্জন।
গলির শেষ মাথায় থালা হাতে বসে আছে ভিখারী ছেলেটা। রফিক সাহেব মাথা নীচু করে দ্রুত এগিয়ে যেতে থাকেন, কোনভাবেই চান না ছেলেটার সাথে চোখাচুখি হোক।
রফিক সাহেব ছেলেটাকে অতিক্রম করে চলে যান, হঠাৎ ছেলেটা গান ধরে,
ভাইয়ারে ভাইয়া, ও আমার ভাইয়া
আমি তোমার একটা ছোটবোন,
আমায় বুকের মাঝে রেখো সারাখন ... ...
রফিক সাহেবের পা থমকে যায়।তবে কি এই ভিখারীটাই তার ছোটবেলায় মেলায় হারিয়ে যাওয়া ছোটবোন ময়ূরী?
কিন্তু বোনটা ভাই হয়ে গেল কি করে???!!!
আপডেটঃ
ব্লগার আহমেদ জী এস এর মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে মনে হল আরো একটা ভার্সনে গল্পটির পরিসমাপ্তি সম্ভব। ভৌতিক ভার্সন।
৩য় দিন।
সন্ধ্যাবেলা। রফিক সাহেব বাসায় ফিরছেন। তাড়াহুড়ায় খেয়াল করেননি গলিটা গত দুইদিনের তুলনায় একটু বেশিই নির্জন।
-যা আছে, সব দিয়া দে।
রফিক সাহেব গালি দিতে গিয়েও থেমে যান। দুটো ছেলে, দুজনের হাতেই ধারাল চাকু।
রফিক সাহেব এমন ভাব করেন যেন পকেট থেকে মানিব্যাগটা বের করছেন। ছেলেদুটো কিছু বোঝার আগেই হঠাৎ করেই দৌড় দেন, ঝড়ো গতিতে এগুতে থাকেন গলির শেষ মাথায় থাকা উঁচু গাছটা লক্ষ্য করে।গ্রামে বড় হওয়া রফিক সাহেবের কোন অসুবিধাই হয় না গাছের মগডালে উঠে যেতে।
ওপর থেকে রফিক সাহেব দেখতে পান ছেলেদুটো কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে এদিক সেদিক তাকাচ্ছে। রফিক সাহেবের জন্য গাছের নীচে অপেক্ষা করবে নাকি নতুন কোন শিকার খুঁজবে- সেটা নিয়ে দুজন আলোচনা করে। অবশেষে তারা ঠিক করে গাছের নীচেই তারা অপেক্ষা করবে। মাঝবয়সী নাদুসনুদুস একটা শিকার এভাবে তাদের হাত গলে বেরিয়ে যাবে-পাড়ার উঠতি ছিনতাইকারীদের জন্য এটা অপমানজনক।
-থাক, গাছের নীচে দাঁড়িয়ে থাক। আমি আর নীচে নামব না। মনে মনে বলে হাসতে থাকেন রফিক সাহেব।
খ্যাক, খ্যাক, খ্যাক-হঠাৎ একটা খনখনে নারী কন্ঠের হাসি ভেসে আসে।
রফিক সাহেব চারপাশে তাকান।কেউ নেই।
মনের ভুল নাকি?
আবার সেই নারী কন্ঠের হাসি ভেসে আসে।
-কে? ভয়ে ভয়ে বলেন রফিক সাহেব।
-আমি পেত্নী, গত একশ বছর ধরে এই গাছে থাকি।
-মানে?
-মানে এককালে এখানে জঙ্গল ছিল। তখন রোজ মানুষের ঘাড় মটকাতাম। এখন শহর হয়ে গেছে, কেউ আর ঘাছে ওঠে না। আজ তোকে পেয়েছি, বহুদিনের ক্ষুধা আজ মিটবে।খ্যাক, খ্যাক, খ্যাক।
রফিক সাহেব দেখতে পান শুন্য থেকে কুঁচকানো চামড়ার একটা হাত তার দিকে এগিয়ে আসছে।
জ্ঞান হারানোর আগে রফিক সাহেব দেখতে পান ছেলেদুটো গাছ বেয়ে উপরে উঠে আসছে। নাকি আসছে না? জ্ঞান হারানোর আগে হ্যালুসিনেশন হচ্ছে?
প্রিয় পাঠক, আপনার কোন ভার্সনটা সবচেয়ে ভাল লেগেছে? ইচ্ছা হলে আপনিও দুএকটা ভার্সন লিখতে পারেন।
হ্যাপী ব্লগিং।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৮